চীনের ইতিহাস | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
প্রাচীন যুগ | |||||||
নব্যপ্রস্তর যুগ আনু. খ্রিস্টপূর্ব ৮৫০০ - ২০৭০ অব্দ | |||||||
সিয়া সাম্রাজ্য আনু. খ্রিস্টপূর্ব ২০৭০ - ১৬০০ অব্দ | |||||||
শাং সাম্রাজ্য আনু. খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ - ১০৪৬ অব্দ | |||||||
চৌ রাজবংশ আনু. খ্রিস্টপূর্ব ১০৪৬ - ২৫৬ অব্দ | |||||||
পশ্চিম চৌ | |||||||
পূর্ব চৌ | |||||||
শরৎ বসন্ত কাল | |||||||
যুদ্ধরত রাজ্য কাল | |||||||
সামন্ততান্ত্রিক যুগ | |||||||
কিন সাম্রাজ্য খ্রিস্টপূর্ব ২২১ - ২০৬ অব্দ | |||||||
হান সাম্রাজ্য খ্রিস্টপূর্ব ২০৬ অব্দ - ২২০ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
পশ্চিম হান | |||||||
সিন সাম্রাজ্য ৯ - ২৩ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
পূর্ব হান | |||||||
তিন রাজ্য ২২০ - ২৮০ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
চাও ওয়েই, শু হান ও পূর্ব য়ু | |||||||
চিন সাম্রাজ্য ২৬৫ - ৪২০ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
পশ্চিম চিন | |||||||
পূর্ব চিন | ষোল রাজ্য | ||||||
উত্তর ও দক্ষিণ রাজবংশ ৪২০ - ৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
সুই সাম্রাজ্য ৫৮১ – ৬১৮ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
তাং রাজবংশ ৬১৮ – ৯০৭ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
(দ্বিতীয় চৌ রাজবংশ ৬৯০–৭০৫ খ্রিস্টাব্দ) | |||||||
পাঁচ সাম্রাজ্য ও দশ রাজ্য ৯০৭ – ৯৬০ খ্রিস্টাব্দ |
লিয়াও রাজবংশ ৯০৭ – ১১২৫ খ্রিস্টাব্দ | ||||||
সং রাজবংশ ৯৬০ – ১২৭৯ খ্রিস্টাব্দ |
|||||||
উত্তর সং | পশ্চিম সিয়া | ||||||
দক্ষিণ সং | চিন | ||||||
ইউয়ান রাজবংশ ১২৭১ – ১৩৬৮ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
মিং রাজবংশ ১৩৬৮ – ১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
চিং রাজবংশ ১৬৪৪ – ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
আধুনিক যুগ | |||||||
গণতান্ত্রিক চীন ১৯১২ – ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ | |||||||
গণচীন ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ – বর্তমান |
গণচীন (তাইওয়ান) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ – বর্তমান | ||||||
শরৎ বসন্ত কাল (সরলীকৃত চীনা অক্ষর: 春秋时代; ঐতিহ্যবাহী চীনা অক্ষর: 春秋時代; ফিনিন: Chūnqiū Shídài) চীনের ইতিহাসের একটি সময়কাল, যা আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭৭১ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪৭৬ অব্দ (বা খ্রিস্টপূর্ব ৪০৩ অব্দ[ক]) পর্যন্ত পূর্ব চৌ সাম্রাজ্যের প্রথমাংশে স্থায়ী ছিল।[২] এই সময়কালের নাম পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ৭২২ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪৭৯ অব্দের লু রাজ্যের এক বিবরণী শরৎ বসন্ত ইতিবৃত্তে। এই সময়ে অর্থনৈতিক বিকাশ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বড় বড় রাজ্যের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়। পাশাপাশি সামাজিক ব্যবস্থার বেশ কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়। এছাড়া কৃষিকাজের বিভিন্ন সরঞ্জাম আবিষ্কার, গরু দিয়ে জমি চাষের প্রচলন ও জলসেচের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।[৩]
