বাংলায় নীতিবাক্য | স্থায়ী উন্নয়ন জন্য শিক্ষা |
---|---|
ধরন | সরকারি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ২০০৯[১] |
আচার্য | কে কাষ্টুরিরঙ্গান[২] |
উপাচার্য | অরুণ কে পুজারী [৩] |
শিক্ষার্থী | ১৭০০[৪] (মে ২০১৫) |
অবস্থান | বন্দর সিন্ধি, আজমির , , ভারত |
শিক্ষাঙ্গন | গ্রামীণ |
অধিভুক্তি | UGC, AIU |
ওয়েবসাইট | www |
রাজস্থান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (কুরাজ), ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আজমীরের একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কুরাজে দশটি উচ্চশিক্ষা বিদ্যালয় ও কুড়িটি উচ্চশিক্ষায়তনিক বিভাগ ছাড়াও একটি "কমিউনিটি কলেজ" আছে যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সামাজিক শিক্ষা এবং গবেষণার উপর প্রভূত জোর দিয়ে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য, ব্যবস্থাপনা, জননীতি এবং সামাজিক বিজ্ঞান পড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা সতেরোশো ছাড়িয়ে গেছে এবং এখানে ভারতের তেইশটিরও বেশি রাজ্যের শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে[৫] প্রকাশিত এনআইআরএফ ক্রমতালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ৩৪তম স্থানে রয়েছে এবং ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এনএএসি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি "এ" গ্রেড এ স্বীকৃত। [৬]
২০০৯ সালে ৩রা মার্চ সংসদীয় আইর[১] দ্বারা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুরাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে মালাবিয়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, জয়পুর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দুটি পি জি পাঠ্যক্রম, এম.এসসি / এম.এ. পরিসংখ্যান (অ্যাকচুয়ারিয়াল) এবং এম.এসসি.টেক গণিত, দিয়ে শুরু হয়। এটি ২০১০-১১ সালে কিষানগড়ের আর.কে.পাটনি কলেজে স্থানান্তরিত হয়ে ছয়টি নতুন পি জি পাঠক্রম চালু করে। ২০১২-১৩ সালে, আজমীর জেলার বান্দার সিন্দ্রি গ্রামে জয়পুর-আজমীর এক্সপ্রেসওয়ে (এনএইচ -৮)-এর পাশে বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়।
এখানে ২০১৩-২০১৪ সালে ডক্টরাল এবং স্নাতকোত্তর পঠন-পাঠন শুরু হয়েছিল।
কুরাজ জয়পুর-আজমরের এক্সপ্রেসওয়ে (এনএইচ ৮)-এর পাশে জয়পুর থেকে ৮৩ কিলোমিটার এবং আজমীর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ২০৯ হেক্টর (৫১৮ একর) এরও বেশি জমি নিয়ে গঠিত। ২০১০ সালে রাজস্থান সরকার এই জমি দান করে যেখানে ২০১১ সালে নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০১২ সালের জুলাই এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়। নিকটতম পর্যটক রেলওয়ে স্টেশন হল কিষানগড় স্টেশন এবং নিকটতম প্রধান রেলওয়ে স্টেশন হল আজমীর স্টেশন।
ক্যাম্পাস টি উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে। বিভাগগুলি অস্থায়ী ভবন থেকে কাজ চালাচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে ২০১৬ সালে তাদের স্থায়ী ভবনে তারা যেতে পারবে। অস্থায়ী ভাবে ১,৫০০ আসন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। অথিতিশালা নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলের জন্য স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সাত টি পুকুর নির্মাণ করে বৃষ্টির জল ধারণ পরিকল্পনাকে সফলভাবে বাস্তবায়িত করা হয়েছে।
সমসাময়িক নকশা উপাদানগুলির সাথে রাজস্থানের ঐতিহ্যগত স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যগুলির সংমিশ্রণ করে ভবনগুলি নির্মাণ করা হয়েছে। ছত্রি ও জালির ব্যবহার এই ভবন গুলিতে ঐতিহ্যবাহী এবং আধুনিক স্থাপত্যের এক অনন্য মিশ্রণ প্রদান করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিটি বিভাগে পিএইচডি প্রদান করে।