মুখার্জী-সমর্থ পরিবার | |
---|---|
বলিউড চলচ্চিত্র গোষ্ঠী | |
দেশ | ব্রিটিশ ভারত (১৯৩০-১৯৪৭) ভারত (১৯৪৭-বর্তমান) |
বর্তমান অঞ্চল | উত্তরপ্রদেশ |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৩০-এর দশক |
প্রতিষ্ঠাতা | শশধর মুখার্জী |
সংযুক্ত সদস্য |
মুখার্জী-সমর্থ পরিবার বাঙালি-মারাঠি হিন্দু পরিবার যেটি ১৯৩০-এর দশক থেকে বলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত। শোভনা সমর্থ ১৯৩৫ সালে প্রথম চলচ্চিত্র অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে তনুজা শমু মুখার্জীর সাথে বিবাহবন্ধনের মাধ্যমে মুখার্জী-সমর্থ পরিবারের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন।[১]
মুখার্জী পরিবার ছিল একটি বাঙালি হিন্দু পরিবার, যার নেতৃত্বে ছিলেন শশধর মুখার্জী। তিনি ফিল্মালয় স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২] তিনি অশোক কুমারের বোন সতীরাণী গাঙ্গুলিকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের পাঁচ পুত্র রোনো মুখার্জী, জয় মুখার্জী, দেব মুখার্জী, শমু মুখার্জী এবং সুবীর মুখার্জী পারিবারিক অনুসরণে চলচ্চিত্র শিল্পে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। রোনো একটি চলচ্চিত্রের পরিচালনা ও সুর করেছিলেন। তিনি অভিনেত্রী শর্বাণী মুখার্জীর পিতা। জয় ও দেব দুজনেই অভিনেতা ছিলেন। দেবের পুত্র অয়ন মুখার্জি একজন পরিচালক এবং কন্যা সুনিতা পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরকে বিয়ে করেছেন। শমু একজন পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন। তাঁর কন্যা অভিনেত্রী কাজল ও তানিশা। চন্দনা মুখার্জী ছিলেন তাঁর সময়ের পণ্ডিত। সমস্ত মুখার্জী সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন জ্যেষ্ঠ। তিনি তাঁদের সময়ের জমিদার গুহ পরিবারে বিয়ে করেছিলেন। সুবীর মুখার্জী ছিলেন একজন প্রযোজক।
শশধরের কনিষ্ঠ ভাই সুবোধ মুখার্জী ছিলেন একজন পরিচালক, যিনি ২০০৫ সালের ২১ মে মারা যান। তাঁর স্ত্রী কমলা, পুত্র সুভাষ ও সঞ্জয় ও কন্যা গীতাঞ্জলি।
শশধরের জ্যেষ্ঠ ভাই ছিলেন রবীন্দ্রমোহন মুখার্জী। তাঁর ছেলে রাম মুখার্জী ছিলেন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং ফিল্মালয়া স্টুডিওর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর তিনি মারা যান। তার স্ত্রী কৃষ্ণা মুখার্জী, অভিনেত্রী রানী মুখার্জী[৩] এবং নির্মাতা রাজা মুখার্জী তাদের সন্তান।[৪]
ফিল্মালয়া স্টুডিওস বর্তমানে মুখার্জী ভাইদের মালিকানাধীন।
সমর্থ একটি মারাঠি চন্দ্রসেনিয়া কায়স্থ প্রভু (সিকেপি) পরিবার। চলচ্চিত্রে তাঁদের প্রথম উত্তরাধিকার ছিলেন ১৯৪০-এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রতন বাঈ তাঁর কন্যা শোভনা সমর্থ (১৯১৬-২০০০) একজন অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি লাভ ইন সিমলা (১৯৬০)-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, এতে জয় মুখার্জীও ছিলেন।
অভিনেত্রী তনুজা সমর্থ ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শমু মুখার্জীর কন্যা, কাজল বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী।[৫] চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য রেকর্ড সংখ্যক পাঁচবার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ খল অভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জনকারী প্রথম অভিনেত্রী তিনি। তার ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে বাজীগর (১৯৯৩), দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে (১৯৯৫), গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ (১৯৯৭), ইশ্ক (১৯৯৭), প্যায়ার তো হোনা হি থা (১৯৯৮), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), কাভি খুশি কাভি গাম... (২০০১) এবং ফানা (২০০৬)।
কাজল অভিনেতা অজয় দেবগনকে বিয়ে করেছেন।[৬] এই দম্পতির এক কন্যা নাইসা দেবগন[৭] এবং এক পুত্র যুগ দেবগন।[৮] কয়েক বছর ধরে, তিনি বিবাহ এবং মাতৃত্বের দিকে মনোনিবেশের কারণে অভিনয়ে বিরতি নিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমির খানের বিপরীতে ফানা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন। কাজল তার স্বামীর পরিচালনায় ইউ মি অর হাম (২০০৮) চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেছেন।
তার ছোট বোন তানিশা মুখার্জী, খালা নূতন, ঠাকুমা শোভনা, দাদি রতন বাই। চাচাতো ভাই শরবানী মুখার্জী, মহনিশ ও রানিও বলিউড অভিনেতা। অন্য এক চাচাত ভাই, আয়ান একজন পরিচালক। তার দাদা কুমারসেন সমর্থ ছিলেন কবি।[৯][১০]