ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ ইব্রাহিম জয়েনউদ্দীন গাজালী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বোম্বে, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে - ভারত) | ১৫ জুন ১৯২৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৬ এপ্রিল ২০০৩ করাচী, পাকিস্তান | (বয়স ৭৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮) | ১ জুলাই ১৯৫৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ জুলাই ১৯৫৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ জুন ২০২০ |
মোহাম্মদ ইব্রাহিম জয়েনউদ্দীন ইব্বু গাজালী (জন্ম: ১৫ জুন, ১৯২৪ - মৃত্যু: ২৬ এপ্রিল, ২০০৩) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মুম্বই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মহারাষ্ট্র, মুসলিম ও সার্ভিসেস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ইব্বু গাজালী নামে পরিচিত মোহাম্মদ গাজালী।
১৯৪২-৪৩ মৌসুম থেকে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুম পর্যন্ত মোহাম্মদ গাজালী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে করাচীতে সার্ভিসেস দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬০ রান করেন। পরের মৌসুমে লাহোরে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৫/২৮ দাঁড় করান।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ গাজালী। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১ জুলাই, ১৯৫৪ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২২ জুলাই, ১৯৫৪ তারিখে ম্যানচেস্টারে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
অফ স্পিনার অল-রাউন্ডার হিসেবে ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের প্রথম ইংল্যান্ড সফরে দুই টেস্টে অংশ নেন। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে ১৮ ও ১৪ রান তুলেন। কিন্তু, ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অমর্যাদাকর রেকর্ডের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই ঘণ্টার মধ্যেই জোড়া শূন্য রান করেন। এটি টেস্টের ইতিহাসের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটে।
ঐ সফরে সব মিলিয়ে ২৮.৬১ গড়ে ৬০১ রান ও ৩৯.৬৪ গড়ে ১৭ উইকেট পান। এক বছর পূর্বে শক্তিধর পাকিস্তান ঈগলেটসের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ধাবিত হন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে পাকিস্তান দলের ব্যবস্থাপক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কাজ করেন। এ পর্যায়ে তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার পদবী ধারনপূর্বক অবসর নেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তার শ্বশুর ফিরোজ খান ১৯২৮ সালের অলিম্পিক গেমসে ভারতের হকি দলের স্বর্ণপদক বিজয়ী ছিলেন। ২৬ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে ৭৮ বছর বয়সে পাকিস্তানের করাচী এলাকায় মোহাম্মদ গাজালী’র দেহাবসান ঘটে।