![]() | |
ব্যবসার প্রকার | ব্যক্তি মালিকানাধীন |
---|---|
সাইটের প্রকার | অনলাইন বিশ্বকোষ প্রকল্প |
উপলব্ধ | ইংরেজি |
মালিক | ওলফ্রাম রিসার্চ, ইনকর্পোরেটেড (বাণিজ্যিক) |
প্রস্তুতকারক | এরিক ডব্লিউ. ওয়াইস্টাইন[১] এবং অন্যান্য |
ওয়েবসাইট | mathworld.wolfram.com |
বাণিজ্যিক | হ্যা |
নিবন্ধন | দেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় |
চালুর তারিখ | নভেম্বর ১৯৯৯[২]) | (১৯৯৫ সাল থেকে অন্যান্য স্থানে উপলব্ধ
বর্তমান অবস্থা | সক্রিয় |
বিষয়বস্তুর লাইসেন্স | সকল স্বত্ব সংরক্ষিত (কপিরাইটের স্বত্ব অবদানকারীদের এবং লাইসেন্স অ-একচেটিয়াভাবে ওলফ্রাম রিসার্চ ইনকর্পোরেটেডের, ব্যক্তিগত ও শিক্ষার উদ্দেশ্য বিনামূল্যে ব্যবহাযোগ্য)[৩][৪] |
ম্যাথওয়ার্ল্ড হল এরিক ডব্লিউ. ওয়াইস্টাইনের একটি অনলাইনভিত্তিক সৃষ্টিকর্ম যা গণিতের রেফারেন্স হিসেবে স্বীকৃত। গণিতের বিশ্বকোষস্বরূপ[৫] এই অনলাইন রচনার সিংহভাগের কৃতিত্ব ওয়াইস্টাইনের। বর্তমানে এটি ওলফ্রাম রিসার্চ, ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক স্পন্সরকৃত ও লাইসেন্স প্রাপ্ত। এর পূর্বে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ন্যাশনাল সায়েন্স ডিজিটাল লাইব্রেরি যা ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আর্বানা-শ্যাম্পেইনের অনুমোদিত তার মাধ্যমে ম্যাথওয়ার্ল্ডকে আংশিকভাবে অর্থায়ন করা হত।
সাইটের নির্মাতা পদার্থবিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের ছাত্র এরিক ডব্লিউ ওয়াইস্টাইনের ছিল গাণিতিক অনুশীলনীর নোট লেখার অভ্যাস। ১৯৯৫ সালে তিনি তার নোটগুলো “এরিকস ট্রেজার ট্রোভ অব ম্যাথমেটিকস” নামে অনলাইনে দেন যেখানে গাণিতিক অনেক বিষয়ের উপর কয়েকশ পৃষ্ঠা/নিবন্ধ ছিল। ওয়েব জগতে এ সাইটটি গণিতের জন্য একটি একক বিশাল ভাণ্ডার বা সম্পদ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওয়াইস্টাইন ধারাবাহিকভাবে তার নোটগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে থাকেন, এর পাশাপাশি তিনি অনলাইন পাঠকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সংশোধন এবং তাদের মন্তব্যও গ্রহণ করতে থাকেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সিআরসি প্রেসের সাথে একটি চুক্তি করার পর সাইটের বিষয়বস্তু "সিআরসি কনসাইজ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ম্যাথমেটিকস" শিরোনামে মুদ্রিত এবং সিডি-রম আকারে প্রকাশ করা হয়। তখন সাধারণ মানুষের জন্য ফ্রি অনলাইন সংস্করণ কেবল আংশিকভাবে উপলব্ধ ছিল। ১৯৯৯ সালে ওয়াইস্টাইন ওলফ্রাম রিসার্চ ইনকর্পোরেটেডের কাজে যোগদান করেন। ওলফ্রাম রিসার্চ ইনকর্পোরেটেড ম্যাথ ট্রেজার ট্রোভের নাম পরিবর্তন করে ম্যাথওয়ার্ল্ড রাখে এবং অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধতা (সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার মাধ্যমে) ছাড়াই কোম্পানির ওয়েবসাইটে[৬] এটি হোস্ট করে।
ম্যাথওয়ার্ল্ডের বিষয়বস্তু কেবল মুদ্রিত থাকার চুক্তিটি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০০০ সালে সিআরসি প্রেস ওলফ্রাম রিসার্চ ইনকর্পোরেটেড, এর প্রেসিডেন্ট স্টিফেন ওলফ্রাম এবং লেখক এরিক ওয়াইস্টাইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অনুসারে সাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৭]
পরে আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়াই, ওলফ্রাম রিসার্চ ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক অনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ এবং অন্যান্য বোঝাপড়ার শর্তে (স্টিপুলেশন) রাজী হওয়ার মাধ্যমে এই বিতর্কের অবসান ঘটে। আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বাদী বিবাদীর নিজেদের মধ্যে আপসের মাধ্যমে বিবাদ নিরসনে যে বোঝাপড়া ও চুক্তি মার্কিন বিচার সংস্কৃতিতে তা স্টিপুলেশন নামে পরিচিত। যাইহোক এসব শর্তের মধ্যে ওয়েবসাইটের নিচে একটি কপিরাইট বিজ্ঞপ্তি অন্তর্ভুক্ত করা এবং মুদ্রিত বই আকারে ম্যাথওয়ার্ল্ড প্রকাশে সিআরসি প্রেসকে বড় ধরনের অধিকার প্রদানের বিষয়গুলো রয়েছে। এরপরে সাইটটি আবার জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে উপলব্ধযোগ্য হয়ে ওঠে।
এই ঘটনা অনলাইন প্রকাশনার জগতে শিরোনামের একটি ঢেউ তোলে। ম্যাথওয়ার্ল্ডের দুষ্প্রাপ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে প্ল্যানেটম্যাথ প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয়েছিল।[৮]
mathworld copyright.