ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মরনে মর্কেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ভেরিনিগিং, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৬ অক্টোবর ১৯৮৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | মোরাস, হেডোস, লবস্টার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৬ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | আলবি মরকেল (জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩০০) | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৯) | ৬ জুন ২০০৭ বনাম এশিয়া একাদশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৪ মার্চ ২০১৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৬৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ২৮) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৪ মার্চ ২০১৪ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই শার্ট নং | ৬৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫-বর্তমান | টাইটান্স (জার্সি নং ৬৫) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | কেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০০৬ | ইস্টার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-বর্তমান | কলকাতা নাইট রাইডার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩১ মার্চ ২০১৫ |
মর্নে মর্কেল বা মরনে মরকেল (আফ্রিকান্স: Morné Morkel; জন্ম: ৬ অক্টোবর, ১৯৮৪) দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভাল প্রদেশের ভেরিনিগিং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষ হয়ে টেস্ট এবং সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে থাকেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলাররূপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়াও, নিচেরসারির বামহাতি ব্যাটসম্যান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ইস্টার্ন, টাইটান্স; কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট, ইয়র্কশায়ার; আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস দলে খেলেছেন। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ডের মতে, মরকেল প্রকৃত পেসারের গুণে গুণান্বিত।[১] তিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী অধিবাসী এবং স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিগ ব্যাশে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।[২]
ক্রিকেটের বৃহৎ সমর্থক হিসেবে পরিচিত আফ্রিকানার পরিবার থেকে এসেছেন মরকেল। আলবার্ট মরকেল ও মারিয়ানা মরকেল তার বাবা-মা। ৩ সন্তানের মধ্যে মরকেল সর্বকনিষ্ঠ। পরিবারের ২য় সন্তান হিসেবে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম খেলোয়াড় আলবি মরকেল।
মরকেলের একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে আফ্রিকা একাদশের পক্ষ হয়ে এশিয়া একাদশের বিপক্ষে ৬ জুন, ২০০৭ তারিখে। খেলায় তিনি ৩ উইকেট দখল করেন। পরের খেলায় নিজ ভাই আলবি মরকেলকে সাথে নিয়ে বোলিং উদ্বোধন করেন, যা একদিনের ইতিহাসে দুই ভাইয়ের একত্রে দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ।
এরপর ১১ সেপ্টেম্বর-২৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের টুয়েন্টি২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের উদ্বোধনী আসরে খেলার জন্য মনোনীত হন। প্রতিযোগিতায় তিনি সেরা খেলোয়াড়দের অন্যতম একজন হিসেবে চিহ্নিত হন। টুয়েন্টি২০ খেলায় বোলারদের সীমিত সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ধীরস্থির পেস ও নিখুঁত বোলিংয়ের মাধ্যমে ৫ খেলায় ৯ উইকেট লাভ করেন ১৩.৩৩ গড়ে, ওভারপ্রতি ৬.০০ রান দিয়ে ক্রিকেটের এ স্তরে নিজেকে বেশ উপযোগী করে তুলেন।[৩] নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪/১৭ নিয়ে দলকে বিজয়ে সহায়তা করেন। নিজস্ব ৪র্থ ও চূড়ান্ত ওভারে ব্যাটসম্যানকে পরিষ্কার বোল্ড করলেও আম্পায়ারের ভুলবশতঃ নো-বল ডাকের ফলে তা বাতিল হয়ে যায়।[৪]
২০০৯ সালে রান খরায় আক্রান্ত হন মরকেল। এরফলে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে যান। পরিবর্তে বড় ভাই আলবি মরকেল তার স্থলাভিষিক্ত হন। অবশ্য ২০১০ সালে পুনরায় টেস্ট দলে স্থান পান মরনে মরকেল।
১৬ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে অস্ট্রেলিয়া সফরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওয়ান-ডে ম্যাচে তিনি তার নিজস্ব সেরা ওডিআই বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৫/২১।[৫] ঐ খেলায় তার অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ৩ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া দলকে পরাজিত করে।
২০১৫ বিশ্বকাপে মরকেলের অর্জনসমূহ | ||||
---|---|---|---|---|
বোলিং/রান | প্রতিপক্ষ | স্থান | তারিখ | ফলাফল |
২/৪৯ | জিম্বাবুয়ে | হ্যামিল্টন | ১৫ ফেব্রুয়ারি | জয় |
২/৫৯, ২ | ভারত | মেলবোর্ন | ২২ ফেব্রুয়ারি | পরাজয় |
২/২৩ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | সিডনি | ২৭ ফেব্রুয়ারি | জয় |
৩/৩৪ | আয়ারল্যান্ড | ক্যানবেরা | ৩ মার্চ | জয় |
২/২৫, ৬* | পাকিস্তান | অকল্যান্ড | ৭ মার্চ | পরাজয় |
২/২৩ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ওয়েলিংটন | ১২ মার্চ | জয় |
১/২৭ | শ্রীলঙ্কা | সিডনি | ১৮ মার্চ | জয় |
৩/৫৯ | নিউজিল্যান্ড | অকল্যান্ড | ২৪ মার্চ | পরাজয় |
৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য তাদের পরিচালনাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[৬] এতে তিনিও অন্তর্ভুক্ত হন। শ্রীলঙ্কাকে কোয়ার্টার-ফাইনালে পরাজিত করলেও সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাভূত হয় তার দল। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকা দল বিশ্বকাপের সবগুলো সেমি-ফাইনালে চতুর্থবারের মতো পরাজয়বরণ করে।[৭] পুরো প্রতিযোগিতায় ১৭ উইকেট দখল করে পঞ্চম সর্বোচ্চ ও দলের পক্ষে শীর্ষ উইকেট সংগ্রহকারী হন তিনি।[৮]