মোরাতুয়া මොරටුව | |
---|---|
নগর | |
ডাকনাম: এমআরটি | |
কলম্বো জেলায় মোরাতুয়ার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৬°৪৭′৫৬.৬৬″ উত্তর ৭৯°৫২′৩৬.০৪″ পূর্ব / ৬.৭৯৯০৭২২° উত্তর ৭৯.৮৭৬৬৭৭৮° পূর্ব | |
দেশ | শ্রীলঙ্কা |
প্রদেশ | পশ্চিম প্রদেশ |
জেলা | কলম্বো জেলা |
আয়তন | |
• স্থলভাগ | ২৩.৪ বর্গকিমি (৯.০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২৮ মিটার (৯২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১২) | |
• মোট | ১,৬৮,২৮০ |
সময় অঞ্চল | শ্রীলঙ্কার সময় অঞ্চল (ইউটিসি+৫:৩০) |
পোস্টাল কোড | ১০৪০০ |
ওয়েবসাইট | moratuwa |
মোরাতুয়া (সিংহলি: මොරටුව) হলো শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে দেহিওয়ালা-মাউন্ট লাভিনিয়ার নিকটবর্তী একটি বড় পৌরসভা। এটি কলম্বোর কেন্দ্র থেকে ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) দক্ষিণে গালে-কলম্বো (গালে রোড) প্রধান মহাসড়কে অবস্থিত। উত্তর পার্শ্ব ব্যতীত মোরাতুয়া শহরটি পশ্চিমে ভারত মহাসাগর, পূর্বে বলগোদা হ্রদ এবং দক্ষিণে মোরাতু নদী দ্বারা বেষ্টিত। ২০১২ সালের আদমশুমারি অনুসারে এর শহরতলির জনসংখ্যা ছিল ১৬৮,২৮০ জন।[১]
মাতালেতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যোদ্ধা বীর পুরান আপ্পু, সমাজসেবী স্যার চার্লস হেনরি ডি সোয়েসা এবং সঙ্গীতজ্ঞ পন্ডিত ডব্লিউ ডি অমরদেবের জন্মস্থানও মোরাতুওয়া।
মোরাতুয়া ২৪টি প্রধান এলাকার সমন্বয়ে গঠিত : আঙ্গুলানা, বোরুপানা, দাহামপুরা, এগোডা উয়ানা, ইডামা, ইন্ডিবেড্ডা, কাডালানা, কাডু্ওয়ামুল্লা, কালডেমুল্লা, কাটুবেড্ডা, কাটুকুরুন্ডা, কোরালাওয়েলা, লক্ষপাতিয়া, লুনাওয়া, মল্পি, মোরাতুমুল্লা, মোরাতুওয়েল্লা, পুওয়াকারাম্বা, রাওয়াথাওয়াট্টে, সয়সাপুরা, থেলাওয়ালা, উসওয়াট্টা, উনায়া এবং উইলোরওয়াট্টা।[২]
১৫দশ শতকে রাজা চতুর্থ পরাক্রমবাহুর শাসনামলে রাজকুমার সপুমালের উৎসব উদযাপনের জন্য দেবেন্দ্রের একজন ভিক্ষু কবি কর্তৃক রচিত কোকিলা সন্দেশ-এ মোরাতুয়া এবং লক্ষপাতিয়া - উভয় স্থানেরই উল্লেখ রয়েছে।[৩][৪] লুনাওয়া, উনায়া এবং রাওয়াথাওয়াট্টের উল্লেখ রয়েছে ১৬দশ শতকের উপাখ্যান এবং চার্চে রক্ষিত শহীদদের তালিকায় এবং পরবর্তীতে রাজা প্রথম বিজয়বাহু কর্তৃক প্রধান দায়িত্বশীল রেভাথা থেরার স্মরণে নির্মিত একটি মন্দিরে।[৫][৬] লক্ষপাতিয়া, যার অর্থ একশত হাজারের অধিনায়ক, এলাকাটি রাজা নিশাঙ্কা মাল্লার সেনাপতি লাখ বিজয় সিংগুকে দেওয়া হয়েছিলো।[৬][৭]
শ্রীলঙ্কায় বসবাস করা সকল জাতিগোষ্ঠীর এবং সকল ধর্মের অনুসারীদেরকেই মোরাতুয়ায় দেখা যায়। নেগোম্বোর পর এই শহরতলীতেই খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর শতকরা হার উচ্চ, যা জাতীয় হারের চেয়েও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেশি।
মোরাতুয়ার প্রধান শিল্প আসবাবপত্র, প্লাস্টিক, ব্যাটারী, ট্রান্সফরমার কাঠের হস্তশিল্প প্রস্তুতকরী কারখানা। এই শহরতলীটি একটি মৎস্য আহরণ ও ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। এগুলার সাথে, মোরাতুয়া আসবাবপত্রের জন্য বিশেষ পরিচিত।[৮]
মোরাতুয়ায় অবস্থিত বোলগোডা হ্রদ শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক হ্রদ। এটি আদম শৃঙ্গ হতে উৎপন্ন কাল গঙ্গের একটি শাখা এবং সাঁতার কাটা, বরশি দিয়ে মাছ ধরা ও নৌচালনার অবকাশ কেন্দ্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। মোরাতুয়া সেইন্ট সেবাস্তিয়ানকে সমর্পিত সবচেয়ে পুরাতন চার্চের অবস্থান স্থল এবং একসময় শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ ভবন হিসেবে চিহ্নিত পবিত্র ইমানুয়েল চার্চের অবস্থানও এখানে।[৯] পুরান আপ্পুর একটি ভাস্কর্য মোরাতুয়া পৌরসভার সামনে এবং ওয়েরা পুরান আপ্পু বিদ্যালয়ে একটি জাদুঘর রয়েছে।[১০][১১]