রিমা কলিঙ্গল | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | অভিনেত্রী, টেলিভিশন উপস্থাপক, নর্তকী |
কর্মজীবন | ২০০৯-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | আশিক আবু (২০১৩ – বর্তমান) |
রিমা কলিঙ্গল হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি মূলত মালয়ালম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মিস কেরল ২০০৮8 প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার-আপ হওয়ার পরে, তিনি অভিনেত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৯ সালে নির্মিত রীতু চলচ্চিত্র থেকে তিনি অভিনয়ের সূচনা করেছিলেন এবং এরপরে নীলাথামারা (২০০৯) তে কাজ করেছিলেন। তখন থেকেই তিনি মালয়ালম ছবিতে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তিনি মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলা কর্মীদের জন্য সংগঠন উইমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ (ডাব্লুসিসি) এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[১]
রিমার জন্ম ১৯৮৪ সালে ত্রিশূরের কুন্নমকুলামে। তিনি তিন বছর বয়স থেকেই নাচের অনুশীলন শুরু করেছিলেন।[২] নৃত্যকে পেশা হিসেবে নিয়ে, তিনি নৃত্যারুত্য নামে একটি নৃত্য সংস্থার অংশ ছিলেন এবং জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশন করেছেন। তিনি কুন্নুরের স্টানস অ্যাংলো ইন্ডিয়ান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন।[৩] তিনি ত্রিশূরের চিন্ময় বিদ্যালয় থেকে তাঁর স্কুলের পড়া শেষ করেছিলেন। ২০০১ সালে ব্যাঙ্গালোরের ক্রাইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতক উপাধি অর্জন করেছিলেন।[৪][৫] তিনি তায়কোয়ান্দো (কোরিয়ান মার্শাল আর্ট), চাও (মণিপুরী মার্শাল আর্ট) এবং কালারি তেও দক্ষ।[২]
তিনি এশিয়ানেটের আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান ভোডাফোন থাকাধিমির সেমিফাইনালিস্ট ছিলেন। তিনি মডেলিং করার জন্য বেঙ্গালুরু চলে এসেছিলেন এবং পরে মিস কেরল সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রথম রানার আপ হন, চূড়ান্ত পর্বে শ্রী তুলসীর কাছে টাই ভাঙায় হেরে যান।[৬]
পরিচালক লাল জোস একটি পত্রিকার প্রচ্ছদে তাঁকে দেখে চিহ্নিত করেছিলেন, এবং তাঁকে নিজের তামিল ছবি মাঝাই ভারাপ্পোগুথু তে একটি ছাগল পালক চরিত্রে অভিনয় করতে দিয়েছিলেন।[৭] প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি, তবে তাঁকে পরিচালক শ্যামাপ্রসাদ নিজের রীতু এর জন্য প্রধান মহিলা চরিত্র 'বর্ষা' করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যেটি তাঁর অভিনয়ের অভিষেক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।[৬] এই ছবিতে অভিনয় করার সময় তাঁর ২৫ বছর বয়স ছিল।[৪]
২০১২ সালে, তিনি ২২ ফিমেল কোট্টায়াম ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যেটি বাণিজ্যিকভাবে, পাশাপাশি সমালোচনামূলকভাবে বড় সাফল্য পেয়েছিল।[৪] বাণিজ্যিক হিসাবে পাশাপাশি সমালোচনামূলকভাবে [৮][৯] তিনি প্রশংসা পেয়েছিলেন[১০] এবং 'টেসা' চরিত্রে অভিনয় করে অনেক পুরস্কার জিতেছিলেন।[১১] তিনি সেরা অভিনেত্রীর জন্য কেরালা রাজ্য সরকারের পুরস্কারও জিতেছিলেন। ২২ ফিমেল কোট্টায়াম করার পরে তিনি জানিয়ে ছিলেন যে তিনি তাঁর পেশাতে কিছু ভুল করেছেন এবং বলেছিলেন "হ্যাঁ, আমি এমন কয়েকটি ছবি করেছি যা আমার কখনই করা উচিত ছিল না, তবে আমি এই ভুলগুলি পুনরায় না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ"।[৮]
২০১৩ সালে, রিমা মাজাভিল মনোরমা চ্যানেলে "মিডুক্কি" অনুষ্ঠান দিয়ে টেলিভিশনে উপস্থাপনা শুরু করেছিলেন।[১২][১৩] এর জন্য কেরালা ফিল্ম চেম্বার তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যা আবার পরে বাতিল করে দেওয়া হয়।[১৪]
২০১৪ সালে, কেরলের কোচিতে তিনি তাঁর নিজস্ব নৃত্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন (মামাঙ্গম)।
২০১৩ সালের ১লা নভেম্বর, কোচির কাক্কানাড় রেজিস্ট্রেশন অফিসে অনুষ্ঠিত একটি সাধারণ অনুষ্ঠানে রিমা পরিচালক আশিক আবুকে বিবাহ করেছিলেন। অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে তাঁরা ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন জেনারেল হাসপাতালে, এর্নাকুলামের দরিদ্র ক্যান্সার রোগীদের কল্যাণের জন্য। এছাড়াও হাসপাতালের রান্নাঘরের খাদ্যতালিকাগত এক দিনের ব্যয় মেটাতে ২৫,০০০ টাকা দিয়েছিলেন।[১৫][১৬][১৭][১৮]