লেনি রিফনশ্টাল | |
---|---|
Leni Riefenstahl | |
জন্ম | হেলেনা বের্থা আমালি রিফনশ্টাল ২২ আগস্ট ১৯০২ |
মৃত্যু | ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৩ প্যোকিং, জার্মানি | (বয়স ১০১)
মৃত্যুর কারণ | ক্যান্সার |
সমাধি | মিউনিখ ভাল্ডফ্রাইডহফ |
জাতীয়তা | জার্মান |
পেশা | পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, সম্পাদক, আলোকচিত্রী, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯২৫-২০০২ |
দাম্পত্য সঙ্গী | পিটার ইয়াকব (বি. ১৯৪৪–১৯৪৬) |
হেলেনা বের্থা আমালি "লেনি" রিফনশ্টাল (জার্মান: [ˈʁiːfn̩ʃtaːl]; ২২ আগস্ট ১৯০২ - ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৩) ছিলেন জার্মান চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, সম্পাদক, আলোকচিত্রী, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী।[১]
১৯২৪ সালে ডের বের্গ ডেস শিক্সালস ("ভাগ্যের পর্বত") চলচ্চিত্রের প্রচারণামূলক পোস্টার দেখার পর রিফনশ্টাল অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা লাভ করেন। ১৯২৫ থেকে ১৯২৯ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৩২ সালে ডাস ব্লাউ লিখ্ট ("নীল আলো") চলচ্চিত্র দিয়ে তার পরিচালনায় অভিষেক ঘটে। ১৯৩০-এর দশকে তিনি ট্রিয়াম্ফ ডেস ভিলেনস ও অলিম্পিয়া পরিচালনা করে বিশ্বব্যাপী সকলের নজরে আসেন এবং সমাদৃত হন। এই দুটি চলচ্চিত্রকে সর্বকালের অন্যতম ফলপ্রসূ ও প্রযুক্তিগতভাবে অভিনব প্রচারণামূলক চলচ্চিত্র বলে গণ্য করা হয়।
পরিচালনার পাশাপাশি রিফনশ্টাল একটি আত্মজীবনী এবং কয়েকটি বই রচনা করেন। তিনি ২০০৩ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ১০১ বছর বয়সে মৃত্যবরণ করে। তাকে মিউনিখ ভাল্ডফ্রাইডহফে সমাহিত করা হয়।
হেলেনা বের্থা আমালি রিফনশ্টাল ১৯০২ সালের ২২শে আগস্ট জার্মান সাম্রাজ্যের বার্লিনে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা আলফ্রেড থিওডোর পল রিফনশ্টাল হিটিং ও ভেন্টিলেশন কোম্পানির মালিক ছিলেন এবং চাইতেন তার কন্যাও তাকে অনুসরণ করে ব্যবসায়ে মনযোগী হোক।[৩] রিফনশ্টালের শৈশব থেকেই তার পিতা চাইতেন তিনি তাদের পারিবারিক নামেই বড় হোক এবং পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করুক।[৩] তার মাতা বের্থা ইডা (প্রদত্ত নাম: শেরলাখ) তার বিয়ের পূর্বে খণ্ডকালীন দর্জির কাজ করতেন। তার বিশ্বাস ছিল বিনোদন ব্যবসায়ে তার কন্যা রিফনশ্টাললের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।[৪][৩] রিফনশ্টালের ছোট ভাই হাইনৎজ ৩৯ বছর বয়সে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে নাৎসি জার্মানির যুদ্ধে পূর্ব যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যান।[৫]
রিফনশ্টাল নৃত্য একাডেমিতে নাচের তালিম নেন এবং তার নিজস্ব-ধাঁচের নৃত্যশৈলির জন্য পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি মাক্স রাইনহার্টের সাথে ইহুদি প্রযোজক হ্যারি সকালের অর্থায়নে ইউরোপ সফর করেন।[৬][৭] রিফনশ্টাল তার প্রতিটি পরিবেশনার জন্য ৭০০ রাইখমার্ক নিতেন এবং নৃত্যের প্রতি এতো আগ্রহী ছিলেন যে চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ভাবতেনই না।[৭] পায়ে আঘাতের কারণে তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়, যা তার নৃত্য জীবনে প্রভাব ফেলে।[৩] এই সময়েই তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় ১৯২৪ সালে ডের বের্গ ডেস শিক্সালস ("ভাগ্যের পর্বত") চলচ্চিত্র পোস্টার দেখতে পান।[৮] তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুপ্রাণিত হন এবং চলচ্চিত্র দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যাওয়া শুরু করেন এবং বিভিন্ন চলচ্চিত্রের আয়োজনে অংশগ্রহণ করতেন।[৩]