মিয়া খলিফা | |
---|---|
ميا خليفة | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | লেবানিয় মার্কিন |
অন্যান্য নাম | মিয়া ক্যালিস্টা |
শিক্ষা | স্নাতক |
পেশা | |
কর্মজীবন | ২০১৪–২০১৯ (পর্নোগ্রাফি) |
পরিচিতির কারণ | পর্নহাব-এ প্রথম স্থানধারী (ডিসেম্বর, ২০১৪) |
উচ্চতা | ১.৫৭ মিটার (৫ ফুট ২ ইঞ্চি) |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সঙ্গী | রবার্ট স্যান্ডবার্গ (২০১৯-বর্তমান) |
ওয়েবসাইট | miakhalifa |
মিয়া খলিফা (আরবি: ميا خليفة, জন্মঃ ফেব্রুয়ারি ১০, ১৯৯৩[১]), এছাড়াও মিয়া ক্যালিস্টা নামেও পরিচিত, একজন লেবানিয়-মার্কিন ইন্টারনেট সেলিব্রিটি,[২] ওয়েবক্যাম মডেল[৩] এবং প্রাপ্তবয়স্ক মডেল,[১] যিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পর্নোগ্রাফিক অভিনেত্রী হিসেবে সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনের জন্য পরিচিত।
বৈরুতে জন্ম নিয়ে খলিফা ২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন। অক্টোবর ২০১৪ সালে তিনি পর্নোগ্রাফি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং ডিসেম্বরে পর্নহাব ওয়েবসাইট তালিকায় শীর্ষ স্থানে অবস্থান নেন। তার পেশা নির্বাচন মধ্যপ্রাচ্যে বিতর্কের বিষয় হয়েছিল, বিশেষ করে একটি ভিডিও, যেখানে তিনি ইসলামিক হিজাব পরিহিত অবস্থায় যৌনকর্ম সঞ্চালন করেছিলেন। যদিও এর প্রায় তিন মাস পরই তিনি পর্ন শিল্প থেকে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি ক্রীড়া ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন।[৪]
খলিফা ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সালে[১] লেবাননের বৈরুতে জন্ম নেন।[৫] পরবর্তীতে দশ বছর বয়সে, দক্ষিণ লেবাননের দ্বন্দ্বের জেরে জানুয়ারি ২০০১ সালে[৬] পরিবারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন।[৬][৭] তার পরিবার ছিল ক্যাথলিক এবং তিনি সেই ধর্মের অধীনে "অত্যন্ত রক্ষণশীল" পরিবারে বেড়ে উঠলেও[৬] পরবর্তীতে তার অনুশীলন করেন নি।[৮]
তিনি বৈরুতের একটি ফরাসি বেসরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন, যেখানে তিনি ইংরেজি শিখেন।[৬] পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার পর তিনি মন্টগোমেরি কাউন্টির, মেরিল্যান্ডে[৫] বসবাস করেন এবং সেখানকার উচ্চ বিদ্যালয়ে ল্যাক্রোসি বাজাতেন।[২] খলিফা "সেখানকার সবচেয়ে কৃষ্ণাঙ্গ এবং অদ্ভুত মেয়ে" হিসেবে উচ্চ বিদ্যালয়ে উত্যক্তের ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন, যা ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পরে তীব্রতর হয়ে উঠেছিল।[৬]
ম্যাসানুনটেন মিলিটারি একাডেমিতে খণ্ডকালীন পড়াশোনার পর খলিফা কলেজে পড়ার জন্য টেক্সাসে চলে আসেন।[৬] এর কয়েক বছর পর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট এল পাসো থেকে ইতিহাস বিষয়ে বিএ ডিগ্রি নেন তিনি।[৯]
কলেজে অধ্যয়নের সময় খলিফা বারটেন্ডার হিসাবে কাজ করতেন এবং কিছু মডেলিংয়ের কাজও করেছিলেন। তিনি ডিল অ্যান্ড নো ডিল-এর মতোন স্থানীয় স্পেনীয় ভাষার টেলিভিশন গেম শোতে "ব্রিফকেস গার্ল" হিসাবে অভিনয় করেছিলেন।[৬] স্নাতক শেষ করার পরে, তিনি মিয়ামিতে চলে আসেন এবং নগ্ন মডেলিংয়ে কাজ করার জন্য তটস্থ ছিলেন।[৬]
