রঞ্জনা দেশমুখ (১৯৫৫ – ৩ মার্চ,২০০০) ১৯৭০ এবং ৮০ এর দশকের একজন জনপ্রিয় মারাঠি অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি রঞ্জনা নামেই সুপরিচিত ছিলেন।[১]
তিনি বৎসলা দেশমুখের কন্যা। জনপ্রিয় সিনেমা ব্যাক্তিত্ব ভি. শান্তরাম -এর সাথে তার এক আত্মীয়র বিবাহ হয়। ভি. শান্তরাম -এর হাত ধরেই চন্দনাচি চোলি আং আং জালি (১৯৭৫) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমা জগতে তার পদার্পণ ঘটে। এরপর তিনি শান্তরামের পরবর্তী চলচ্চিত্র ঝুঁঞ্জ -এও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। আরে সংসার সংসার (১৯৮০) এবং গুপ চুপ গুপ চুপ (১৯৮৩) এই দুই ছবিতে অভিনয়ের জন্য রঞ্জনা দুইবার সেরা অভিনেত্রী হিসাবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন।[২] তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে সুশীলা, গন্ধলত গন্ধাল, মুম্বাইচা ফৌজদার, বিন কামাচা নভরা, খিচড়ি, চানি, জখমি বাঘিন, ভুজং এবং এক দাব ভুটাচা।
তিনি অশোক সরফ, অবিনাশ মাসুরেকর, শ্রীরাম লাগু, কুলদীপ পাওয়ার, নীলু ফুলে, রবীন্দ্র মহাজানি, রাজা গোসাভি এবং অন্যান্য প্রমুখ অভিনেতাদের সাথে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৮৭ সালে ঝাঁঝার ছবির শুটিং করতে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে তার গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। এর ফলে তার অভিনয়জীবনের অকস্মাৎ ইতি হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হওয়ার কারনে রঞ্জনার পা অবশ হয়ে যায়। এর আগে অশোক সরফের সঙ্গে তার বাগদান হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর তিনি ফক্ত একদাচ' নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন।[৩]
তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল, আসলা নাভারা নাকো গা বাই, ভালু, ভুজঙ্গি, ছানি, দেবঘর, এক দাভ ভুতাচা, গুপচুপ গুপচুপ, হলদ কুঙ্কু, ঝমকি বাঘিন, ঝাঞ্ঝর, লক্ষ্মী ইত্যাদি
রঞ্জনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইয়ের পারেলে তার বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে[১] মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৪৫ বছর। তার মা বৎসলা দেশমুখ, নিজের সময়ের একজন বিখ্যাত চরিত্র অভিনেত্রী ছিলেন এবং তার খালা সন্ধ্যা ছিলেন সুপরিচিত হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং ভি. শান্তরামের স্ত্রী।[৪]
৩ মার্চ ২০১১ তারিখে রঞ্জনার নির্বাচিত সিনেমা প্রদর্শনের মাধ্যমে জি টকিজ তাকে শ্রদ্ধা জানায়[৫] মহারাষ্ট্র সরকার তার স্মরণে একটি পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
पण त्यांच्या मृत्यूच्या काही वर्षं आधी त्यांनी फक्त एकदाच या नाटकात काम केले होते. या नाटकातील त्यांची भूमिका ही त्यांची शेवटची भूमिका ठरली.