উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
---|---|
| |
ভাষা | |
ধর্ম | |
ইসলাম | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
রাজপুত |
মুসলিম রাজপুত বা মুসলমান রাজপুত, হল রাজপুতদের পিতৃগোত্রজ উত্তরপুরূষ। যাদের পূর্বপুরুষরা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর অঞ্চলে বসবাস করত যারা মুসলিম ধর্মের অনুসারী ছিল।[১] বর্তমানে উত্তর ভারত, আজাদ কাশ্মীর, এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধ রাজ্যে বসবাস করতে দেখা যায়। [২] বর্তমানে তারা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হয়ে পরেছে। সোনারগাঁও এর ঈশা খাঁ ছিলেন একজন মুসলিম রাজপুত।
উৎপত্তিগত ভাবে রাজপুত শব্দের অর্থ হল সূয্য বংশিয়, চন্দ্রবংশিয় বা অগ্নি বংশিয় গোত্র। যারা নিজেদের ক্ষত্রিয় বলে দাবী করে। ধর্মীয় ভিন্নতা থাকলেও যখনই রাজপুতদের অভিন্ন গৌরবের প্রশ্নে হিন্দু ও মুসলিম উভয় রাজপুত গোষ্ঠী বহুবার একত্রিত হয়ে বহি:শত্রুর মোকাবেলা করেছে।[৩]
বর্তমান উত্তর প্রদেশএর বুলানশহরের থুর্জা তাহশিলে রাজপুতদের ইসলাম গ্রহণের কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়। [৪]
নবম শতকে পাঞ্জাবে ইসমাইলী রাজপুতরা সুন্নি আরবদের স্থান দখল করে। এ রাজবংশ ১১ শতকের মধ্যভাগ পর্য়ন্ত টিকে ছিল যার রাজধানী ছিল মুলতান। গজনি শাসনামলে কাতারদের উপর চরম অত্যাচার চালান হয়। পরবর্তীতে তারা ফাতিমিদ খলিফা প্রেরিত দা’য়ী হালিমের নিকট ইসমাইলি ধর্মে দিক্ষিত হয়। তাদের শাসনকালে মুলতানে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, এবং স্থানীয় সংস্কৃতির প্রসার ঘটে।
১০ শতকে আরব হাব্বিরি রাজবংশের স্থলে সুুমারা রাজবংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সিন্ধের ইতিহাসে সুমারারা অন্যতম দীর্ঘ শাসক হিসাবে পরিচিত। তাদের রাজত্বকাল ৩২৫ বছর টিকে ছিল। তাদের শাসনামলে ব্যবসায় বাণিজ্যে এবং সংস্কৃতির প্রসার লাভ করে।[৫]
মুজাফফরিদ রাজবংশ ১৫ শতকে গুজরাটে একটি স্বাধীন রাজ্য সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেছিল। এ সময়ে গুজরাটে ব্যবসায় বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার লাভ করে। আহমেদাবাদ নগরী মুজাফফরিদ রাজাদের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; EB
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি