স্থাপিত | ১৯৪৫ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | রাধাগোবিন্দ রায় |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | নগরাঞ্চলীয় |
অধিভুক্তি | বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় |
![]() |
রামানন্দ কলেজ হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরে অবস্থিত একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটিই বিষ্ণুপুর মহকুমার সদর শহরে অবস্থিত একমাত্র সহশিক্ষামূলক ডিগ্রি কলেজ।
ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষ্ণুপুর শহরে উচ্চশিক্ষার একটি কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রথম উদ্যোগটি নিয়েছিলেন শহরের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজসেবী রামনলিনী চক্রবর্তী। রামানন্দ কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী রাধাগোবিন্দ রায় এবং বিষ্ণুপুর শহর ও বাঁকুড়া জেলার অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। রামনলিনী চক্রবর্তী, বিষ্ণুপুরের কোলে পরিবার, অনিলকুমার ভট্টাচার্য, ফ্রেন্ড’স ইউনিয়ন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের দানে কলেজ প্রতিষ্ঠার তহবিল গঠিত হয়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক, সম্পাদক ও গবেষক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের (১৮৬৫-১৯৪৩) জন্ম বাঁকুড়া জেলার[১] পাঠকপাড়ায়।[২] তারই নামানুসারে এই কলেজটির নামকরণ করা হয়। উল্লেখ্য, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মডার্ন রিভিউ নামে একটি উচ্চশ্রেণীর অলংকৃত মাসিক ইংরেজি পত্রিকা[৩] এবং প্রবাসী নামে একটি বাংলা সংবাদপত্রের[৪] সম্পাদক, প্রকাশক ও মালিক। অবশ্য সারা জীবন সম্পাদনার কাজে আত্মনিয়োগ করলেও তিনি একাধিক সমাজ সংস্কারমূলক আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
১৯৪৫ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি স্থানীয় জনসাধারণ, এমনকি দূরবর্তী গ্রামীণ এলাকার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। গ্রামীণ এলাকার ছাত্রছাত্রীরা কলেজের ছাত্রাবাসে ও বিষ্ণুপুরে ভাড়াবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেন। প্রতিষ্ঠার সময় কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। পরে এটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসে। বর্তমানে এটি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। রামানন্দ কলেজ ইউজিসি ইউ/এস ২এফ ও ১২বি কর্তৃক স্বীকৃত। প্রাক-স্বাধীনতা যুগের কলেজ হওয়ায় এটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালে[৫] ন্যাশানাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)[৬] এই কলেজকে ন্যাক খ++ গ্রেড (অর্জিত স্কোর ৮৩.১৫) প্রদান করে।[৭]
রামানন্দ কলেজের শিক্ষকেরা পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন থেকে নিযুক্ত হন।