আহমেদ মুস্তফা বিসরি (জন্ম ১০ আগস্ট ১৯৪৪) হলে একজন ইন্দোনেশিয়ান ইসলামিক নেতা যিনি নাহদলাতুল উলামার প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভার রেমব্যাঙ্গের পন্দক পেসানট্রেন রাউদলাতুথ থালিবিন নামক সংস্থার প্রধান ছিলেন। মুস্তফা বিসরি, যিনি গুস মুস নামে সর্বাধিক পরিচিত, শুধুমাত্র একজন কিয়াই (ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক শিক্ষক ও নেতা) নন, তিনি একজন কবি ও চিত্রশিল্পী ও বটে। [১]
গুস মুস হলেন কে. এইচ. বিসরি মুস্তফার পুত্র এবং এইচ. জয়নাল মুস্তফার নাতি, যারা দুজনেই ইন্দোনেশিয়ার সম্মানিত ইসলামিক নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন পন্দক পেসানট্রেন (ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক বিদ্যালয়) এ লেখাপড়া করেছেন। যেমন কেএইচ মারজুকি ও কেএইচ মাহরুস আলির অধীনে পেসানট্রেন লিরবয়ো কেদিরি এবং কেএইচ আলি মাশুম ও কেএইচ আবদুল কাদিরের অধীনে আল মুনাওয়ার ক্রাপিইয়াক যোগিকার্তায়। তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো থেকে স্নাতক লাভ করেছেন।
গুস মুসের সহধর্মিণীর নাম সিতি ফাতেমা এবং তাঁদের ৭ জন সন্তান আছে। সন্তানদের নাম হলো, ইনাস সুরোইয়া, কাউসার উজমুত, রাউদলহ কুদস, রাবিয়াতুল বিসরিয়াহ, নাদা, আলমাস এবং মুহাম্মদ বিসরি মুস্তফা। তাঁর পাঁচ জামাই আছে। তাঁরা হলেন উলিল আবশার আবদালা, রেজা শালাউদ্দিন হাবিবি, আহমেদ স্যাম্পটন, ওয়াহইউ সালভানা এবং ফাদেল ইরাওয়ান। তাঁর ৮ নাতি নাতনি আছে। তাঁরা হলেন, একতাদা বেন্নাবি মোহাম্মদ, একতাদা বিলহাদি মুহাম্মদ, মুহাম্মদ রাভি হামাদান হাবিবি, মুহাম্মদ রাকি হাইদারা হাবিবি, মুহাম্মদ নাজি উকাসাহ, আহমেদ নাকি উসামা, সামিহ ওহইউ মওলানা এবং মুহাম্মদ রাসিখ রুঝান।
১৯৭০ সালে মিশর থেকে ফিরে আসার পর তাঁকে নাহদলাতুল উলামা, রেমব্যাঙ্গের পরিষদ সদস্য করা হয়। তিনি ১৯৭৭ সালে মধ্য জাভার নাহদলাতুল উলামার মুস্তাসিয়ার বা পরামর্শক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৪ সালে পশ্চিম জাভার সিপানাসে অনুষ্ঠিত নাহদলাতুল উলামার সাধারণ বৈঠকে তিনি রইস সাইউরিয়াহ নির্বাচিত হন।
২০০৪ সালে বয়োলালি, মধ্য জাভায় অনুষ্ঠিত ৩১ তম সাধারণ সভায় তাঁকে ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান ওয়াহিদসহ কয়েকজন কিয়াই অনুরোধ করেছিলেন নাহদলাতুল উলামার সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। কিন্তু তিনি এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন ফলে কেএইচ হাসিম মুজাদি দ্বিতীয়বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হন।
গুস মুসের প্রকাশিত হওয়া কিছু বই নিম্নরুপ: