শর্মিলা ঠাকুর | |
---|---|
জন্ম | শর্মিলা ঠাকুর ৮ ডিসেম্বর ১৯৪৪ |
অন্যান্য নাম | আয়েশা সুলতানা আয়েশা সুলতানা খান শর্মিলা ঠাকুর খান শর্মিলা খান আয়েশা খান |
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল |
কর্মজীবন | ১৯৫৯-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | মনসুর আলী খান (১৯৬৯–২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১, মৃত্যু) |
সন্তান | সাইফ আলি খান সাবা আলী খান সোহা আলি খান |
শর্মিলা ঠাকুর (জন্ম: ৮ ডিসেম্বর ১৯৪৪) একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী। তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অপুর সংসার।[১] তিনি ১৯৭০-এর দশকের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা অভিনেত্রীদের একজন। তিনি দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন; প্রথমবার মৌসম (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে এবং দ্বিতীয়বার আবার অরণ্যে (২০০৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে। এছাড়া তিনি আরাধনা (১৯৬৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। তার বাবা গীতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন স্বয়ং গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতি।
শর্মিলা কলকাতার বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পাতৌদির স্ত্রী। তার ছেলে সইফ আলি খান একজন হিন্দি চলচ্চিত্রের সফল অভিনেতা এবং তার মেয়ে সোহা আলি খান হিন্দি চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী। তিনি ২০০৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের প্রধান ছিলেন। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জুরি সদস্যদের একজন ছিলেন। ২০১৩ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণে ভূষিত করে।
১৯৬৯ সালে শক্তি সামন্তের পরিচালনায় বলিউডে আরাধনা চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এতে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ বা বলিউডের অন্যতম ব্যক্তিত্ব রাজেশ খান্নার বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। চলচ্চিত্রটি ১৯৪৬ সালে হলিউডে 'টু ইচ হিস অউন' শিরোনামে সর্বপ্রথম নির্মিত হয়েছিল যা পরবর্তীতে হিন্দিতে 'আরাধনা' নামে নতুন করে নির্মিত হয়। বছরের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে এটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করে। শর্মিলা ঠাকুরও ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন যা হলিউড চলচ্চিত্রে একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অলিভিয়া দ্য হ্যাভিল্যান্ড তার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[২]
হিন্দিতে প্রথমে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হলেও পরবর্তীতে বাংলা ভাষায়ও এটি ডাবিং করা হয়। আরাধনা চলচ্চিত্রের ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যে আরো দু'টি ভাষা - তামিল ও তেলুগু ভাষায় যথাক্রমে শিবাগামিইন সেলভান (১৯৭৪) ও কন্যাবাড়ি কালাউ (১৯৭৪) নামে পুনরায় নির্মিত হয় যাতে শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে বানিশ্রী অভিনয় করেছিলেন।[৩]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |