মান্দালয় অঞ্চল မန္တလေးတိုင်းဒေသကြီး | |
---|---|
অঞ্চল | |
মিয়ানমার প্রতিলিপি | |
• বর্মী | manta.le: tuing: desa. kri: |
মিয়ানমারে মান্দালয় অঞ্চলের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২১°০′ উত্তর ৯৫°৪৫′ পূর্ব / ২১.০০০° উত্তর ৯৫.৭৫০° পূর্ব | |
দেশ | মিয়ানমার |
অঞ্চল | মধ্য |
রাজধানী | মান্দালয় |
সরকার | |
• মুখ্যমন্ত্রী | জাও মিন্ট মং (এনএলডি) |
• মন্ত্রিপরিষদ | মান্দালয় আঞ্চলিক সরকার |
• আইনসভা | মান্দালয় আঞ্চলিক হ্লুত্তাউ |
• বিচার বিভাগ | মান্দালয় আঞ্চলিক হাইকোর্ট |
আয়তন[১] | |
• মোট | ৩৭,৯৪৫.৬ বর্গকিমি (১৪,৬৫০.৯ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৭ম |
জনসংখ্যা (২০১৪)[২] | |
• মোট | ৬১,৬৫,৭২৩ |
• ক্রম | ৩য় |
• জনঘনত্ব | ১৬০/বর্গকিমি (৪২০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | মান্দালয়ী |
জনমিতি | |
• জাতিসত্ত্বা | বামার, চীনা, শান, চিন, কায়িন, দক্ষিণ এশীয় |
• ধর্ম | বৌদ্ধ ধর্ম ৯৫.৭০%, ইসলাম ৩.০০%, খ্রিস্ট ধর্ম ১.১০%,এবং হিন্দুধর্ম ০.২% |
সময় অঞ্চল | এমএসটি (ইউটিসি+০৬:৩০) |
এইচডিআই (২০১৭) | ০.৫৭০[৩] medium · ৫ম |
ওয়েবসাইট | www |
মান্দালয় অঞ্চল (বার্মী: မန္တလေးတိုင်းဒေသကြီး, pronounced [máɰ̃dəlé táiɰ̃ dèθa̰ dʑí], প্রাক্তন মান্দালয় বিভাগ) মিয়ানমারের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি দেশের কেন্দ্রে অবস্থিত, এর পশ্চিমে সাগাইং অঞ্চল এবং মাগোয়ে অঞ্চল, পূর্বে শান রাজ্য এবং দক্ষিণে বাগো অঞ্চল ও কায়িন রাজ্য। এর আঞ্চলিক রাজধানী মান্দালয়। এই অঞ্চলের দক্ষিণে জাতীয় রাজধানী নেপিডো অবস্থিত। বিভাগটি সাতটি জেলা নিয়ে গঠিত, এগুলি আবার ৩০ টি শহর এবং ২,৩২০ টি ওয়ার্ড এবং গ্রাম-এলাকাতে বিভক্ত।
মান্দালয় অঞ্চল মিয়ানমারের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, এটি জাতীয় অর্থনীতির ১৫% অবদান রাখে। এটি মান্দালয় আঞ্চলিক সরকারের প্রশাসনের অধীনে রয়েছে।
মান্দালয় অঞ্চলের ইতিহাস অনেকটা ঊর্ধ্ব মিয়ানমারের মতোই, বর্মী ইতিহাসের বেশিরভাগ ব্যতীত, রাজনৈতিক শক্তি মান্দালয় অঞ্চলে অবস্থিত রাজকীয় রাজধানী থেকে উদ্ভূত। দেশের বর্তমান রাজধানী নেপিডো এবং বর্মী জাতির বেশিরভাগ প্রাক্তন রাজকীয় রাজধানী — পাগান, আভা, আমারাপুরা, মান্দালয় সবই এখানে অবস্থিত।
তিব্বতী-বর্মী ভাষায় কথা বলা পিউ হলো মিয়ানমারের শুষ্ক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকারী প্রথম ঐতিহাসিক মানুষ, যার মধ্যে মান্দালয় অঞ্চলটি প্রথম শতাব্দীর প্রথম দিকে অন্তর্ভুক্ত হয়। নবম শতাব্দীর গোড়ার দিকে, ইউনান এর নানঝাও রাজ্যের সাথে একের পর এক যুদ্ধে পিউরা ধ্বংস হয়ে যায়। নবম শতাব্দীতে বর্মীরা ইউনান থেকে এই অঞ্চলে পাড়ি জমায়, এই বর্মীরা ৮৪৯ সালে প্যাগান নামে তাদের নিজস্ব একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্যাগার রাজবংশ পরবর্তী দুই শতাব্দী ধরে ধীরে ধীরে মধ্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে এবং একাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে বর্তমান মিয়ানমারের সমস্ত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে। প্যাগান রাজাদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বর্মী ভাষা এবং লিপি সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেছিল।
