যমুনা কৃষ্ণন | |
---|---|
জন্ম | ২৫ মে ১৯৭৪ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
পুরস্কার | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনগর পুরস্কার, ইনফোসিস পুরস্কার |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | জৈব রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিকাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো |
যমুনা কৃষ্ণন (জন্ম: ২৫শে মে, ১৯৭৪) শিকাগো বিশ্ববিদ্যালযের রসায়ন বিভাগের ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন অধ্যাপক। ২০১৪ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার আগে তিনি ভারতের বেঙ্গালুরুর টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান-এর অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞান কেন্দ্রে রিডার রূপে কর্মরত ছিলেন। রাসায়নিক বিজ্ঞান বিভাগে তাঁর অবদানের জন্যে তিনি ২০১৩ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান গবেষণার পুরস্কার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনগর পুরস্কার জয় করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে তিনিই ভাটনগর পুরস্কার প্রাপ্ত সবচেয়ে কম বয়সী মহিলা।[১]
যমুনা ১৯৭৪ সালের ২৫শে মে ভারতের কেরালা রাজ্যের মলপ্পুরম জেলার পারাপ্পানাঙ্গড়িতে পি.টি.কৃষ্ণন ও মিনি কৃষ্ণনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কৃষ্ণন ১৯৯৪ সালে চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উইমেন'স খ্রিস্টান কলেজ থেকে রসায়নে সাম্মানিকসহ স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা, থেকে ১৯৯৭ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং ২০০২ সালে জৈব রসায়নে পিএইচডি অর্জন করেছিলেন[২]। কৃষ্ণন ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পোস্টডক্টোরাল রিসার্চ ফেলো হিসাবে কাজ করেছিলেন।
তিনি ভারতের বেঙ্গালুরুর টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিকাল সায়েন্সেসের ফেলো 'ই' পদে ২০০৫ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এবং তারপরে রিডার 'এফ' পদে ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ছিলেন। ২০১৩ সালে, তিনি ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিকাল সায়েন্সেসেসের সহযোগী অধ্যাপক 'জি' পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন এবং ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন।
তিনি ২০১০ সালে ওয়েলকাম ট্রাস্ট-ডিবিটি জোটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ অর্জন করেন;, ২০০৭ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমি তরুণ বৈজ্ঞানিক নির্বাচিত হন; ভারত সরকারের জৈব প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক সৃজনশীল তরুণ জৈব প্রযুক্তিবিদ পুরস্কার পেয়েছিলেন[২][৩]।
তাঁর বর্তমান গবেষণার আগ্রহগুলি নিউক্লিক অ্যাসিড, নিউক্লিক অ্যাসিড ও ন্যানো প্রযুক্তি, সেলুলার এবং সাবসেলুলার প্রযুক্তির কাঠামো এবং গতিবিদ্যা সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলিতে রয়েছে[২]। বায়োকম্পাটেবল ন্যানোমাইনস তৈরির জন্য ডিএনএকে সাফল্যের সাথে হেরফের করে তিনি জীবিত সিস্টেমগুলি থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার, কোষের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং অমীমাংসিত বায়োমেডিকাল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার জন্য অভিনব উপায় তৈরি করেছেন।
তিনি এবং তার গবেষণাগারের সহকর্মীরা জেনেটিক উপাদান হিসাবে ঐতিহ্যগত ভূমিকা ছাড়া ডিএনএর অন্যান্য ভূমিকাগুলি বোঝার চেষ্টা করছেন এবং কোয়ান্টে রিয়েল টাইমে দ্বিতীয় বার্তাগুলি ম্যাপ করার জন্য ডিএনএ ন্যানোডেভিসেস ব্যবহার করে ইমেজিং প্রযুক্তি বিকাশের চেষ্টা করেছেন।[৪]