খ্রিস্টপূর্ব ৭৭১ অব্দে কুয়ানরং আক্রমণের ফলে পশ্চিম চৌ সাম্রাজ্য ও এর রাজধানী হাওজিং ধ্বংস হলে চৌ সম্রাট তার পূর্ব রাজধানী লুওয়িতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই ঘটনার ফলে পূর্ব চৌ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শরৎ বসন্ত কাল ও যুদ্ধরত রাজ্য কাল এই দুই সময়ে বিভক্ত হয়। শরৎ বসন্ত কালে চীনের জায়গীর প্রথা ফেংজিয়াং বিলুপ্ত হতে থাকে। চৌ রাজদরবার গুয়ানঝং অঞ্চল হারালে সেখানে নামমাত্র ক্ষমতার অধিকারী হয় এবং রাজধানী লুওয়ির আশেপাশের অল্প কিছু অঞ্চলে তাদের পূর্ণ ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান থাকে। চৌ সাম্রাজ্যের প্রথম দিকে তাদের বিশাল অঞ্চল দেখাশুনার জন্য রাজ আত্মীয় ও সেনাপ্রধানদের জায়গীরের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছিল। চৌ রাজাদের ক্ষমতা ক্ষীণ হতে থাকলে জায়গীরগুলো স্বাধীন রাজ্য হতে থাকে।[৪]
প্রাচীন সূত্র, যেমন জৌ ঝুয়ান ও চুনছিউয়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক কার্যাবলীর বর্ণনা রয়েছে। এধরনের কার্যাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল - এক শাসকের অন্য শাসকের রাজদরবারে সাক্ষাৎ (চীনা ভাষা: 朝; পিনয়িন: cháo), বিভিন্ন রাজ্যের কর্মকর্তা ও অভিজাতদের আলোচনা সভা (সরলীকৃত চীনা অক্ষর: 会; ঐতিহ্যবাহী চীনা অক্ষর: 會; pinyin: huì), এক রাজ্যের শাসকের অন্য রাজ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ তদন্তের জন্য দূত প্রেরণ (চীনা ভাষা: 聘; পিনয়িন: pìn), এক রাজ্যে থেকে অন্য রাজ্যে দূত প্রেরণ (চীনা ভাষা: 使; পিনয়িন: shǐ), এবং বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদলের শিকারে যাত্রা (চীনা ভাষা: 狩; পিনয়িন: shou)।
পাঁচ প্রভাবশালী (春秋五霸):
শরৎ বসন্ত কালের পাঁচ প্রভাবশালীরা ছিলেন:[৫]
অথবা:
আমলা বা রাজকর্মকর্তা
প্রভাবশালী পণ্ডিত
অন্যান্য
চৌ রাজা ইউ রাজাকে চৌ সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ পদ করে শাং সাম্রাজ্য সময়ের সম্রাটের উপাধি ডি বর্জন করেন। রাজার পরে পাঁচটি সামন্ত পদ ছিল, যা ক্রম অনুযায়ী সেগুলো ছিল
ফাইভ ক্ল্যাসিকের কিছু ভাষান্তর শরৎ বসন্ত কালের ছিল, যার মধ্যে জুও টীকা বিবরণী ও সাহিত্যের টুকিটাকি সংগ্রহে বুক অব পোয়েট্রি ও বুক অব ডকুমেন্টস-এর উল্লেখ রয়েছে। জুও টীকা বিবরণীতে কবিতা রচনার কথা বর্ণিত আছে, যা পরবর্তী সময়ে বুক অব পোয়েট্রিতে স্থান পায়। সাহিত্যের টুকিটাকি সংগ্রহে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু চীনের ক্ল্যাসিকাল বইগুলোতে বইয়ের শিরোনাম আলাদা না থাকায় এটিকেট অ্যান্ড সিরেমোনিয়াল (বা বুক অব রাইটস) দিয়ে কি বুঝানো হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়।[৬]
সিমা কিয়ান ধারণা করেন যে, শরৎ বসন্ত কালের শেষের দিকে কনফুসিয়াস বুক অব পোয়েট্রি, বুক অব ডকুমেন্টস ও বুক অব রাইটস পুনঃসম্পাদনা করেন, টেন উইংস লিখেন ও সমগ্র শরৎ বসন্ত ইতিবৃত্ত লিখেন।[৭]
এছাড়াও অন্যান্য দার্শনিকদের মধ্যে লাউযি ও সুন সু শরৎ বসন্ত কালে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, কিন্তু তাদের মতবাদগুলো পরবর্তী যুদ্ধরত রাজ্য কালের পূর্বে লিখিত কোন রূপ লাভ করে নি।
বুক অব পোয়েট্রিতে শাং ডি (স্বর্গের রাজা) সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও কনফুসীয় ক্ল্যাসিকে কোন পৌরাণিক ও অতিপ্রাকৃতিক সত্তার উল্লেখ নেই। পৌরাণিক গল্পগুলো মূলত বিভিন্ন সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাদের উল্লেখ রয়েছে। যেমন রাজা ওয়েন ও য়ুকে দেবতা হিসেবে উপাসনা করা হত।
বিভিন্ন রাজ্যগুলোও তাদের রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাদের প্রধান দেবতা হিসেবে উপাসনা করত। যেমন ছি শাসকেরা ইয়ু দ্য গ্রেট এবং সোং শাসকেরা তাংয়ের উপাসনা করত।
Further reading[edit]
উইকিমিডিয়া কমন্সে শরৎ বসন্ত কাল সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।