মুহাম্মদ ইসহাক | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৮৮৩ |
মৃত্যু | ১৯ জানুয়ারি ১৯৩৮ |
ধর্ম | ইসলাম |
মুহাম্মদ ইসহাক বাংলার একজন সুফি ও আলিম ছিলেন।
মুহাম্মদ ইসহাক ১৮৮৩ সালে ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি কুমিল্লার একটি মাদ্রাসার আলিম শ্রেণীতে ভর্তি হন।[১] পরবর্তীতে, তিনি মক্কা গমন করেন। তিনি সেখানকার সাওলাতিয়্যা মাদ্রাসায় ভর্তি হন।[১] তিনি মাদ্রাসাটিতে এগারো বছর ধরে ইসলাম ও আরবি ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি শায়খুদ-দালায়িল আবদুল হক মুহাজির সাহচর্যে থেকে পড়াশোনা করেছিলেন যিনি তাকে পোষ্যপুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।[১] পরবর্তীতে, তিনি ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি তখন সুফিসাধনায়ও নিয়োজিত ছিলেন। তিনি শায়খুদ-দালায়িল আবদুল হক মুহাজিরের খিলাফত লাভ করেন ও নিজ দেশে ফিরে আসেন।[১]
নিজ দেশে ফিরে আসার পরও মুহাম্মদ ইসহাক সুফিসাধনা ত্যাগ করেন নি। বলা হয়ে থাকে যে, তিনি কারামতের অধিকারী ছিলেন।[১] মানুষ হেদায়েতের জন্য তার কাছে আসতে শুরু করে। তিনি নিজে কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, হাতিয়া ও সন্দ্বীপ গমন করেছিলেন।[১] এসব এলাকার অনেক লোক তার মুরিদ হয়েছিল। পরবর্তীতে, তিনি কেরামত আলী জৈনপুরীর দৌহিত্র আবদুর রবের হাতে বায়আত হন।[১] তারপর, তার মাঝে জৈনপুরীদের প্রভাব পড়েছিল।
মুহাম্মদ ইসহাক ১৯৩৬ সালে একটি এতিমখানা স্থাপন করেছিলেন।[১] তিনি তার সব স্থাবর সম্পত্তি এতে দান করেন। তার নামানুসারে এই এতিমখানাটির নাম রাখা হয় "ইসহাকিয়া এতিমখানা"।[১] এটি ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় অবস্থিত।[২] তিনি ঈদগাহ, মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণেও সহায়তা করেছেন।
মুহাম্মদ ইসহাক তাঁহর তালীমে হাককানী ওয়া ফুয়ূদে ইসহাকী শিরোনামের একটি উর্দু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।[১] বইটিতে সুফিবাদের বিভিন্ন সমস্যা, জিকির ও ধ্যান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিরত থাকলেও জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন।[১]
মুহাম্মদ ইসহাক ১৯৩৮ সালের ১৮ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[১]