ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রডনি জন ম্যাককার্ডি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫৯||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ফাস্ট বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৫) | ২৭ জানুয়ারি ১৯৮৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৯ মার্চ ১৯৮৫ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৯-১৯৮০, ১৯৮১-১৯৮৪ | ভিক্টোরিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৯ | ডার্বিশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮০-১৯৮১ | তাসমানিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৪-১৯৮৫ | সাউথ অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭-১৯৯১ | ইস্টার্ন প্রভিন্স | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১-১৯৯২ | নাটাল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২-১৯৯৩ | বর্ডার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ মার্চ ২০২০ |
রডনি জন ম্যাককার্ডি (ইংরেজি: Rod McCurdy; জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৫৯) মেলবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া ও ভিক্টোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ডার, ইস্টার্ন প্রভিন্স ও নাটাল এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন রড ম্যাককার্ডি।
১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত রড ম্যাককার্ডি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। রড ম্যাককার্ডি’র আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন হয়তোবা আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারতো। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের পক্ষে গমনে করায় তা স্তিমিত হয়ে আসে। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তিনটি পৃথক রাজ্য দলে খেলেছেন। তন্মধ্যে, তাসমানিয়া দলে ১৯৮০-৮১ মৌসুমে অতিবাহিত করেছিলেন। ইংল্যান্ডে ডার্বিশায়ার ও সবশেষে তিনটি দক্ষিণ আফ্রিকান প্রাদেশিক দলে খেলেন।
অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১] শুরুতে ভিক্টোরিয়া দলের পক্ষে খেলেন। এরপর তাসমানিয়ায় চলে যান। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে সফররত নিউজিল্যান্ডীয় একাদশের বিপক্ষে তাসমানিয়ার সদস্যরূপে ৭/৮১ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন।[২] ১৯৮১-৮২ মৌসুমে পুনরায় ভিক্টোরিয়া দলে ফিরে আসেন।
বিতর্কের ঊর্ধ্বে অবস্থান করেননি তিনি। মাঠে পুণঃপুণঃ নো-বল করেছেন। দলীয় ম্যানেজারকে লাথি মারার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন রড ম্যাককার্ডি। ২৭ জানুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে অ্যাডিলেডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ মার্চ, ১৯৮৫ তারিখে শারজায় ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
১৯৮০-এর দশকে এগারোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রড ম্যাককার্ডি। ১৯৮৫ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন।[৩] কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার জন্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ায় এ সফর থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।[৪]
১৯৮৪-৮৫ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার জন্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হন।[৫] ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে কিম হিউজের নেতৃত্বে বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। খুব সম্ভবতঃ ১৯৮৬ সালে বড়দিনের প্রাক্কালে নিজস্ব সেরা ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত অনানুষ্ঠানিক টেস্টে ৬/৬৭ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন তিনি।
ইংল্যান্ড সফরের পর ইস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলতে থাকেন।[৬] ১৯৮৫-৮৬ ও ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে গমন করেন। এ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে অংশগ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর নিরাপত্তাবিষয়ক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অগ্রসর হন। এরপর, জোহেন্সবার্গে চলে যান। সেখানে টেলিট্র্যাকের অপারেশন্স ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করছেন।