মিন্নাতুল্লাহ রহমানি | |
---|---|
১ম সাধারণ সম্পাদক: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড | |
কাজের মেয়াদ ২৮ ডিসেম্বর ১৯৭৮ – ২০ মার্চ ১৯৯১ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৭ই এপ্রিল ১৯১৩ মুঙ্গের, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২০ মার্চ ১৯৯১ | (বয়স ৭৭)
ব্যক্তিগত তথ্য | |
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | সুন্নি, হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
যেখানের শিক্ষার্থী | নদওয়াতুল উলামা দারুল উলুম দেওবন্দ |
শিক্ষক | হুসাইন আহমদ মাদানি, মিয়াঁ আসগর হুসাইন দেওবন্দী এবং মুহাম্মাদ শফী উসমানী |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
মিন্নাতুল্লাহ রহমানি (৭ই এপ্রিল ১৯১৩ - ২০শে মার্চ ১৯৯১) ছিলেন একজন ভারতীয় সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত। তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড প্রথম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১][২]
তিনি ১৯১৩ সালের ৭ই এপ্রিল মুঙ্গেরে জন্মগ্রহণ করেন। [৩] তার পিতা মুহম্মদ আলী মুঙ্গেরী ছিলেন নাদওয়াতুল উলামা, লখনৌ- এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। [৪]
মুঙ্গেরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি হায়দরাবাদে মুফতি আব্দুল লতিফের নিকট আরবি ব্যাকরণ, বাক্য গঠন এবং যুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি আরও পড়াশুনার জন্য নাদওয়াতুল উলামায় ভর্তি হন এবং সেখানে চার বছর অধ্যয়ন করেন। ১৩৩৪ হিজরিতে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে চলে আসেন যেখানে তিনি হুসাইন আহমদ মাদানীর অধীনে সহীহ বুখারী অধ্যয়ন করেন। তিনি ১৩৫২ হিজরিতে দারুল উলূম মাদ্রাসা থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। [৫] তার অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন সাইয়িদ আসগর হোসাইন দেওবন্দী ও মুহাম্মদ শফি উসমানী । [৩]
১৯৩৫ সালে আবুল মুহসিন সাজ্জাদ মুসলিম ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং রহমানিকে এর সদস্য নিযুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে তিনি ১৯৩৭ সালে বিহার বিধানসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। [৩] তিনি ১৩৬১ হিজরীতে মুঙ্গেরের খানকাহ-রাহমানির সাজ্জাদা নাশিন এবং ১৯৫৫ সালে দারুল উলূম দেওবন্দের আইনসভা পরিষদের সদস্য হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। [৫] ক্বারী মুহাম্মদ তাইয়েবের পাশাপাশি তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং ১৯৭২ সালের ২৮ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বোর্ডের প্রথম বৈঠকে এর প্রথম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত হন। ১৯৬৪ সালে তিনি বিশ্ব মুসলিম কংগ্রেসে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৪৪ সালে তিনি ভারতের মুঙ্গেরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেন। [৩][৬]
১৯৯১ সালের ২০ শে মার্চ তিনি মৃত্যু বরণ করেন। [৩]
তার পুত্র ওয়াল রহমানি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক হন। [৭][৮] আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোহাম্মদ আজহার তার ডক্টরাল থিসিসে মিন্নাতুল্লাহ রহমানিকে নিয়ে লিখেছিলে। যার শিরোনাম ছিল: মাওলানা মিন্নাতুল্লাহ রাহমানী: তার জীবন বিশ্লেষণাত্মক গবেষণা এবং ধর্মীয়-বৌদ্ধিক অবদান । শাহ ইমরান হাসান তার জীবনী হায়াত-এ রাহমানী লিখেছেন : মাওলানা মিনাতুল্লাহ রাহমানী কী জিন্দেগি কা ইলমি অর তারখি মুতালা'আ ( ইংরেজি: The Life of Rahmani: A Study of Maulana Minatullah Rahmani’s Scholarly and Historical Legacy ) যাতে আখতারুল ওয়াসির একটি পূর্বসূচী রয়েছে । [৯]