ল্যাকক অ্যাবি

ল্যাকক অ্যাবি
দক্ষিণ দিক থেকে ল্যাকক অ্যাবের দৃশ্য, যার মধ্যে রয়েছে উইলিয়াম হেনরি ফক্স ট্যালবটের তোলা বিখ্যাত জানালার ছবি
অবস্থানল্যাকক
স্থানাঙ্ক৫১°২৪′৫৩″ উত্তর ২°০৭′০২″ পশ্চিম / ৫১.৪১৪৭৫° উত্তর ২.১১৭১৮° পশ্চিম / 51.41475; -2.11718
ওএস গ্রিড রেফারেন্সST9193268418
অঞ্চলউইল্টশায়ার
নির্মিতত্রয়োদশ শতাব্দী
পুনর্নির্মিতষোড়শ–ঊনবিংশ শতাব্দী
মালিকন্যাশনাল ট্রাস্ট
প্রাতিষ্ঠানিক নামল্যাকক অ্যাবে ও স্থায়ী আঙ্গিনা
মনোনীত২০ ডিসেম্বর , ১৯৬০
সূত্র নংটেমপ্লেট:Listed building England
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/উইল্টশায়ার" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র উইল্টশায়ার" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়।

ল্যাকক অ্যাবে ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ার কাউন্টির ল্যাকক গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাক্তন মঠ ও বর্তমান ঐতিহাসিক বাড়ি। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এলা,সালিসবারি ৩য় কাউন্টেস এই মঠটি অগাস্টিনীয় নারী ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন। ১৬শ শতাব্দীতে হেনরি অষ্টমের মঠ বিলুপ্তি পর্যন্ত এটি সক্রিয় ছিল। এরপর স্যার উইলিয়াম শেয়ারিংটন মঠটি কিনে একে বাসস্থানে রূপান্তরিত করেন। ইংরেজ গৃহযুদ্ধের সময় এটি রাজপক্ষীয় দূর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ১৬৪৫ সালে সংসদীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

বর্তমান ভবনটি প্রাচীন মঠের ক্লয়েস্টারের উপর নির্মিত। প্রধান কক্ষগুলি প্রথম তলায় অবস্থিত। পাথরের তৈরি এই ভবনে স্লেট ছাদ, বাঁকানো চিমনি ও খাঁজকাটা জানালা দেখা যায়। সময়ের সাথে স্থাপত্যের নানা সংযোজন-বিয়োজনের ফলে বর্তমান কাঠামোতে বিভিন্ন যুগের শৈলীর মিশেল লক্ষণীয়। উত্তর দিকের টিউডর স্থাপত্যের স্থায়ী আঙ্গিনায় মধ্ ব্রিউহাউস (বিয়ার তৈরির ঘর) ও বেকহাউস (রুটি পাকানোর ঘর) এখনও সংরক্ষিত।

পরবর্তীতে বাড়িটি ট্যালবট পরিবারের অধিকারে আসে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে উইলিয়াম হেনরি ফক্স ট্যালবট এখানে বসবাস করতেন। ১৮৩৫ সালে তিনি এই অ্যাবের একটি জানালার ছবি তুলে বিশ্বের প্রথম ক্যামেরা নেগেটিভ তৈরি করেন, যা আলোকচিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে রয়েছে।

১৯৪৪ সালে শিল্পী ম্যাটিল্ডা থেরেসা ট্যালবট অ্যাবি ও সমগ্র ল্যাকক গ্রাম ন্যাশনাল ট্রাস্টের কাছে দান করেন।[] বর্তমানে এখানে ফক্স ট্যালবট জাদুঘর অবস্থিত, যা আলোকচিত্রের অগ্রদূত ট্যালবটের কাজকে উৎসর্গীকৃত। ন্যাশনাল ট্রাস্ট এই অ্যাবে ও গ্রামকে একত্রে "ল্যাকক অ্যাবে, ফক্স ট্যালবট জাদুঘর ও গ্রাম" হিসেবে প্রচার করে। ২০ ডিসেম্বর ১৯৬০ তারিখে ভবনটিকে গ্রেড I তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ল্যাকক অ্যাবে, সেন্ট মেরি ও সেন্ট বার্নার্ডের নামে উৎসর্গীকৃত, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১২২৯ সালে এলা, কাউন্টেস অব সালিসবারি-এর হাত ধরে। তিনি ছিলেন উইলিয়াম লংগেস্পি-এর বিধবা পত্নী, যিনি হেনরি দ্বিতীয়-এর অবৈধ সন্তান ছিলেন।[] ১২৩২ সালের ১৬ এপ্রিল ল্যাকক গ্রামের স্নেইল'স মিডো নামক স্থানে এলা মঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[] ১২৩২ সালে প্রথম অগাস্টিনীয় নানদের বেল্টার্ধারণ অনুষ্ঠিত হয়,[] এবং এলা নিজে ১২২৮ সালে এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ে যোগ দেন।[]

অধ্যায় ভবনটি অক্ষত অবস্থায় টিকে আছে।

মধ্যযুগ জুড়ে ল্যাকক অ্যাবে সমৃদ্ধি লাভ করে। এলা কর্তৃক প্রদত্ত উর্বর কৃষিজমি পশম বাণিজ্য থেকে যথেষ্ঠ আয় নিশ্চিত করেছিল।[]

ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি হেনরি অষ্টমের মঠ বিলুপ্তি-এর পর ল্যাকক অ্যাবে স্যার উইলিয়াম শেয়ারিংটন-কে ৭৮৩ পাউন্ডে বিক্রি করা হয়। তিনি ১৫৩৯ সাল নাগাদ মঠের গির্জা ধ্বংস করে পাথর দিয়ে ভবন সম্প্রসারণ শুরু করেন এবং মঠকে বাসভবনে রূপান্তরিত করেন। স্থানীয়দের যাতায়াত থেকে বিরক্ত এড়াতে তিনি গির্জার ঘণ্টা বিক্রি করে সেই অর্থে রিভার রে নদীর উপর সেতু নির্মাণ করান বলে কথিত আছে।[] মঠের মূল কাঠামোতে কম পরিবর্তন আনা হয়: যেমন ক্লয়েস্টারগুলি এখনও আবাসিক অংশের নিচে বিদ্যমান। ১৫৫০ সালের দিকে শেয়ারিংটন একটি অষ্টভুজাকার টাওয়ার যোগ করেন যাতে দুটি কক্ষ ছিল – নিচেরটি মূল কক্ষ থেকে প্রবেশযোগ্য, তার সম্পদ সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য; উপরেরটি ভোজের জন্য, যেখানে পৌঁছতে ছাদের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হত। প্রতিটি কক্ষে রেনেসাঁ শৈলীতে খোদাইকেন্দ্রিক অষ্টভুজ পাথরের টেবিল রয়েছে।[] ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি নির্মিত একটি পাথরের জলনালী ঘর এখনও সংরক্ষিত, যেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে বাড়িতে পানি সরবরাহ করা হত।[] পরবর্তী শতাব্দীতে আরও সংযোজন করা হয়, এবং বর্তমানে ভবনটিতে বিভিন্ন মনোরম গ্রহণকক্ষ রয়েছে।[]

ক্লয়েস্টারের অভ্যন্তরীণ আঙ্গিনা

নিকোলাস কুপার উল্লেখ করেছেন যে ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে শয়নকক্ষগুলিকে প্রায়ই সেইসব ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হত যারা বাড়িতে অবস্থানকালে সেগুলি ব্যবহার করতেন। ল্যাকক-এ "ডিউক'স চেম্বার" সম্ভবত জন ডাডলি, প্রথম ডিউক অব নর্থামবারল্যান্ড-কে নির্দেশ করে, যার সেবায় শেয়ারিংটন নিয়োজিত ছিলেন। "লেডি থিনের চেম্বার" লংলিট-এর স্যার জন থিন-এর স্ত্রীকে সম্মানিত করে, আর "মিস্টার মাইল্ডমের চেম্বার" শেয়ারিংটনের জামাতা অ্যান্টনি মাইল্ডমে-এর জন্য সংরক্ষিত ছিল।[]

অ্যান অব ডেনমার্ক ১৬১৩ সালের মে মাসে বাথ যাত্রার সময় ল্যাককে আসেন। গাঁটের ব্যথায় কষ্টকর অবস্থায় তার চিকিৎসক থিওডোর ডে মায়ের্নে তাকে পরীক্ষা করে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন।[১০] ইংরেজ গৃহযুদ্ধ-এর সময় রাজপক্ষীয় সেনারা অ্যাবে দখল করে এবং মাটির বেষ্টনী দিয়ে সুরক্ষিত করে।[১১] ১৬৪৫ সালের সেপ্টেম্বর শেষে অলিভার ক্রোমওয়েলের কাছে নিকটবর্তী ডেভাইজেস শহরের পতনের কয়েকদিনের মধ্যেই কর্নেল ডেভেরুয়েক্সের নেতৃত্বে সংসদপন্থী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।[১২]

পরবর্তীতে বাড়িটি ট্যালবট পরিবারের হস্তগত হয়। এখানকার সবচেয়ে বিখ্যাত বাসিন্দা ছিলেন বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক উইলিয়াম হেনরি ফক্স ট্যালবট, যিনি ১৮৩৫ সালে অ্যাবির দক্ষিণ গ্যালারির ওরিয়েল জানালার ছবি তুলে বিশ্বের প্রথম টিকে থাকা ফটোগ্রাফিক ক্যামেরা নেগেটিভ তৈরি করেন।[১৩][১৪] ট্যালবটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ পর্যন্ত ১৮৪১ সালে বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়া অধিক সংবেদনশীল "ক্যালোটাইপ" কাগজ নেগেটিভ প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেয়।[১৫]

স্থাপত্য

[সম্পাদনা]
১৮৩৫ সালে উইলিয়াম ফক্স ট্যালবট-এর তোলা ল্যাকক অ্যাবির জালিকাযুক্ত জানালা। পজিটিভ রূপে উপস্থাপিত এই ছবিটিই ক্যামেরায় তোলা বিশ্বের প্রাচীনতম টিকে থাকা ফটোগ্রাফিক নেগেটিভ হতে পারে।

১৫৪০ সালে স্যার উইলিয়াম শেয়ারিংটন মঠ বিলুপ্তির পর অগাস্টিনীয় নানদের পরিত্যক্ত স্থাপনা ক্রয় করলে, তিনি ক্লয়েস্টার প্রাঙ্গণের উপর একটি দেশহাউজ নির্মাণ শুরু করেন। তিনি মধ্যযুগীয় ক্লয়েস্টার ও ভূগর্ভস্থ কক্ষগুলি প্রায় অক্ষত রেখে তার উপরে আরেক তলা যোগ করেন, ফলে প্রধান কক্ষগুলি প্রথম তলায় অবস্থিত হয়। ভবনটি আশলার ও ভগ্ন পাথর দিয়ে নির্মিত, ছাদে পাথরের স্লেট ব্যবহৃত হয়েছে এবং ষোড়শ শতাব্দীর বাঁকানো চিমনিগুলি দৃশ্যমান।[১৬]

স্থাপনাটিতে বিভিন্ন শৈলীর মিশেল থাকলেও কোনো সুসংহত পরিকল্পনা অনুপস্থিত। চারটি উইং ক্লয়েস্টার প্যাসেজের উপর নির্মিত হলেও বাড়িতে প্রবেশের জন্য ক্লয়েস্টার ব্যবহার করা যায় না, আবার ভবনের ভিতর থেকে ক্লয়েস্টারও দৃশ্যমান নয়।[১৭] ১৭৫০-এর দশকে জন আইভরি ট্যালবট-এর মালিকানায় গথিক পুনরুজ্জীবন ধারায় অ্যাবি ব্যাপক সংস্কার করা হয়। এই সময়ে স্যান্ডারসন মিলার দ্বারা গ্রেট হল পুনর্বিন্যাস করা হয়।[১৮]

ভূগর্ভস্থ কাঠামো

[সম্পাদনা]

তিন দিকে বিস্তৃত ক্লয়েস্টারের আর্কেড দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে স্যাক্রিস্টি, অধ্যায় ভবন ও ওয়ার্মিং হাউসের মতো খিলানযুক্ত কক্ষগুলি। এই কক্ষগুলি মূল ডরমিটরির নিচে অবস্থিত। অন্যদিকে, প্রাক্তন অ্যাবেসের কক্ষ ও গ্রেট হলের নিচে রয়েছে দুটি কক্ষ ও প্রধান করিডোর। উত্তর দিকে মূল রিফেক্টরির নিচে অবস্থিত আন্ডারক্রফ্ট।[১৬]

পশ্চিমাঞ্চল

[সম্পাদনা]

কেন্দ্রীয় দরজায় উঠার জন্য দুটি প্রশস্ত বালুস্ট্রেড সিঁড়ি রয়েছে। অভ্যন্তরে একটি পূর্ণ উচ্চতার হল যার আংশিক হিপড ভ্যালি ছাদ বিদ্যমান। হলের দুপাশে কুপোলা ও নকশাদার প্যারাপেটযুক্ত অষ্টভুজাকার টারেট দেখা যায়। বাম দিকে মধ্যযুগীয় রান্নাঘর রয়েছে বালুস্ট্রেড প্যারাপেট ও বাট্রেস সহ। ডানদিকে প্যারাপেটযুক্ত কক্ষশ্রেণি এবং কোণায় স্টেপড বাট্রেস বিদ্যমান। দক্ষিণ দিক মূলত সাধারণ ছিল (প্রাচীন গির্জার উত্তর দেয়াল), কিন্তু ১৮২৮ সালে উইলিয়াম ট্যালবট বে উইন্ডো যুক্ত করে পুনর্নির্মাণ করেন। এই অংশে শেয়ারিংটনের টাওয়ার অবস্থিত - একটি অষ্টভুজাকার তিনতলা টাওয়ার যার শীর্ষে বেলভেডিয়ার, বালুস্ট্রেড ও সিঁড়ি টারেট রয়েছে।[১৬]

ল্যাকক অ্যাবির পূর্বদিকের সম্মুখভাগ

পূর্বদিক

[সম্পাদনা]

অন্যান্য দিকের তুলনায় পূর্বদিক বেশি মধ্যযুগীয় মনে হলেও এটি ১৯০০ সালের দিকে নির্মিত। তবে দক্ষিণ প্রান্তের ক্রস-উইং মূলত ষোড়শ শতাব্দীর। উত্তর দিকে অবস্থিত ষোড়শ শতাব্দীর স্থায়ী আঙ্গিনা অত্যন্ত সংরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে, যার উত্তর প্রান্তে ঘড়ি টাওয়ার ও টিউডর খিলানযুক্ত দরজা দেখা যায়।[১৬] আঙ্গিনার পাশেই রয়েছে ব্রিটেনের প্রাচীনতম ব্রিউহাউস ও বেকহাউস।[১৯] সপ্তদশ শতাব্দীর দুটি লজ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর ক্যারিজ হাউসও এখানে বিদ্যমান।[১৬]

বর্তমান অবস্থা

[সম্পাদনা]

ল্যাকক অ্যাবে বর্তমানে ন্যাশনাল ট্রাস্ট-এর মালিকানাধীন, যাকে ১৯৪৪ সালে ম্যাটিল্ডা গিলক্রিস্ট-ক্লার্ক দান করেছিলেন। তিনি ১৯১৬ সালে তার চাচা চার্লস হেনরি ফক্স ট্যালবটের কাছ থেকে এই এস্টেট উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন।[২০] ভবনটি গ্রেড I তালিকাভুক্ত ভবন হিসেবে স্বীকৃত।[২১]

ফক্স ট্যালবট জাদুঘর

[সম্পাদনা]

ভবনের নিচতলায় অবস্থিত এই জাদুঘরটি উইলিয়াম হেনরি ফক্স ট্যালবটের জীবন ও ফটোগ্রাফিতে তার অবদানকে উৎসর্গীকৃত। এখানে তার ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী,[২২] "মাউসট্র্যাপ ক্যামেরা" (স্ত্রীর দেওয়া নাম, কারণ তিনি কাঠের ছোট বাক্সগুলো ঘরে ছড়িয়ে রাখতেন),[২৩] ছবি তৈরির রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও ফটোগ্রাফির প্রারম্ভিক ইতিহাসের নিদর্শন প্রদর্শিত হয়। প্রথম তলার গ্যালারিতে বিভিন্ন ফটোগ্রাফারের কাজের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।[২২] ২০১৭ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে ঐতিহাসিক ফটোগ্রাফিক সংগ্রহ "ফেন্টন কালেকশন" জাদুঘরে স্থানান্তরিত হয়।[২৪]

চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে ব্যবহার

[সম্পাদনা]
ল্যাকক অ্যাবির ক্লয়েস্টার

হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার্স স্টোন (২০০১) ও হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস (২০০২)-এর অভ্যন্তরীণ দৃশ্যাবলি এখানে ধারণ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ক্লয়েস্টার ওয়াক (যেখানে হ্যারি এরিসেডের আয়না আবিষ্কার করে) এবং প্রফেসর লকহার্টের কক্ষ থেকে শাস্তি শেষে বেরিয়ে ব্যাসিলিস্কের আওয়াজ শোনার দৃশ্য। হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স (২০০৯) ও ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস: দ্য ক্রাইম অফ গ্রিন্ডেলওয়াল্ড (২০১৮)-এর কিছু দৃশ্যও এখানে শুটিং হয়েছে।[২৫][২৬]

ফিলিপা গ্রেগরির ঐতিহাসিক উপন্যাস দ্য আদার বোলেইন গার্ল-এর ২০০৮ সালের চলচ্চিত্রায়নে (পরিচালক জাস্টিন চ্যাডউইক) ল্যাকক অ্যাবে অন্যতম প্রধান লোকেশন ছিল।[২৭] অ্যান্থনি হপকিন্স অভিনীত হরর চলচ্চিত্র দ্য উল্ফম্যান (২০১০)-এর অংশবিশেষ এখানে ধারণ করা হয়।[২৮] ১৯৯৫ সালের বিবিসি/এ&ই প্রযোজিত প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস ও ড্যানিয়েল ডিফোর মল ফ্ল্যান্ডার্স-এর অভ্যন্তরীণ দৃশ্যাবলি এখানে শুটিং হয়েছিল।[২৯] ২০১৪ সালে হিলারি ম্যান্টেলের উল্ফ হল মিনিসিরিজের দৃশ্যও এখানে ধারণ করা হয়।[৩০]

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. Talbot, Matilda Theresa 
  2. হেরাল্ডদের উল্লিখিত 'ল্যাককের গ্রন্থ'টি কটোনিয়ান লাইব্রেরি-তে স্থান পেয়েছিল, যেখানে ১৭৩১ সালের অগ্নিকাণ্ডে এটি নষ্ট হয় বলে ধারণা (উইলিয়াম লিসল বোলসজন গফ নিকোলস, অ্যানালস অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিজ অব ল্যাকক অ্যাবে: ইন দ্য কাউন্টি অব উইল্টশায়ার... লন্ডন, ১৮৩৫:ভি)।
  3. বোলস ও নিকোলস ১৮৩৫:১৭১; একই দিনে তিনি সমারসেটের হেন্টনে কার্থুসিয়ান প্রায়রি প্রতিষ্ঠা করেন, যা ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত।
  4. বোলস ও নিকোলস ১৮৩৫:৮১ দ্বারা সংশোধিত তারিখ, যেখানে ল্যাককের গ্রন্থে ভুলভাবে উল্লিখিত MCCXXII (১২২২) সংশোধন করে ১২৩২ ধরা হয়েছে।
  5. "Lacock"Wiltshire Community History। Wiltshire Council। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০২৩ 
  6. Pugh; Crittall, সম্পাদকগণ (১৯৫৬)। "'Houses of Augustinian canonesses: Abbey of Lacock"। A History of the County of Wiltshire, Volume 3। British History Online।  অজানা প্যারামিটার |সম্পাদক-প্রথম= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |অধ্যায়-ইউআরএল= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |সম্পাদক2-প্রথম= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  7. মার্ক গিরোয়ার্ড, লাইফ ইন দি ইংলিশ কান্ট্রি হাউস ১৯৭৮:১০৬।
  8. গিরোয়ার্ড ১৯৭৮:২৪৮।
  9. নিকোলাস কুপার, হাউজেস অব দি জেন্ট্রি ১৪৮০–১৬৮০ ১৯৯৯:২৬৫।
  10. জোসেফ ব্রাউন, থিও. টার্কেট মায়ের্নি অপেরা মেডিকা: ফর্মুলা অ্যানা ও মারিয়া (লন্ডন, ১৭০৩), পৃ. ১০-১১: সুজানা লিয়ন-হোয়ালি, 'হট ওয়াটার্স, কোল্ড ওয়াটার্স অ্যান্ড গ্রিন স্পেস: স্টুয়ার্ট কুইন্স কনসোর্ট অ্যান্ড মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট অ্যাট ইংলিশ স্পা', হিস্তোয়ারে, মেডিসিন এট সান্তে, ২৪ (শীত ২০২৩), পৃ. ৪১–৪৭ ডিওআই:10.4000/hms.7196
  11. Wroughton 2011
  12. Bowles ও Nichols 1835, পৃ. 359।
  13. অ্যান্থনি ফেল্ডম্যান, পিটার ফোর্ড (১৯৮৯) সায়েন্টিস্টস অ্যান্ড ইনভেন্টর্স পৃ.১২৮. ব্লুমসবারি বুকস, ১৯৮৯
  14. উইলিয়াম এইচ. ফক্স ট্যালবট, ইনভেন্টর অব দ্য নেগেটিভ-পজিটিভ প্রসেস পৃ.৯৫. ম্যাকমিলান, ১৯৭৩
  15. বিবিসি – ইতিহাস – ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব: উইলিয়াম হেনরি ফক্স ট্যালবট (১৮০০–১৮৭৭) বিবিসি
  16. "Lacock Abbey"। British Listed Buildings। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৬ 
  17. Ronnes, Hanneke (২০০৬)। Architecture and Elite Culture in the United Provinces, England and Ireland, 1500-1700। Amsterdam University Press। পৃষ্ঠা ৭৯–৮০। আইএসবিএন 978-90-8555-361-8 
  18. টেমপ্লেট:ODNBওয়েব
  19. "ল্যাকক অ্যাবিতে ৮০০ বছরের ইতিহাস"। National Trust। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬ 
  20. "History of Lacock Abbey, Estate and Lacock Village"Fox Talbot Museum। The National Trust। ২০১৩-০৮-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬ 
  21. ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড (২০ ডিসেম্বর ১৯৬০)। "তালিকাভুক্ত বিল্ডিং ডাটাবেস থেকে বিবরণ ({{{num}}})"ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা  একের অধিক |শিরোনাম= এবং |title= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  22. "Fox Talbot Museum"। The National Trust। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬ 
  23. Demolder, Damien (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Fox Talbot's historical Mousetrap camera leaves UK for first time, heads to Tokyo"। DPreview। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  24. "The Fenton Collection"National Trust (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৮ 
  25. "Harry Potter Filming Locations: Outside of London and Scotland"। HP Supporters। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৬ 
  26. "'Fantastic Beasts' 2 new Lacock Abbey on-set photos show extras in Hogwarts robes – SnitchSeeker.com"snitchseeker.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৫ 
  27. "Behind the scenes"। National Trust। ১৮ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৮ 
  28. "Filming Locations used for TV and Cinema in and around the Cotswolds"। Cotswolds.info। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৬ 
  29. Great Britain। Lonely Planet। ২০১০। পৃষ্ঠা ৩১৭। আইএসবিএন 978-1-74220-341-6 
  30. Frith-Salem, Benjamin (২০ জানুয়ারি ২০১৫)। "Wolf Halls: take a look inside the properties where the new BBC series is filmed"। BBC History Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ 

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  • Bowles, William Lisle; Nichols, John Gough (১৮৩৫), Annals and antiquities of Lacock abbey: in the county of Wilts, J.B. Nichols and son, পৃষ্ঠা 359 
  • Wroughton, Dr John (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১), The Civil War in the West, BBC 
  • Rogers, K. H., সম্পাদক (১৯৭৯), "Lacock abbey charters", Wiltshire Record Society, 34 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]