২০১৪ সালের অক্টোবরে, খলিফা পর্ণোগ্রাফি চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন।[১০] মিয়ামিতে হেটে বেড়ানোর সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, তিনি পর্নোচলচ্চিত্রে কাজ করতে আগ্রহী কি না।[১১][১২] হিজাব পরিহিত অবস্থায় থ্রিসামকালীন একটি ব্যাংব্রোস দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে তিনি ব্যাপকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।[৬] এই দৃশ্যটি খলিফাকে তাৎক্ষণিক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি লেখক এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সমালোচনার মুখোমুখি এনেছিল।[৬] দৃশ্যটির প্রযোজক বলেছিলেন, "আমরা [খলিফার জাতিগোষ্ঠীত্ত্ব] সুযোগের সদব্যবহার করার চেষ্টা করছিলাম না। আমরা এটি অভিষঙ্গ করতে চেয়েছিলাম। যদিও এর নেতিবাচকতা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।"[৬] এক্সহ্যামস্টারের বিপণনের উপ-সভাপতি অ্যালেক্স হকিন্স বলেছিলেন, "আরব বিশ্বে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল তা কিছুটা 'স্ট্রাইস্যান্ড এফেক্ট' হয়ে দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ, সবাই খলিফার সার্চ করছিল। তাকে সেন্সরের প্রচেষ্টা তাকে আরো সর্বব্যাপী পরিচিত করে তুলেছিল।"[৬] ২০১৫ সালের হিসেবে, ১.৫ মিলিয়নেরও অধিক দর্শকসংখ্যার পাশাপাশি, ২২ বছর বয়সী খলিফা প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট পর্নহাবের সর্বাধিক অনুসন্ধানকৃত মডেল হিসেবে উন্নীত হন।[১৩] সে বছর ২৮ ডিসেম্বরে পর্নহাব তাদের ওয়েবসাইটে নাম্বার ১ স্থানে খলিফার নাম প্রকাশ করে বহুদর্শী লিসা অ্যানের পরিবর্তে।[১৪]
সম্ভবত 'হিজাব পর্ন তারকা' হিসেবে খ্যাত খালিফা, ২০১৪ সালের দিকে প্রচলিত মুসলিম পোশাকে ক্যামেরায় উপস্থিতির কারণে শিরোনাম হয়েছিলেন। ব্যাং ব্রোস চলচ্চিত্র স্টুডিও প্রথমে তার দেশ লেবাননে এই অবমাননার অবতাড়না ছড়িয়েছিল, যেখানকার বিদ্বেষীরা দাবী করেছিল যে তিনি (খলিফা) জাতির জন্য অকল্যাণ এনেছেন এবং ইসলামের অবমাননা করেছেন। লোডেডের সাথে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খলিফা বলেছিলেন, তিনি অনুভব করেছিলেন যে তাকে তার জন্মভূমিতে ইন্টারনেট সেন্সরশিপের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে, এবং মার্কিন পর্ন তারকাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সেখানকার আরও অনেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন। তারা দাবি করে যে 'তিনি অন্যদের তুলনায় অধিক শালীন।
তার এ খ্যাতি মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল জনমনে কঠোর সমালোচনার অবতারণা করে, যেখানে তার পেশাজীবন লজ্জাকর ও কলঙ্কময় বলে মনে করা হয় এবং যে কারণে নিজ দেশেও খলিফার সম্মানহানি ঘটে।[১৬] পর্নহাবে শীর্ষস্থান অধিকারের পরপর তিনি অনলাইন মৃত্যুর হুমকি পান, যার মধ্যে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের একটি হস্তনির্মিত ছবিতে তাকে শিরচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এমন দেখানো হয়। একটি সতর্কবার্তায় তাকে নরকে যেতে হবে বলেও দাবী জানাো হয়, যার জবাবে তিনি বলেন, "আমি সম্প্রতি একটু চিন্তিত"।[১৬] লেবানিয় সংবাদপত্র খলিফার সমালোচনামূলক নিবন্ধও ছাপা হয়, যা তিনি সে দেশের অন্যান্য ঘটনাগুলির তুলনায় তুচ্ছ বলে মনে করেন।[১৭]