১২৮৭ সালে মঙ্গোলদের কাছে প্যাগানদের পতনের পর মধ্য মায়ানমারের কিছু অংশ পরম্পরা একাধিক শাসকের নিয়ন্ত্রণে আসে: মঙ্গোল (১২৮৭- ১৩০৩ অবধি), মাইনসাইং (১২৯৮-১৩১৩), পিন্যা (১৩১৩–১৩৬৪) এবং সাগাইং (১৩১৫–১৩৬৪)। ১৩৬৪ সালে বর্মী শান রাজাদের নেতৃত্বে আভা রাজ্য সমস্ত মধ্য মিয়ানমারকে পুনরায় একীভৃত করে। মধ্য মিয়ানমার ১৫২৭ অবধি আভার নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং মনহিনের শান (১৫২৭-১৫৫৫) এর অধীনে ছিল। মধ্য মিয়ানমার ১৫৫৫ থেকে ১৭৫২ সাল পর্যন্ত টুঙ্গু রাজ্যের অংশ ছিল। অঞ্চলটির কিছু অংশ পেগুর (বাগো) মন এর অধীনে আসে (১৭৫২-১৭৫৩)। তৃতীয় অ্যাংলো-বর্মী যুদ্ধে পুরো ঊর্ধ্ব মিয়ানমার হেরে যাওয়া পর্যন্ত ১৮৮৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কনবুং রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেছিল।
ব্রিটিশ প্রশাসন ঊর্ধ্ব মিয়ানমারে সাতটি বিভাগ গঠন করে: মান্দালয়, মেকতিলা, মিনবু, সাগাইং এবং সংযুক্ত শান রাজ্য (উত্তর ও দক্ষিণ)। বর্তমানের কাচিন রাজ্য মান্দালয় বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৪০ সাল নাগাদ মেইকতিলা বিভাগকে মান্দালয় বিভাগে একীভূত করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ সালের মে থেকে মার্চ ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মান্দালয় বিভাগ সহ ঊর্ধ্ব মিয়ানমারের বেশিরভাগ অংশ জাপানিদের অধীনে ছিল। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে দেশটি যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার পর কাচিন রাজ্য গঠনের উদ্দেশ্যে মাইকিনা এবং ভামো জেলা গঠন করা হয়।[৪]
মান্দালয় অঞ্চলটি সাতটি জেলায় ৩১টি শহুরে এলাকা নিয়ে গঠিত।
এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। (June 2015) |
এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। (June 2015) |
এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। (June 2015) |
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯৭৩ | ৩৬,৬৮,৪৯৩ | — |
১৯৮৩ | ৪৫,৭৭,৭৬২ | +২৪.৮% |
২০১৪ | ৬১,৬৫,৭২৩ | +৩৪.৭% |
উৎস: ২০১৪ মিয়ানমার আদমশুমারি[২] |
মান্দালয় অঞ্চলের বেশিরভাগ লোক বামর (বার্মী)। মান্দালয় মেট্রোপলিটন অঞ্চলে একটি বড় চীনা জনগোষ্ঠী বাস করে, যাদের বেশিরভাগই ইউনান থেকে সাম্প্রতিককালে অভিবাসী হয়েছে, এখন এরা প্রায় বামার জনসংখ্যার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী।[৬] মান্দালয়ে প্রচুর ভারতীয় সম্প্রদায়ও বাস করে। ক্রমহ্রাসমান অ্যাংলো-বর্মী সম্প্রদায় এখনও পিনুলইন এবং মান্দালয় উভয় জায়গাতে রয়েছে। এই অঞ্চলের পূর্ব সীমান্তে শান সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ বাস করে।
বর্মী এই বিভাগের প্রধান ভাষা। তবে মান্দালয় এবং উত্তরের রত্ন খনির শহর মোগোক-এ ম্যান্ডারিন ভাষা ক্রমবর্ধমান মৌখিক ভাষা।
কৃষিকাজ এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস। মান্দালয় অঞ্চলে উৎপাদিত প্রধান ফসলসমূহ হলো ধান, গম, ভুট্টা, চিনাবাদাম, তিল, তুলা, কলাই, তামাক, মরিচ এবং শাকসবজি। মদ তৈরির কারখানা, টেক্সটাইল কারখানা, চিনি কল এবং রত্ন খনি সহ অন্যান্য কারখানা রয়েছে। পর্যটনশিল্প এখন মান্দালয় অঞ্চলের অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, কারণ এখানে মান্দালয়, আমারাপুরা, বাগান, পাইন ইউ লুইন, পোপা পর্বত এবং আভা সহ অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। সেগুন এবং থানাকা এর মতো শক্ত ও টেকসই কাঠও সংগ্রহ করা হয়।
