মানস নদী | |
---|---|
![]() আসাম / ভুটান সীমান্তে মানস নদী। | |
![]() মানস নদীর নিকাশী অববাহিকা | |
স্থানীয় নাম | মানাহ নদী {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য) |
অবস্থান | |
দেশ | ভারত, ভুটান, চীন |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
দৈর্ঘ্য | ৩৭৬ কিলোমিটার (২৩৪ মাইল) |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
নদী ব্যবস্থা | ব্রহ্মপুত্র নদ |
মানস নদী (উচ্চারণ: ˈmʌnəs; ভুটানে দ্রাংমে ছু; চীনে নিয়ামজাং[১]) হিমালয়ের পাদদেশে, দক্ষিণ ভুটান এবং ভারতের মধ্যে একটি সীমানাসূচক নদী।
হিন্দু পুরাণের সর্প দেবতা মনসার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে।[২] ভুটানের এর চারটি প্রধান নদী ব্যবস্থার মধ্যে এটি বৃহত্তম নদী ব্যবস্থা,[৩] অন্য তিনটি হল - আমো চু বা তোর্সা নদী, ওয়াং চু বা রায়ডাক নদী, পুনা সাং চু বা সংকোশ নদী। এটি পশ্চিম দিয়ে আসাম আবার ভারতে প্রবেশ করার আগে আরও তিনটি প্রধান স্রোতের সাথে মিলিত হয়। নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩৭৬ কিলোমিটার (২৩৪ মাইল), ভুটানের মধ্য দিয়ে ২৭২ কিলোমিটার (১৬৯ মাইল) প্রবাহিত হয়েছে এবং তারপরে আসামের মধ্য দিয়ে ১০৪ কিলোমিটার (৬৫ মাইল) গিয়ে, এটি জোগিঘোপাতে বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়। মানসের আর একটি বড় উপ-নদী আই নদী আসামের বঙ্গপাড়ীতে এর সাথে মিলিত হয়।[৪][৫]
নদীর উপত্যকায় দুটি বড় সংরক্ষিত অরণ্য রয়েছে, একটি হল ভুটানের রয়েল মানস ন্যাশনাল পার্ক (৪৩,৮৫৪ hectare (১,০৮,৩৭০ একর), ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত) এবং অপরটি এর সংলগ্ন মানস বন্যজীবন অভয়ারণ্য (৩,৯১,০০০ hectare (৯,৭০,০০০ একর) ১৯৫৫ সালে, এবং এরপর ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে এটি গিয়ে দাঁড়ায় ৯৫,০০০ hectare (২,৩০,০০০ একর)), ব্যাঘ্র প্রকল্প সংরক্ষিত অঞ্চল, হস্তী সংরক্ষিত অঞ্চল এবং একটি জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করে। এটি ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে ইউনেস্কো থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষিত হয়েছিল।[৬][৭]
পূর্ব ভুটান এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের ৪১,৩৫০ বর্গকিলোমিটার (১৫,৯৭০ বর্গমাইল) অঞ্চল জুড়ে মানস নদীর অববাহিকা। এর তিনটি প্রধান শাখা রয়েছে: দ্রাংমে ছু, মাংদে ছু এবং বুমথাং ছু যা পূর্ব ভুটানের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে অববাহিকা তৈরি করেছে, টোঙ্গসা এবং বুমথাং উপত্যকাও এর অববাহিকার মধ্যে পড়ে। ভুটানের অববাহিকা অঞ্চলটি ১৮,৩০০ কিলোমিটার২ এবং এর ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ২৬°১৩′০১″ উত্তর ৯০°৩৭′৫৯″ পূর্ব / ২৬.২১৭° উত্তর ৯০.৬৩৩° পূর্ব।[৮][৯] অরুণাচল প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম কোণে বমলা পাসে ভারতে প্রবেশের আগে নদীর ধারার এক অংশ দক্ষিণ তিব্বতে ঢুকেছে।[১০] নদীটি ভুটানে নিম্ন হিমালয় পর্বতশ্রেণীর দুটি ভি-আকৃতির গিরিসঙ্কটের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আসামের মধ্য দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। পর্বতের পাদদেশ থেকে উপত্যকা শুরু হয়েছে। উপরের অংশটি তুষারে ঢাকা, মাঝের এবং নিচের অংশটি ঘন বনভূমিযুক্ত।[১০]
পুরো ভুটানের নদী ব্যবস্থার দৈর্ঘ্য ৩,২০০ কিলোমিটার (২,০০০ মাইল), নদীর মূল শাখাটি হল মানস বা গঙ্গরি নদী, এর উদ্ভব ভারতের অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলা থেকে এবং দক্ষিণ পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হওয়ার পরে এটি তাশিগংয়ের কাছে ভুটানে প্রবেশ করে। তাশিগংয়ে, এটি কুলং চু এর সাথে মিলিত হয়েছে। কুলং চু ভুটানের উত্তর হিমালয়ের বরফের মধ্যে জন্মেছে। তাশিগংয়ে নদীর প্রস্থ প্রায় ৫৫০ মিটার (১,৮০০ ফুট) এবং নদী তলের উচ্চতা ৬০৬ মিটার (১,৯৮৮ ফুট)। কুলং চু নদীটি দুটি নদী নিয়ে গঠিত। একটি হল টোংসা (মাংদে) চু, যেটি কুলা কাংরি শিখরের কাছে উত্তর ভুটানে জন্মেছে, যেখানে উচ্চতা ১,৬৬৬ মিটার (৫,৪৬৬ ফুট) এবং দ্বিতীয়টি বুমথাং নদী, মুরচাংফাই চু নামেও ডাকা হয়, এই দুটির মিলিত ধারা মানস নদীতে পড়েছে।[৪]
টেমপ্লেট:Hydrography of Bhutan টেমপ্লেট:Hydrography of North-east India