মুফতি মাহমুদ মুখ্যমন্ত্রী | |
---|---|
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭২ – ১৯৭৩ | |
পূর্বসূরী | সরদার বাহাদুর খান |
উত্তরসূরী | ইনয়াতুল্লাহ খান গানাপুর |
আমির, জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৮ – ১৯৮০ | |
পূর্বসূরী | আবদুল্লাহ দরখাস্তি |
উত্তরসূরী | ফজলুর রহমান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯১৯ কুলাচি, ডেরা ইসমাইল খান জেলা |
মৃত্যু | ১৯৮০ (বয়স ৬১) কুলাচি, ডেরা ইসমাইল খান জেলা |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (সদস্য) জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (প্রতিষ্ঠাতা সদস্য) |
সন্তান | |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
ধর্ম | ইসলাম |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
মুফতি মাহমুদ (পশতু: مولانا مفتى محمود), (১৯১৯–১৯৮০) ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর একজন সদস্য এবং পাকিস্তানের ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[১] খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।[২]
১৯১৯ সালের জানুয়ারীতে তিনি খান জেলার ডেরা ইসমাইলের আব্দুল খেলের মারভাত পশতুন সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হিসেবে জন্ম নেন। তিনি ভারতের মোরাদাবাদে জামিয়া কাসিমিয়া থেকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৪১ সালে তিনি আইশেহেল, মিয়ানওয়ালিতে একজন শিক্ষক হিসেবে প্রাথমিকভাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর একজন কর্মী ছিলেন এবং ১৯৪০-এর দশকের দিকে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বিভাজনে বিশ্বাসী ছিলেননা তাই প্রাথমিকভাবের এর বিরোধিতা শুরু করেন এবং মুসলিম লীগের বিরুদ্ধেও প্রচার প্রচারণা শুরু করেন।[১]
১৯৫০ শতকের শুরুর দিকে তিনি পাঞ্জাবের মুবারান প্রদেশের একটি মাদ্রাসা কাসিম-উল উলুমের একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীকালে তিনি তার অসাধারণ মেধার সুবাদে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রধান মুদাররেস, প্রধান মুফতি, শাইখ-উল-হাদীস ও মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার জীবদ্দশায় প্রায় ২৫,০০০ এর মত ফতোয়া দেন।[১] তিনি আইয়ুব খানের জারী করা 'ওয়ান স্কিল স্কিম' এর বিরোধিতা করেন। মুফতি মাহমুদ আইয়ুব খানের 'মৌলিক গণতন্ত্র কার্যক্রম' এর অধীনে প্রথমবার জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৬২ সালে তিনি তার সমস্ত প্রতিপক্ষদের পরাজিত করেন।[১]
১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের পরে, তিনি শাবির আহমেদ উসমানী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামিয়াত উলামায়ে -ইসলামের সভাপতি নির্বাচিত হন।এরপর তিনি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য জাতীয় আওয়ামী পার্টি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাথে নিয়ে একটি জোট গঠন করে।১৯৭০ এর দশকে জামিয়াত উলামায়ে -ইসলাম সৌদি আরব থেকে গুরুত্বপূর্ণভাবে আর্থিক অনুদান লাভ করে।[৩]
১৯৭২ সালের ১লা মার্চ তারিখে, পাকিস্তানের জুলাফিকার আলী ভুট্টো শাসনামলে তিনি খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, তিনি বেলুচিস্তানে ন্যাপ-জুই(এ) জোট সরকারের বরখাস্তের প্রতিবাদে তিনি তার মন্ত্রিসভার থেকে পদত্যাগ করেন।[১]
১৯৮০ সালের ১৪ই অক্টোবর তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে তার নিজ শহর আব্দুল খেল, পানিয়ালা, দেরা ইসমাইল খান জেলার কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তার সন্তান মাওলানা ফজলুর-রহমান বর্তমানে একজন উল্লেখযোগ্য রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত এবং ২০১৭ সাল অবধি তিনি পাকিস্তানে জমিয়াত উলামায়ে-ইসলাম পার্টির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[৪]
By the 1970s, the JUI, under the leadership of Mawlana Mufti Mahmud (d. 1980) was a chief recipient of the aforementioned Wahhabite-Athari support from the Gulf monarchies, chiefly Saudi Arabia.
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সরদার বাহাদুর খান |
খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ১৯৭২ – ১৯৭৩ |
উত্তরসূরী ইনয়াতুল্লা গানাপুর |
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
পূর্বসূরী আবদুল্লাহ দরখাস্তি |
জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম ১৯৬৮ – ১৯৮০ |
উত্তরসূরী ফজলুর রহমান |