রেট্রোকম্পিউটিং হলো আধুনিক সময়ে পুরোনো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা। রেট্রোকম্পিউটিং সাধারণত প্রযুক্তির বাস্তবিক প্রয়োগের চেয়ে শখ ও বিনোদন হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রযুক্তি উৎসাহীরা প্রায় আবেগীয় কারণে দুর্লভ বা মূল্যবান হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংগ্রহ করে। যাইহোক, অনেকে এর ভাল ব্যবহারও করেন।[১]
রেট্রোকম্পিউটিঙের আরও গুরুত্বপূর্ণ ধারা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইতিহাসের একটি অংশ। এটাকে কম্পিউটিঙে নিরীক্ষামূলক পুরাতত্ত্বের এনালগ হিসেবে দেখা হয়। কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণের মধ্যে রয়েছে ব্যাবেজের ডিফারেন্স ইঞ্জিনের পুনর্গঠন (এর ডিজাইনেরও ১০০ বছর পর) এবং ২০০০ সালে প্ল্যানকাল্কলের প্রয়োগ (এর উদ্ভবের অর্ধশতাব্দী পরে)।
১৯৭৬ সাল থেকে ব্যক্তিগত কম্পিউটার রয়েছে। কিন্তু এ সময়ে অনেকগুলো প্রযুক্তিক বিপ্লব ঘটে গেছে যা পুরোনো লুপ্ত কম্পিউটার সরঞ্জামগুলো আবর্জনার স্তূপে পরিণত করেছে। তৎসত্ত্বেও, অই সময়ে এ অব্যবহার্য কম্পিউটারগুলো ভিন্টেজ কম্পিউটার সংগ্রহকারীদের একটি নতুন উপ-সংস্কৃতির জন্ম দেয়, যারা এ দুর্লভ পণ্যগুলো সংগ্রহ করতে বিশাল অঙ্কের অর্থও খরচ করে, শুধুমাত্র প্রদর্শনীর জন্যে নয়, তাদের পূর্ণ কার্যক্ষম ঐতিহ্যও ফিরিয়ে আনতে ইচ্ছুক তারা, যার মধ্যে রয়েছে সক্রিয় সফটওয়্যার উন্নয়ন, ও আধুনিক ব্যবহারের জন্যে অভিযোজন। এর মধ্যে রয়েছে তথাকথিত হ্যাকাররা যারা নতুন ও পুরোনো কম্পিউটার থেকে নতুন শংকর কম্পিউটার যুক্ত, হালনাগাদ ও তৈরী করে। ইথারনেট ইন্টারফেসসমূহ অনেক পুরোনো ৮-বিট যন্ত্রের জন্যে সীমাবদ্ধ ইন্টারনেট সংযোগের জন্যে ডিজাইন করা হয়েছে; যেখানে ব্যবহারকারীরা ব্যবহারকারী গ্রুপ, বুলেটিন বোর্ড ও সফটওয়্যারের ডাটাবেসে প্রবেশ করতে পারে।