মারিনা মাহাথির | |
---|---|
জন্ম | মারিনা বিনতি মাহাথির ৯ জুন ১৯৫৭ |
জাতীয়তা | মালয়েশিয়ান |
মাতৃশিক্ষায়তন | সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | কর্মী, লেখক |
দাম্পত্য সঙ্গী | দিদিয়ের রোসেইলি তারা সোসরোওয়ার্দিও (বি. ১৯৯৮) |
সন্তান | ৩ |
পিতা-মাতা | মাহাথির বিন মোহাম্মদ সিতি হাসমাহ মোহাম্মদ আলী |
দাতিন পাদুকা মারিনা বিনতি মাহাথির (জন্মঃ ৯ জুন ১৯৫৭) (Jawi: مارينا بنت محضير) একজন মালয়েশিয়ান সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মী এবং লেখক। তিনি মালয়েশিয়ার ৪র্থ এবং ৭ম প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ এবং সিতি হাসমাহ মোহাম্মদ আলীর জ্যোষ্ঠ সন্তান। সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
মারিনা বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের নেতৃত্ব দেন। তিনি একজন সামাজিক-রাজনৈতিক লেখক। এবং এসব বিষয়ে তিনি নিয়মিত লেখেন। ১৯৮৯ সাল থেকে দুই সপ্তাহ পরপর তিনি দ্যা স্টার পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন।[১] তার নিজের লেখা কিছু বইয়ে তার লেখা কলাম স্থান পেয়েছে।[১] ২০০৩ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তার কলামে লেখা নিবন্ধ নিয়ে দ্যা লেটার নামে একটি বই প্রকাশিত হয় যার ভূমিকা লিখে দিয়েছেন একজন ঐতিহাসি এবং বিজ্ঞানী, ডা. ফারিশ আ. নূর।[২]
তিনি নারীদের অধিকার আদায়েও একজন সক্রীয় কর্মী। ২০০৬ সালে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় নারীদের অবস্থা অনেকটা আফ্রিকার পিছিয়ে পড়া নারীদের মতো।
১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে মারিনা লিঙ্গ বৈষম্যের ইতি টানার ঘোষণা দেন।[৩]
২০০৯ সালে প্রকাশিত হওয়া মাহাথির মোহাম্মদকে নিয়ে বানানো ডকুমেন্টারিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে তিনি এতে অংশ নেন।
২০১০ সালে, এইডস/এইচ আই ভি নিয়ে কাজ করার জন্য ইউএন পারসন অব দ্যা ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন।[৪]
২০১৮ সালের জানুয়ারীতে, একজন মুসলিম পুরুষ একজন মুসলিম নারীকে হিজাব না পড়ার জন্য চোড় দেন। মারিনা এতে মন্তব্য করেন, ইসলামীকরণ প্রক্রিয়া মালয়েশিয়াকে সামনে ভোগাবে।[৫]
১৯৯৮ সালের ৭ জুন, মারিনা তারা সোসরোওয়ার্দিওকে বিয়ে করেন। তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রগ্রাহক। তাদের দুটি মেয়ে এবং একটি ছেলে রয়েছে।[৬][৭]
এর আগে, তিনি দিদিয়ার রোসেইলিকে বিয়ে করেন, যিনি একজন ফরাসী নাগরিক। তাদের ইরিজা রোসেইলি নামে একজন কন্যা রয়েছে।
২০১৬ সালে, ফ্রান্স সরকার তাকে ন্যাশনাল অর্ডার অব দ্যা লিজিওন অব অনার পুরস্কারে ভূষিত করেন।[৮] মারিনা অষ্টম মালয়েশিয়ান হিসেবে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।[৯]