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক সাক্ষাৎকারে, খলিফা বলেন বিতর্কিত দৃশ্যটি ছিল বিদ্রুপাত্মক এবং এটি সেভাবেই গ্রহণ করা উচিত, এবং হলিউড চলচ্চিত্র যে কোনো পর্নোগ্রাফির তুলনায় অনেক বেশি নেতিবাচক ভাবে ইসলামকে চিত্রিত করা হয়ে থাকে বলে দাবি করেন।[১৬] যারা সর্বজনীনভাবে খলিফার প্রাপ্তবয়স্ক পরিবেশনকারী হয়ে উঠার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাতে মুখ খোলেন তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ-লেবানিয় লেখক নাসরি আতাল্লাহ, যিনি বিবৃতি দেন, "এই নৈতিক আবেগ... দুটি কারণের জন্য ভুল। প্রথম এবং সর্বাগ্রে, একজন নারী হিসেবে, তিনি তার শরীরের সঙ্গে যে কোনো কিছু করার অধিকার রাখেন। একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসাবে, যিনি বিশ্ব জুড়ে অর্ধেক বাস করে, তিনি তার নিজের জীবনের দায়িত্বে রয়েছেন এবং যে দেশে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন সেখান থেকে একেবারে কিছুই পান নি তিনি"[১৮] নিজের বিতর্ক সম্পর্ক খলিফা মন্তব্য করেছিলেন: "লেবাননে নারীদের অধিকারকে গুরুত্বের সাথে নেওয়া অনেক দূরের ব্যপার যেখানে একজন লেবানিয়-মার্কিন পর্ন তারকা বাস করতে পারে না। একসময় আমি মধ্যপ্রাচ্যের সর্বাধিক পশ্চিমা দেশ হিসাবে কীভাবে মানুষকে গর্বিত করেছিলাম তা এখন ধ্বংসাত্মকভাবে সেকেলে ও নিপীড়িত হিসাবে দেখি।"[১৬] তাছাড়াও তিনি বলেন, তার পেশা নির্বাচনের কারণে তার বাবা তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন।[১৬]
পর্ণহাব থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩-৪ জানুয়ারি, মিয়া খলিফার অনুসন্ধানকারীর সংখ্যা পাঁচ দফা উন্নীত হয়। যার এক চতুর্থাংশ অনুসন্ধানকারী ছিলেন লেবানন থেকে, মূল অনুসন্ধানকারী ছিল মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া এবং জর্দানের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে।[৮] হিজাব সম্পর্কিত বিতর্কের কারণে, জুলাই ২০১৬ সালে, তিনি ব্রিটিশ পুরুষ ম্যগাজিন লোডেড কর্তৃক তাদের "দা ওয়ার্ল্ড'স টেন মোস্ট নটোরিয়াস পর্ন স্টার্স" তালিকায় পঞ্চম স্থানে অবস্থান নেন।[১৫] আলমাজা, নামে লেবানিয় ব্রিউয়ারি, খালিফার স্বাক্ষরযুক্ত গ্লাসের পাশে তাদের বিয়ারের বোতল দেখিয়ে একটি বিজ্ঞাপন চালিয়েছিল, এই স্লোগান সহ: "আমাদের উভয়কেই ১৮+ রেট দেওয়া হয়েছে।"[১৯] ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে পপ ব্যান্ড টাইমফ্লাইস তাকে শ্রদ্ধা জানাতে "মিয়া খলিফা" শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করে।[২০]
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে, খলিফা প্রতি মাসে একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ব্যাং ব্র্রসের মূল কোম্পানির সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। যদিও, দুই সপ্তাহ পরে, তিনি মত পরিবর্তন করে এই চুক্তি ত্যাগ করেন।[৬] বিশ্বব্যাপী তার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তাকে এই শিল্প ত্যাগ করতে প্ররোচিত করেছিল: ""এটি আমার জন্য দৃষ্টি-উন্মোচন ছিল। আমি এর কোনটিই চাই না, এটি ইতিবাচক বা নেতিবাচক হোক— যদিও এগুলির সবই নেতিবাচক ছিল। আমার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার এবং সম্পর্ক কীভাবে ভুগছে সে সম্পর্কে আমি এ নিয়ে খুব বেশি ভাবিনি।"[৬]
