মিশেল মাইয়র | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | সুইজারল্যান্ডীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | লোজান বিশ্ববিদ্যালয় (বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর, ১৯৬৬) জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় (ডক্টরেট, ১৯৭১) |
পরিচিতির কারণ | পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (২০১৯) |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | "The kinematical properties of stars in the solar vicinity: possible relation with the galactic spiral structure." "সূর্যের নিকটবর্তী অঞ্চলে নক্ষত্রসমূহের গতীয় ধর্মসমূহ: ছায়াপথের পেঁচানো কাঠামোর সাথে সম্ভাব্য সম্পর্ক" |
মিশেল মাইয়র (জন্ম ১২ই জানুয়ারি ১৯৪২) সুইজারল্যান্ডের জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী ও জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ বিষয়ক বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত সাম্মানিক (এমেরিটাস) অধ্যাপক।[১] ২০০৭ সালে অধ্যাপনার কাজ থেকে অবসর গ্রহণের পরে তিনি জেনেভা মানমন্দিরে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি মহাবিশ্বের গঠন ও ক্রমবিকাশের পাঠে নতুন আলোর সঞ্চার করার পাশাপাশি সৌরজগতের বাইরে সূর্যের মত নক্ষত্র ঘিরে আবর্তনরত প্রথম গ্রহ আবিষ্কারের স্বীকৃতিতে ২০১৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন (দিদিয়ে কেলোজ এবং জিম পিবল্স-এর সাথে)।[২][৩][৪]
মাইয়র ১৯৬৬ সালে লোজান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উপাধি এবং ১৯৭১ সালে জেনেভা মানমন্দির থেকে মহাকাশবিজ্ঞানে ডক্টরেট উপাধি (পিএইচ ডি) অর্জন করেন।[৫].
১৯৭১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মাইয়র জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন গবেষণা সংস্থা জেনেভা মানমন্দিরে সহযোগী গবেষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে তিনি অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত হয়ে ২০০৭ সালে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং সেখান থেকেই নিয়মানুসারে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। মাইয়র ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জেনেভা মানমন্দিরের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাতিরিক্ত সাম্মানিক (এমেরিটাস) অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত আছেন।
মিশেল মাইয়র ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম এমন বহির্গ্রহ আবিষ্কার করেন যার মাতৃনক্ষত্রের আকৃতি আমাদের নিজের নক্ষত্র,সূর্যের মতো। উল্লেখ্য, সৌরজগতের বাহিরের গ্রহগুলোকে বহির্গ্রহ (Exoplanet) বলে। প্রথম বহির্গ্রহ শনাক্ত করা হয় ১৯৯২ সালে। সে-বছর পিএসআর বি১২৫৭+১২ নামক পালসারটির চারপাশে বেশ কিছু ভূসদৃশ (টেরেস্ট্রিয়াল) গ্রহ আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু কোনো প্রধান ধারার তারাকে আবর্তনকারী প্রথম বহির্গ্রহ শনাক্ত করেন মিশেল মাইয়র ও নোবেলজয়ী দিদিয়ে কেলোজ ১৯৯৫ সালে।[৬] সেটি ছিল পৃথিবীর বেশ কাছে অবস্থিত তারা ৫১ পেগাসি কে চারদিকে একবার আবর্তন করে এমন একটি দানব গ্রহ যার ভর আমাদের বৃহস্পতির প্রায় সমান।[৭] কিন্তু এই বহির্গ্রহটির উপস্থিতি সাধারণভাবে পাওয়া যায় নি। এর জন্য তারা ডপলার এফেক্ট ব্যবহার করেছিলেন। পরবর্তীতে আরও ৪০০০ টিরও অধিক বহির্গ্রহ আবিষ্কার হয়। যা থেকে আমরা গ্রহদের গতি,ধরন,আকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারি।[৮]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; MPC-object
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি