রাজনৈতিক অর্থনীতি বা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হল এবং আইন, প্রচলিত পদ্ধতি ও সরকারের সঙ্গে উৎপাদন ও ক্রয় বিক্রয়ের সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যয়নের জন্য ব্যবহৃত প্রধান পরিভাষা।
এই শাস্ত্রটি বিভিন্ন রাষ্ট্রের অর্থনীতির পাঠশাস্ত্র হিসেবে ১৭শ শতকে বিকাশ লাভ করে যা সরকার বিষয়ে তত্ত্বের মাঝে সম্পদের মালিকানার তত্ত্বকে অন্তর্ভুক্ত করে। [১]
কিছু রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ শ্রমভিত্তিক মূল্যের তত্ত্বের প্রস্তাব করেন (জন লক কর্তৃক প্রবর্তিত, এডাম স্মিথ ও কার্ল মার্ক্স কর্তৃক বিকশিত), যাতে বলা হয়, শ্রম হল মূল্যের প্রকৃত উৎস। অনেক রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ আবার প্রযুক্তির রাতারাতি উন্নয়নের দিকে আলোকপাত করেছেন, যার ভূমিকা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতীতের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
১৯ শতকে, "রাজনৈতিক অর্থনীতি" পরিভাষাটি অর্থনীতি নামক পরিভাষা দ্বারা স্থানান্তরিত হয়, এবং পরিভাষাটি পরিবর্তন করেছিলেন এমন কিছু লোক, যারা উৎপাদন ও ভোগের মধ্যকার সম্পর্কের ভিত্তির পরিবর্তে গাণিতিক ভিত্তিতে অর্থ বিষয়ক অধ্যয়নকে স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।
বর্তমানে, রাজনৈতিক অর্থনীতি অর্থ হল ভিন্ন কিন্তু পারস্পারিকভাবে-সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আচরণের অধ্যয়নের আঙ্গিকসমূহ, যার সীমা হল অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে সমন্বিত অর্থনীতি থেকে শুরু করে প্রথাগত অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করা বিভিন্ন মৌলিক স্বতঃসিদ্ধ চিন্তার ব্যবহার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে থাকে।