যিহোশূয় | |
---|---|
ভাববাদী | |
জন্ম | গোশেন (নিম্ন মিশর), প্রাচীন মিশর |
মৃত্যু | কনান |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | ইহুদিধর্ম খ্রিস্টধর্ম ইসলাম |
প্রধান স্মৃতিযুক্ত স্থান | যিহোশূয়ের সমাধি বা যিহোশূয়ের পাহাড় |
উৎসব |
|
বৈশিষ্ট্যাবলী | কালেবের সাথে প্রায়শই কনান দেশ থেকে আঙুর সংগ্রহরত অবস্থায় প্রদর্শন করা হয় |
ইয়াহোশুয়া[১] (হিব্রু ভাষায়: יְהוֹשֻׁעַ, Yəhōšūaʿ; আরামীয়: יֵשׁוּע, Yēšūʿ; সিরীয়: ܝܫܘܥ ܒܪ ܢܘܢ, Yəšūʿ bar Nōn; গ্রিক: Ἰησοῦς; আরবি: يُوشَعُ ٱبْنُ نُونٍ, প্রতিবর্ণীকৃত: Yūšaʿ ibn Nūn; লাতিন: Iosue) হলেন হিব্রু বাইবেল বা ওল্ড টেস্টামেন্ট আদিপুস্তক ও গণনা পুস্তক অনুসারে মুসার সহকারী যিনি ইয়াহোশুয়ার পুস্তক অনুসারে পরবর্তীতে ইস্রায়েলীয়দের নেতা হিসেবে মুসার স্থলাভিষিক্ত হন।[২] তিনি ছিলেন ইফ্রয়িম বংশীয় নূন এর পুত্র। তার প্রকৃত নাম ছিল হোশেয় (הוֹשֵׁעַ, Hōšēaʿ), কিন্তু মুসা তাঁকে ইয়াহোশুয়া বলে ডাকতেন।[৩] বাইবেল অনুসারে ইজরাইলিদের প্রস্থানের পূর্বে প্রাচীন মিশর দেশে তার জন্ম হয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
হিব্রু বাইবেল মুসার দ্বারা কেনান দেশটি অনুসন্ধান করার জন্য প্রেরিত ইস্রায়েলের বারোজন গুপ্তচর হিসাবে যিহোশূয়কে চিহ্নিত করেছিল। গণনা পুস্তক ১৩:১ অনুসারে,[৪] ও মোশির মৃত্যুর পরে তিনি ইজরাইলের দ্বাদশ বংশ এর কেনান জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বংশগুলোর জন্য জমি বরাদ্দ করেছিলেন। বাইবেলের কালানুক্রম অনুসারে, ইয়াহোশুয়া ব্রোঞ্জ যুগ কিছুকাল বেঁচে ছিলেন।৷ ইয়াহোশুয়ার পুস্তক ২৪:২৯ অনুসারে,[৫] তিনি ১১০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
যিহোশূয় তথা ইউশা ইবনে নূন (আরবি: يُوشَعُ ٱبْنُ نُونٍ, প্রতিবর্ণীকৃত: Yūšaʿ ibn Nūn) মুসলমানদের মাঝেও সম্মানিত। ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, তিনি কালেবের সাথে ছিলেন, মুসা যে দুজন বিশ্বাসী গুপ্তচরকে কেনান দেশটি গুপ্তচর প্রেরণের জন্য প্রেরণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন। মুসার মৃত্যুর পরে মুসলমানরা ইউশাকে বিশ্বস্ত নেতা হিসাবে বা নবী হিসাবে দেখেছিল। কিছু মুসলমান আরও বিশ্বাস করেন যে, মুসার খিজিরের সাথে সাক্ষাত হওয়ার আগে তিনি কুরআনে উল্লিখিত মুসার পরিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হাদিসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বর্ণনার পাশাপাশি ইউশা ইসলামি সাহিত্যে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[৬]
ইউশা ইবনে নূন (নূন এর পুত্র ইউশা) হচ্ছেন মূসা (আঃ) এর সাহাবীদের মধ্যে প্রথম প্রজন্মের একজন। তিনি ছিলেন ইউসুফ (আঃ) এর বংশধর[৭]। তওরাতের কিছু বাণী আছে এমন একটি গ্রন্থ 'বাইবেল' এ তিনি নবী হিসেবে উল্লেখিত আছেন। তিনি সেই বারোজনের একজন যাদেরকে ফিলিস্তিন নগরীতে গোয়েন্দা হিসেবে পাঠানো হয়েছিল নগরী পর্যবেক্ষণ করার জন্য। পরে তারা (বারোজন) ফিলিস্তিনের লোকেদের বিশালতার বর্ণনা দিলে বনী ইসরাঈল জিহাদের ডাকে অবজ্ঞা করার সময় তিনি পুরো বনী ইসরাঈলের মধ্যে দুইজনের একজন ছিলেন যারা তাদের বিরোধিতা করেন এবং হাতে পাথর নিয়ে ঘৃণা প্রদর্শনে নিক্ষেপ করেন। অন্যজন ছিলেন কালেব। তিনি ইসলাম নিভে যাবার পথ হবার সময় প্রদীপ্ত রেখেছিলেন নবীগণের (মুসা ও হারুন তথা সকলের) হাত। তিনি সংখ্যার ওপর ভিত্তি না করে বরং ইখলাসের ওপর ভরসা করেছিলেন[৮]। আল কুরানে বর্ণিত মূসার সঙ্গী[৯] নামে অভিহিত ব্যক্তিটি তিনি ছিলেন বলে বিবেচিত হয়। পরবর্তীতে মূসা (আঃ) এর ওফাত এর পর তিনি বনী ইসরাঈলের খলীফা হন। ফিলিস্তিন (অঙ্গীকারবদ্ধ ভুমি) জয়ে নেতৃত্ব দেন। ফিলিস্তিন দখলের দিন বিকাল হয়ে গেলে তিনি আল্লাহর কাছে সুর্যকে থামার জন্য দোয়া করেন এবং তিনি ফিলিস্তিন দখল করা পর্যন্ত সুর্য স্থির ছিল[১০]। পরে তিনি নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়ে একজন নবী হন।
স্মরণ কর সেই সময়ের কথা যখন মূসা তার সঙ্গীকে বলেছিলঃ দুই সমুদ্রের সংযোগস্থলে না পৌঁছে আমি থামবনা, আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব।
He said to the sun: You are under the command of Allah and I am under the command of Allah. O Allah, halt it for me for a while. So it was halted for him until Allah granted him victory.এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)
হিব্রু বাইবেলের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |