লোকনায়ক গঙ্গা পথ | |
---|---|
পাটনা মেরিন ড্রাইভ | |
পথের তথ্য | |
দৈর্ঘ্য | ২০.৫ কিমি (১২.৭ মা) |
অস্তিত্বকাল | ২৪ জুন ২০২২–বর্তমান |
প্রধান সংযোগস্থল | |
পশ্চিম প্রান্ত: | দীঘা |
পূর্ব প্রান্ত: | দেদারগঞ্জ |
অবস্থান | |
প্রধান শহর | পাটনা |
মহাসড়ক ব্যবস্থা | |
বিহারের রাজ্য সড়ক |
লোকনায়ক গঙ্গা পথ (গঙ্গা পথ) বা পাটনা মেরিন ড্রাইভ হল ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা শহরে গঙ্গা নদী তীরবর্তী একটি এক্সপ্রেসওয়ে।[১][২] এটি ২০২২ সালের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।[৩] এক্সপ্রেসওয়েটি যৌথভাবে হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এইচইউডিসিও) ও বিহার সরকার দ্বারা নির্মিত হচ্ছে।[৪][৫]
এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপটি ২০২২ সালের ২৪শে জুন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।[৬]
এটি ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে অনুমোদিত হয়েছিল এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কর্তৃক ২০১৩ সালের ১১ই অক্টোবর ভূমিপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৭] বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ২০২২ সালের ২৪শে জুন এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেছিলেন।[৬]
এটি একটি ২০.৫-কিলোমিটার-দীর্ঘ (১২.৭ মা) সড়ক। সড়কটি ২২৩৪.৪৬কোটি টাকা ব্যয়ে পাটনার দিঘা ও দেদারগঞ্জের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সড়কটি ফতুহা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সম্প্রসারিত হবে।[৮] গঙ্গা পথটি ৬.৫ কিমি ভূমিস্তরে ও ১৪ কিমি উড়ালপথে নির্মিত হয়েছে।[৯]
গঙ্গা পথ প্রকল্প যা বহু বছর ধরে পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে, যাকে পাটনার মেরিন ড্রাইভও বলা হয়, গঙ্গা পথ বা গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দিঘাকে গঙ্গা নদীর তীর বরাবর কাচ্চি দরগার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
এক্সপ্রেসওয়েটি পূর্ব থেকে পশ্চিম পাটনার মধ্যে যানবাহনের একটি মসৃণ প্রবাহ নিশ্চিত করবে এবং অশোক রাজপথে যানজটও কমিয়ে দেবে। অশোক রাজপথের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়েটি নয়টি স্থানে যুক্ত থাকবে। এটি একটি টোল সড়ক হিসাবে কাজ করে। বহু প্রত্যাশিত প্রকল্পটি পূর্ব থেকে পশ্চিম পাটনার ভারী যানজটপূর্ণ রাস্তাগুলিতে যানজট হ্রাস করবে। এটি শুধুমাত্র একটি সুন্দর রিভারফ্রন্ট প্রদান করবে না বরং এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকেও উত্সাহিত করবে।[১০]
পাটনা শহরে গঙ্গা বরাবর ৪.৫ কিমি দীর্ঘ রিভারফ্রন্টে পরিকল্পনা করা হয়েছে।[১২] পাটনা রিভারফ্রন্টের চারটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সঙ্গে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ২.৩ কিলোমিটার পথ বরাবর ২০ টি ঘাট তৈরি করা হবে। ৪.৫ মিটার চওড়া ভ্রমণার্থ খোলা রাস্তাকে কালেক্টরেট ঘাট থেকে আদালত ঘাট (৪৭০ মিটার), আদালত ঘাট থেকে গান্ধী ঘাট (১১৩২ মিটার), গান্ধী ঘাট থেকে রাণী ঘাট (৩৮৪ মিটার) এবং — কিছু ঘাটের ব্যবধানের পরে — ভদ্রা ঘাট থেকে নওজার ঘাট (৩৩০ মি) পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে। এই প্রকল্পটি জাতীয় গঙ্গা নদী অববাহিকা কর্তৃপক্ষের অংশ।