মিয়ানমারে শিক্ষার সুযোগ প্রধান শহর ইয়াঙ্গুন এবং মান্দালয়ের বাইরে চরমভাবে সীমিত। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৪ সালে এই বিভাগের ৪,৪৬৭ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ লক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।[১] মোট বিদ্যালয়ের বিরাট সংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রায় ৪,০০০। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৩% শিক্ষার্থীরা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থান করে নিয়েছে।[৭]
২০০২-২০০৩ বছরে | প্রাথমিক | মাধ্যমিক | উচ্চতর |
---|---|---|---|
বিদ্যালয় | ৪,০১১ | ২৩১ | ১১৩ |
শিক্ষক | ১৯,০০০ | ৭,২০০ | ২,৫০০ |
ছাত্র | ৬৯০,০০০ | ২৫৯,০০০ | ৯১,০০০ |
মিয়ানমারের উচ্চশিক্ষার কয়েকটি সেরা প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে রয়েছে। চিকিৎসা, প্রকৌশল এবং কম্পিউটার বিষয়ে পড়াশোনা মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় মায়ানমারের সবচেয়ে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়, মান্দালয়, দন্ত চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়, মান্দালয়, মান্দালয় প্রযুক্তিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কম্পিউটার গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়, মান্দালয়। অন্যান্য উচ্চ পছন্দের বিদ্যালয় হলো মিয়ানমার এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাইনুলইনের সামরিক একাডেমী: প্রতিরক্ষা সেবা একাডেমি এবং প্রতিরক্ষা সেবা প্রযুক্তিক একাডেমি।
মিয়ানমারে স্বাস্থ্যসেবার সাধারণ অবস্থা খুবই খারাপ। সামরিক সরকার স্বাস্থ্যসেবার জন্য দেশের জিডিপির মাত্র ০.৫% থেকে ৩% এর মধ্যে ব্যয় করে, এটি ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সর্বনিম্ন র্যাঙ্কর্য[৮][৯] যদিও স্বাস্থ্যসেবা নামেমাত্র বিনামূল্যে, বাস্তবে রোগীদের ঔষধ এবং চিকিৎসার জন্য এমনকি সরকারি ক্লিনিক এবং হাসপাতালেও অর্থ দিতে হয়। সরকারি হাসপাতালে অনেক প্রাথমিক সুবিধা এবং সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে এই বিভাগের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংক্ষিপ্তসার নিচের সারণীতে দেওয়া হয়েছে।[১০]
২০০২–২০০৩ | # হাসপাতাল | # শয্যা |
---|---|---|
বিশেষায়িত হাসপাতাল | ৭ | ১,৭২৫ |
বিশেষায়িত সেবাদান সহ সাধারণ হাসপাতাল | ৫ | ১,৬৫০ |
সাধারণ হাসপাতাল | ৩০ | ১,২৬০ |
স্বাস্থ্য ক্লিনিক | ৪৩ | ৬৮৮ |
মোট | ৮৫ | ৫,৩২৩ |
২০০৫ সালে মান্দালয় অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ৪৪ টি হাসপাতাল ও ৪৪ টি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে প্রায় এক হাজারেরও বেশি চিকিৎসক এবং প্রায় ২ হাজার নার্স কাজ করেছে। ৩০ টিরও বেশি হাসপাতালে ১০০ টিরও কম শয্যা ছিল।[১] যেহেতু প্রায় সকল বড় সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডাক্তার মান্দালয়ে অবস্থিত, ৭.৭ মিলিয়ন মানুষের বিভাগের জন্য এই কম সংখ্যকটি খুবই কম, বিভাগের বাকি অংশে আসলে আরও খারাপ, যদিও এই পরিসংখ্যানগুলি ২০০৬ সালে নেপিডো জাতীয় রাজধানী হওয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে মরে করা হচ্ছে যদিও উন্নতির স্তরটি অপরিবর্তিত রয়েছে। দ্রুততর চিকিৎসা ও ভালমানের সেবা পাওয়ার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে মান্দালয় বা ইয়াঙ্গুনে বেসরকারি ক্লিনিকে যান।[১১] সামর্থবান ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য নিয়মিত বিদেশে যান (সাধারণত ব্যাংকক বা সিঙ্গাপুর)।[১২]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। UC Berkeley News।