২০১৬ সালের জুলাইয়ে, দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক সাক্ষাৎকারে, খলিফা জানায় যে তিনি কেবল তিন মাসের জন্য পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করেছিলেন এবং এক বছরের আগেই "স্বাভাবিক কাজে" যুক্ত হতে পর্নশিল্প ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "এটা আমার বিদ্রোহী পর্যায় ছিল বলে মনে করি। এটা সত্যিই আমার জন্য ছিল না। আমি ধীরে-ধীরে নিজেকে এর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করি।"[২] ২০১৬ সালের মে মাসের হিসাবে, খলিফা একজন ওয়েবক্যাম মডেল হিসেবে কাজ করছেন।[৩]
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে, এক্সহ্যামস্টার প্রতিবেদন করেছে যে খলিফা ২০১৬ সালের সর্বাধিক অনুসন্ধানকৃত প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী ছিলেন।[২১][২২] ২০১৮ সালে, পর্ন শিল্প ছাড়ার তিন বছর পরেও তিনি পর্নহাবের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।[২৩] ২০১৯ সালের আগস্টে, তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি কেবল পর্ন শিল্পে কাজ করে মার্কিন$১২,০০০ ডলার উপার্জন করেছিলেন,[২৪] এবং পর্নহাব বা অন্য কোনও সাইট থেকে তিনি কখনই বাড়তি আয় গ্রহণ করেন নি।[২৫]
পর্নোগ্রাফি কর্মজীবন থেকে অব্যাহতি নেবার পর, খলিফা মিয়ামিতে প্যারালিগাল এবং বুককিপার হিসাবে কাজ করেন।[৬] একজন সামাজিক মাধ্যম ব্যক্তিত্ব হিসাবে তিনি নিজেকে প্রকাশ করেন, পাশাপাশি ওয়েবক্যাম মডেল এবং ক্রীড়া ভাষ্যকার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন; টুইচ লাইভ স্ট্রিমস এবং ওয়েবক্যাম মডেল হিসাবে পরিবেশন করেন। সদস্যতা ওয়েবসাইট প্যাট্রিয়নে আলোকচিত্র গ্রহণ, পণ্যদ্রব্য এবং একচেটিয়া সামগ্রীতে প্রবেশাধিকার বিক্রি করেন; এবং সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইট ফাইন্ড্রোতে সুব্যক্ত আলোকচিত্র গ্রহণ এবং ভিডিও বিক্রয়ে নিয়োজিত হন।[৬] তিনি এবং গিলবার্ট অ্যারেনাস কমপ্লেক্স নিউজের ইউটিউব চ্যানেলের ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান আউট অব বাউন্ডস সঞ্চালনের দ্বায়িত্বে ছিলেন।[২৬]
টাইলার কো-এর পাশাপাশি খলিফাকে স্পোর্টসবল-এর সহ-আয়োজক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যেটির দ্বিতীয় মরসুমের ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই এককভাবে রোস্টারটিথে প্রচারিত হয়েছিল। এর চূড়ান্ত পর্বটি ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছিল।[২৭]
২০১২ সালের বিবিসির হার্ডটকের এক সাক্ষাৎকারে খলিফা পর্ন শিল্প এবং এর গোপনীয়তার ক্ষতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলেন।[২৮]
নভেম্বর ২০১৬ সালে, একটি অনলাইন আবেদনে খলিফাকে রাষ্ট্রপতি-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিল।[২৯]
