নীতিবাক্য | শিক্ষা, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি।[১] |
---|---|
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৫১ |
সভাপতি | ফাউদ আইয়ুব |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৫,০০০+ |
শিক্ষার্থী | ৮০,০০০+ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে ক্যম্পাস, ৭০৫,০০০মি²[২] |
ওয়েবসাইট | Official website |
লেবাননের বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: Lebanese University; ফরাসি: Université libanaise; আরবি: الجامعة اللبنانية) হচ্ছে লেবাননের একমাত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।[৩] ১৯৫১ সালে উল্লেখযোগ্য অধ্যাপক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্বদের প্রচেষ্টা, সহযোগিতা ও সমর্থনের ফলে লেবাননের প্রেসিডেন্ট বিছারা ইল খুরির সহযোগিতায় ৬৮ ছাত্র ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে লেবানন বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেন।
১৯৫১ সালে লেবাননের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়,[৪] ৩ ডিসেম্বর ১৯৫১ সালে উচ্চ হাউস শিক্ষক এবং পরিসংখ্যান কেন্দ্র ৬৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে সরকারী ফরমান নং ২৫ অনুযায়ী ইনস্টিটিউশন অর্থ ও প্রশাসন চালু করা যাবে এবং উচ্চ ঘর শিক্ষকদের নামকরণ করা হয় উচ্চ শিক্ষক প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে বড় পরিবর্তন হয়ে ছিল ১৯৫৯-এর নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ নং ২৮৮৩ এ কারণে। আরও যোগ করা হয়েছে নতুন নতুন উপাদানমুখী কাঠামো,যা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ সব কার্যক্রম জন্য সাহায্য করে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা হয় নতুন নতুন বিভিন্ন অনুষদ।
লেবাননী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৬টি অনুষদ সহ দুই প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনুষদ সমূহ হলো: সাহিত্য এবং মানুষের বিজ্ঞান অনুষদ, আইন, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ , সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ , চারুকলা অনুষদ, শিক্ষণবিজ্ঞান (প্রতিস্থাপন উচ্চ শিক্ষক প্রতিষ্ঠান) অনুষদ, সাংবাদিকতা এবং ডকুমেন্টেশন অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন এবং অর্থনৈতিক বিজ্ঞান অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ, কৃষি অনুষদ, জনস্বাস্থ্য অনুষদ, চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ, দন্ত্যচিকিৎসা অনুষদ, ফার্মেসী অনুষদ, পর্যটক ও হোটেল ব্যবস্থাপনা অনুষদ ও প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদ।
লেবাননী ইউনিভার্সিটি লেবাননের একমাত্র সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যা লেবাননের উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং ক্রমাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনসাধারণের উচ্চশিক্ষার কাজ সম্পাদন করে আসছে।
জ্ঞান এবং সংস্কৃতি বিতরণ।
বৈজ্ঞানিকভাবে যোগ্য মানব সম্পদ প্রদান।
উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে অধ্যয়ন এবং ক্রমাগত প্রশিক্ষণ মাধ্যমে সম্প্রদায়কে সেবা প্রদান।
জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে বৈজ্ঞানিক উপস্থিতি কার্যকর করা।
সামাজিক ও জাতীয় ইন্টিগ্রেশন গভীরতা তৈরি করন।
নাগরিকদের হৃদয় মানুষের মূল্যায়ন করা।
লেবাননী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে লেবাননে সবচেয়ে বিস্তৃত পরিসর পিএইচডি প্রোগ্রাম। এই পিএইচডি প্রগ্রাম অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীদের গবেষণার জন্য রয়েছে গণিত, পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা, রসায়ন, প্রকৌশল,[৫] ফাইন আর্টস, শিক্ষা, সাহিত্য,[৬] আইন, ব্যবসা, অর্থনীতিসহ নানা বিষয়ে ভিক্তিক গবেষণা কেন্দ্র।
লেবাননী বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে পরিচালিত হয় ৬২টি লাইব্রেরী, এই গ্রন্থাগার গুলোর সংগ্রহে রয়েছে ৭০০,০০০-এর অধিক বই; সকল গ্রন্থাগারগুলোই শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।