রুথ ডিফ্রিজ | |
---|---|
জন্ম | ২০ অক্টোবর ১৯৫৬ |
মাতৃশিক্ষায়তন | ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়; জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পরিবেশ ভূগোল |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ; ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড, কলেজ পার্ক |
রুথ এস. ডিফ্রিজ (জন্ম: ২০ অক্টোবর, ১৯৫৬) একজন পরিবেশ ভূগোলবিদ এবং নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশবিজ্ঞান ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি অরণ্যবিনাশের (যা জৈব-শারীরিক এবং জৈব-ভূরাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে) মতো বিভিন্ন মানবিক ক্রিয়াকলাপের প্রভাব বিবেচনাপূর্বক পৃথিবীর বসবাসযোগ্যতা নিয়ে গবেষণার কাজে দূর অনুধাবন বা রিমোট সেন্সিং ব্যবহারে বিশেষজ্ঞ।[১][২][৩][৪] তিনি ২০০৭ সালে ম্যাকআর্থার ফেলোশিপপ্রাপ্ত ২৪ জনের মধ্যে একজন,[৫][৬] এবং ২০০৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন যা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সর্বোচ্চ বৈজ্ঞানিক সম্মাননা। [৭]
ডিফ্রিজ ১৯৮০ সালে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগ থেকে পিএইচডি এবং ১৯৬৬ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূবিজ্ঞানে বি.এ. সম্পন্ন করেছেন। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, এটি তার সর্বোচ্চ শিক্ষায়তনিক পদ। এর পূর্বে তিনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান, বিবর্তন এবং পরিবেশ জীববিজ্ঞান বিভাগের টেকসই উন্নয়নবিষয়ক ডেনিংকুল অধ্যাপক ছিলেন। ২০০৮ সালে কলম্বিয়ায় যাওয়ার আগে তিনি যুগ্মভাবে কলেজ পার্ক ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ এবং ভূব্যবস্থাবিজ্ঞান আন্তঃশৃঙ্খল কেন্দ্রের (আর্থ সিস্টেম সায়েন্স ইন্টারডিসিপ্লিনারি সেন্টার) অধ্যাপক ছিলেন। [৪]
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ডিফ্রিজ এন ইকোমডার্নিস্ট ম্যানিফেস্টো বা একটি পরিবেশ-আধুনিকতাবাদী ইস্তাহার জারিতে একদল পণ্ডিতের সাথে যোগ দিয়েছিলেন।[৮][৯] এর সাথে সংশ্লিষ্ট থাকা অন্যান্য লেখকদের মধ্যে ছিলেন: জন আসফু-আডজয়, লিনাস ব্লমকভিস্ট, স্টুয়ার্ট ব্র্যান্ড, ব্যারি ব্রুক, আর্লে এলিস, ক্রিস্টোফার ফোরম্যান, ডেভিড কিথ, মার্টিন লুইস, মার্ক লিনাস, টেড নর্ডহস, রজার এ. পাইলকে জুনিয়র, র্যাচেল প্রিৎজকার, জয়শ্রী রায়, মার্ক স্যাগোফ, মাইকেল শেলেনবার্গার, রবার্ট স্টোন এবং পিটার টিগ।[১০]
কীভাবে বিশ্বের ক্রমাগত খাদ্য এবং অন্যান্য চাহিদা গ্রহটিকে পরিবর্তন করে চলছে তা ট্র্যাক করার জন্য তিনি উপগ্রহচিত্র ব্যবহার করে থাকেন। তিনি ব্রাজিলীয় অ্যামাজন, ভারত ও অন্যান্য কয়েকটি দেশসহ ক্রান্তীয় অঞ্চল নিয়ে কাজ করেছেন এবং টেকসই উন্নয়নে উদ্ভাবনী শিক্ষামূলক কর্মসূচি গড়ে তুলেছেন।
ডিফ্রিজ ২০১৪ সালে দ্য বিগ র্যাচেট: প্রাকৃতিক সংকটের মুখে মানবতা কীভাবে প্রসার লাভ করে (The Big Ratchet: How Humanity Thrives in the Face of Natural Crisis) শিরোনামে একটি মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।[১১] বেশ কয়েক দশকব্যাপী অ্যামাজন, আফ্রিকা ও এশিয়ার উপগ্রহচিত্র এবং গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রহজুড়ে বিস্তৃত মানুষের পদচিহ্ন পর্যবেক্ষণ এটি রচনা করতে অনুপ্রাণিত করেছিল তাকে। এর পূর্বেও শেরিল সাইমন সিলভারের সাথে যৌথভাবে এক বিশ্ব, এক ভবিষ্য: আমাদের পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিবেশ (One Earth, One Future: Our Changing Global Environment) শিরোনামে একটি বই লিখেছিলেন যা ১৯৯০ সালে ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছিলো।
ডিফ্রিজ প্রায় ১০০ টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রের লেখক বা সহ-লেখক হিসেবে জড়িত রয়েছেন। সেসব বইয়ের বেশিরভাগই রচনা করা হয়েছে বায়ু গুণমান এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের উপর ক্রান্তীয় দাবানল ও অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব, ভূমি ব্যবহার, পুষ্টি এবং খাদ্য সুরক্ষা, ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ভূমি ব্যবহার এবং সংরক্ষণ, জলবায়ু ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় কৃষি, ক্রান্তীয় অঞ্চলের বন ও অরণ্য উজাড় এবং অবক্ষয়ের প্রক্রিয়া, ভূত্বকের (ল্যান্ড কভার) দূর অনুধাবন পদ্ধতি, পর্যালোচনা এবং ধারণাগত গবেষণাপত্র ইত্যাদি বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে।[১২]
রুথ ২০০৭ সালে ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ অর্জন করেন। ঐ বছর তিনি ছাড়াও আরো ২৪ জন ব্যক্তি ফেলোশিপ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ব্রেকথ্রু দৃষ্টান্ত পুরস্কার পেয়েছিলেন।[১৩] ২০১৭ সালে তিনি বেলজিয়ামের লেভেনের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে বিজ্ঞান অনুষদ থেকে তাকে সম্মানসূচক (অনারারি) ডক্টরেট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিলো।
A good Anthropocene demands that humans use their growing social, economic, and technological powers to make life better for people, stabilize the climate, and protect the natural world.
On Tuesday, a group of scholars involved in the environmental debate, including Professor Roy and Professor Brook, Ruth DeFries of Columbia University, and Michael Shellenberger and Ted Nordhaus of the Breakthrough Institute in Oakland, Calif., issued what they are calling the "Eco-modernist Manifesto."
As scholars, scientists, campaigners, and citizens, we write with the conviction that knowledge and technology, applied with wisdom, might allow for a good, or even great, Anthropocene.
http://www.ruthdefries.e3b.columbia.edu/