২০১৮ সালে, একজন ব্যবহারকারী দ্বারা খালিফার ছদ্মবেশে পোস্ট করা একটি জাল টুইটের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, মিউজিকাল জুটি আইলভফ্রাইডে "মিয়া খলিফা" নামে একটি বিচ্ছিন্ন ট্র্যাক প্রকাশ করেছে। "হিট অর মিস" স্নিপেটটি টিকটক অ্যাপে জনপ্রিয়তা অর্জনের পরে গানটি একটি ইন্টারনেট মিমে পরিণত হয়েছিল।[৩০][৩১] এটি পশ্চিমা বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত ভাইরাল টিকটক মিম যা প্রায় চার মিলিয়ন টিকটক ভিডিওতে ব্যবহৃত হয়েছে।[৩২]
আঠারো বছর বয়সে, ২০১১ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে খলিফা তার বিদ্যালয়ের প্রেমিককে বিয়ে করেন,[৩৩] যিনি একজন মার্কিন নাগরিক।[৭] ২০১৪ সালে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ ঘটে এবং ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ।[৬][৩৩]
পর্নোগ্রাফি পেশা শুরু করার সময় খলিফা ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বসবাস করতেন এবং পরে টেক্সাসে চলে আসেন।[২] তিনি ফ্লোরিডা স্টেট সেমিনোলস ফুটবলের ভক্ত এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে স্থানান্তরিত করার জন্য ওহাইও অঙ্গরাজ্যে কোয়ার্টারব্যাক ব্র্যাকসটন মিলারকে নিয়োগের চেষ্টা করেছিলেন।[৩৪] পর্নোগ্রাফি কর্মজীবনের ইতি টানার পরে, তিনি ওয়াশিংটন, ডি.সি. অঞ্চল,[২] ওয়াশিংটন রেডস্কিন্স, ওয়াশিংটন উইজার্ডস এবং ন্যাশনাল হকি লীগের ওয়াশিংটন ক্যাপিটাল সহ পেশাদার ক্রীড়া দলগুলিকে সমর্থন করার জন্য তার সামাজিক মাধ্যম টুইটারে ২.৩ মিলিয়ন এবং ইনস্টাগ্রামে ১১ মিলিয়নের অধিক অনুগামীর সৃষ্টি হয় যার মধ্যে তার প্রিয় খেলোয়াড় হলেন আন্দ্রে বুরাভস্কি।[৩৫] দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের ড্যান স্টাইনবার্গ পর্যবেক্ষণ করেছেন যে কর্মজীবন পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও, খালিফার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি "বেন বার্নানককে বলে," তার চেয়ে এখনও কিছুটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।"[২]
খলিফার শরীরে লেবাননের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন এবং লেবানিয় ফোর্সেস ক্রুশের উল্কি রয়েছে।[১৬] ২০১২ সালে লেবাননে বোমা হামলার পরে তিনি একটি চিঠি পেয়েছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল যে "আমার বাবার রাজনৈতিক মতামতের সাথে একাত্মতা প্রদর্শন।" দুটি উল্কি তার প্রতিবাদকারীদের তদন্তের আওতায় এসেছিল।[১৬]
খলিফা ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের সমর্থক।[৩৬] ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে লন্ডন স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট হ্যাম এবং আর্সেনালের মধ্যেকার একটি প্রিমিয়ার লীগ চলাকালীন, ডাইভিংয়ের জন্য আর্সেনাল মধ্যমাঠের খেলোয়াড়, ম্যাটিও গুয়েনডোজির প্রতি খলিফার মৌখিক অপব্যবহার সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলিতে ব্যপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল।[৩৭]
২০১৯ সালের দিকে তিনি সুয়েডিয় রন্ধনশিল্পী রবার্ট স্যান্ডবার্গের সাথে প্রণয়ে আবদ্ধ হন।[৩৮] সে বছরের ১২ মার্চে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়।[৩৩] এরপর তাদের বিবাহের পরিকল্পনা থাকলেও, ২০১৯-২০ করোনাভাইরাস সংকটের কারণে খলিফা স্যান্ডবার্গের সাথে বিবাহ স্থগিত রাখেন।[৩৯]
বর্তমানে খলিফা লস অ্যাঞ্জেলেসে বাস করছেন।[৩৩]