রেওয়ারী জেলা | |
---|---|
হরিয়ানার জেলা | |
হরিয়ানায় রেওয়ারী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক (রেওয়ারী): ২৭°৫৭′ উত্তর ৭৬°১৭′ পূর্ব / ২৭.৯৫° উত্তর ৭৬.২৮° পূর্ব - ২৮°২৮′ উত্তর ৭৬°৫১′ পূর্ব / ২৮.৪৭° উত্তর ৭৬.৮৫° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | হরিয়ানা |
বিভাগ | গুরুগ্রাম |
স্থাপিত | ১লা নভেম্বর ১৯৮৯ |
সদর দপ্তর | রেওয়ারী |
তহশিল | ১. রেওয়ারী, ২. বাওয়াল, ৩. কোসলি, ৪. পালহাওয়াস, ৫. নহর |
সরকার | |
• জেলা কালেক্টর | অশোক কুমার শর্মা[১] |
আয়তন | |
• মোট | ১,৯৫৪ বর্গকিমি (৭৫৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৯,০০,৩৩২ |
• জনঘনত্ব | ৪৬০/বর্গকিমি (১,২০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২৫.৯৩% |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৮০.৯৯% |
• যৌন অনুপাত | ৮৯৮ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | এইচআর-৩৬ |
প্রধান মহাসড়ক | |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ৫৬৯.৬ মিমি |
লোকসভা কেন্দ্রগুলি | ১. রোহতক (রোহতক এবং ঝজ্জর জেলার সঙ্গে), ২. গুরগাঁও (গুরগাঁও এবং নুহ জেলার সঙ্গে) |
বিধানসভা কেন্দ্রগুলি | ১. রেওয়ারী, ২. বাওয়াল, ৩. কোসলি |
ওয়েবসাইট | http://rewari.gov.in/ |
রেওয়ারী জেলা হল ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে একটি। ১লা নভেম্বর ১৯৮৯ তারিখে হরিয়ানা সরকার গুড়গাঁও জেলাকে খন্ডিত করে এই জেলা তৈরি করে। এটি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের একটি অংশ। জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর হল রেওয়ারী শহর, যা এই জেলার বৃহত্তম শহরও। মধ্যযুগীয় সময়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার শহর ছিল। এটি দক্ষিণ হরিয়ানাতে অবস্থিত। ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], পাঁচকুলার পরে এটি হরিয়ানার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন জনবহুল জেলা।[২]
২০১১ সালে ভারতের আদমশুমারি অনুযায়ী, জেলার জনসংখ্যার ৯৯.১৩% লোক তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে হিন্দিতে কথা বলে।[৩]
আহিরওয়ালে আহিরওয়াতি, যাকে বলা হয় 'হিরওয়াতি' ( আহিরদের ভাষা এবং রাজপুতানার ভাষা ), ভাষায় কথা বলা হয়।
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯৫১ | ২,৫৯,৮৪৭ | — |
১৯৬১ | ৩,১৪,৭৯৩ | +১.৯৪% |
১৯৭১ | ৩,৯০,৩৫১ | +২.১৭% |
১৯৮১ | ৪,৮৬,০৮৪ | +২.২২% |
১৯৯১ | ৬,১০,৬১১ | +২.৩১% |
২০০১ | ৭,৬৫,৩৫১ | +২.২৮% |
২০১১ | ৯,০০,৩৩২ | +১.৬৪% |
সূত্র:[৪] |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রেওয়ারী জেলার জনসংখ্যা ৯,০০,৩৩২ জন; ফিজি[৬] অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যারের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৭] জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতে ৪৬৬তম স্থানে আছে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৫৬৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৪৬০ জন/বর্গমাইল)। এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৭.০৯% ছিল। রেওয়ারীতে প্রতি এক হাজার পুরুষের জন্য ৮৯৮ জন মহিলা (যৌন অনুপাত) রয়েছে। এখানকার মোট সাক্ষরতার হার ৮০.৯৯%, যা পুরুষদের জন্য ৯১.৪৪% এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬৯.৫৭%। জনসংখ্যার অধিকাংশই হিন্দু (৯৮.৭৬%), অন্যদিকে ইসলাম (০.৬৩%), শিখ (০.২০%), জৈন (০.১৭%), অন্যান্য (০.২৪%) আছে।[২]
দিল্লির নিকটবর্তী হওয়ায় এবং জেলায় যথেষ্ট খনিজ পদার্থের উপস্থিতির কারণে রেওয়ারীতে মিশ্র ধরনের অর্থনীতি দেখতে পাওয়া যায়। ১৯৮৯ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কৃষিতে নিযুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ৫৪.৭% থেকে কমে ৩৩.৮% এ দাঁড়িয়েছে। শ্রমশক্তিগুলি ক্রমবর্ধমানরূপে দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেনীর অর্থনীতি খাতে ব্যবহৃত হয়েছে।[৮]
রেওয়াড়ি শহরটি ঐতিহাসিকভাবে পিতলের কাজ এবং পাগড়ির জন্য পরিচিত ছিল। ১৯৮৯ সালে এই জেলা গঠনের আগে, জেলায় মাত্র দুটি মাঝারি মাপের শিল্প প্রতিষ্ঠান ছিল। জেলার গঠন এবং ভারতে অর্থনৈতিক উদারীকরণ ও শিল্পের গতিবিধি রাজধানী দিল্লী থেকে 'জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে' চলে আসা, একই সাথে হয়েছে। রেওয়ারীর ধারুহেরা ও বাওয়ালের শিল্প মডেল টাউনশিপের মতো শিল্প সম্পত্তি তৈরি, শিল্পের বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছিল। বিভিন্ন মাঝারি মানের ইউনিট পণ্যগুলি যেমন পিতল/তামার পাত, কয়েল/তার, কৃত্রিম সুতা, প্লাস্টিক পণ্য, মুদ্রণ কাগজ, ওষুধ, বিয়ার, তৈরি পোশাক, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক পণ্য ইত্যাদি উৎপাদন করে[৮]
Fiji 883,125 July 2011 est.
Delaware 897,934