শাহিদ কাপুর | |
---|---|
জন্ম | |
অন্যান্য নাম | শাহিদ কাপুর সাশা[১] |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ২০০৩-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | মীরা রাজপুত (বি. ২০১৫) |
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা | পঙ্কজ কাপুর নীলিমা আজিম |
শাহিদ কাপুর (উচ্চারিত [ʃaːɦɪd̪ kəˈpuːr]; জন্ম ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। শাহিদ কপুর অভিনেতা পঙ্কজ কপুর ও অভিনেত্রী নীলিমা আজিমের ছেলে। শাহিদের বয়স যখন তিন বছর, তখন তার বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শাহিদ তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। ১০ বছর বয়সে শাহিদ মায়ের সঙ্গে মুম্বই চলে আসেন। সেখানে তিনি শিয়ামক দাবারের ড্যান্স অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৯০-এর দশকে কয়েকটি চলচ্চিত্রে শাহিদ সহ-নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীকালে তিনি কয়েকটি মিউজিক ভিডিও ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেন।
২০০৩ সালে ইশক ভিশক নামে একটি রোম্যান্টিক কমেডি ছবিতে শাহিদ প্রথম প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটি ‘স্লিপার হিট’ হয়েছিল। এই ছবিতে অভিনয় করে তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ট পুরুষ নবাগত পুরস্কার পান। এরপর তার অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র বাণিজ্যিক সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। শেষে অমৃতা রাওয়ের বিপরীতে সুরজ বরজাত্যের পারিবারিক ড্রামা চলচ্চিত্র বিবাহ (২০০৬) বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করে। ইমতিয়াজ আলির রোম্যান্টিক কমেডি ছবি জব উই মেট-এ (২০০৭) এক দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার বিভাগে মনোনয়ন পান। বিশাল ভরদ্বাজের ক্যাপার থ্রিলার কামিনে (২০০৯) ছবিতে যমজ ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেও তিনি উক্ত বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এরপর আবার তার অভিনীত কয়েকটি ছবি বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি অ্যাকশন চলচ্চিত্র আর...রাজকুমার (২০১৩) ছবিতে অভিনয় করেন। এটিই তার সর্বাধিক বাণিজ্যসফল চলচ্চিত্র। ২০১৪ সালে শাহিদ কপূর বিশাল ভরদ্বাজের বহুল প্রশংসিত ড্রামা চলচ্চিত্র হায়দার-এ হ্যামলেটের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন।
শাহিদকে গণমাধ্যমে অন্যতম আকর্ষণীয় ভারতীয় সেলিব্রিটি হিসেবে গণ্য করা হয়। নিজের কর্মজীবনে একাধিক চড়াই-উতরাই পার হয়েও তিনি নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম দিকে তিনি রোম্যান্টিক চরিত্রেই অভিনয় করতেন। পরে তিনি অ্যাকশন চলচ্চিত্র ও থ্রিলারে অভিনয় করতে শুরু করেন। তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও রয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি শাহিদ দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে সাহায্য করেন, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং ড্যান্স আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান ঝলক দিখলা জা রিলোডেড-এ প্রতিভা বিচারকের ভূমিকায়ও অংশ নিয়েছেন। অভিনেত্রী করিনা কপুরের সঙ্গে তার একসময় প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ২০১৫ সালে তিনি নতুন দিল্লির এক ছাত্রী মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির কন্যার নাম রাখা হয় মিশা, মীরা ও শাহিদের নামের আদ্যাক্ষর অনুসারে।
১৯৮১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের নতুন দিল্লিতে শাহিদ কপুরের জন্ম। তার বাবা হলেন অভিনেতা পঙ্কজ কপুর ও মা হলেন অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী নীলিমা আজিম।[২][৩] শাহিদের যখন তিন বছর বয়স, তখন তার বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তার বাবা মুম্বই চলে যান এবং অভিনেত্রী সুপ্রিয়া পাঠককে বিয়ে করেন। শাহিদ দিল্লিতে তার মা, দাদামশাই ও দিদিমার সঙ্গে বাস করতে থাকেন।[৪][৫] তার দাদামশাই ও দিদিমা ছিলেন রাশিয়ান পত্রিকা স্পুটনিক-এর সাংবাদিক। শাহিদ তার দাদামশাইকে বিশেষ ভালোবাসতেন: “তিনি প্রতিদিন আমার সঙ্গে স্কুল পর্যন্ত হেঁটে যেতেন। তিনি আমাকে বাবার কথা বলতেন। বাবার সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি আমাকে বাবার চিঠিগুলি পড়ে শোনাতেন।”[৪] শাহিদের বাবা সেই সময় মুম্বইয়ের এক পরিশ্রমী অভিনেতা ছিলেন। বছরে একবার মাত্র শাহিদের জন্মদিনে তিনি শাহিদের কাছে আসতেন।[৪] শাহিদের যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা তাঁকে নিয়ে মুম্বই চলে আসেন। তার মা ছিলেন নৃত্যশিল্পী। তিনি মুম্বই এসেছিলেন অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করার জন্য।[৪]
মুম্বইতে নীলিমা আজিম বিয়ে করেন অভিনেতা রাজেশ খট্টরকে।[৫] ২০০১ সালে নীলিমা ও রাজেশের বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত শাহিদ তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন।[৫] তার পরেও শাহিদ নিজের পাসপোর্টে খট্টর পদবিই ব্যবহার করেছেন।[৬] মায়ের দিক থেকে তার একটি সৎ ভাইও আছে। তিনি নীলিমা ও রাজেশের সন্তান।[৫] শাহিদের বাবা পঙ্কজ ও সুপ্রিয়া পাঠকের দিক থেকে শাহিদের দুটি সৎ ভাইবোন আছে।[৭] শাহিদের বিদ্যালয় শিক্ষা দিল্লির জ্ঞান ভারতী স্কুল ও মুম্বইয়ের রাজহংস বিদ্যালয়ে।[৮] পরে তিনি মুম্বইয়ের মিঠিবাই কলেজে তিন বছর পড়াশোনা করেন।[৯]
শাহিদ অল্প বয়স থেকেই নাচে আগ্রহী ছিলেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি শিয়ামক দাবারের ড্যান্স ইনস্টিটিউটে যোগ দেন।[১০] সেখানকার ছাত্র হিসেবে তিনি দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭) ও তাল (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে সহ-নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। এই দুই ছবিতে দাবার নৃত্য পরিচালক ছিলেন।[১০] ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে শাহিদ গগ ও গোল্ডেনআই গানদুটির সঙ্গে নাচেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পান। পরবর্তীকালে এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন যেম তার “নিজেকে তারকা মনে হচ্ছিল।”[১০] পরে তিনি ইনস্টিটিউটের একজন প্রশিক্ষক হয়েছিলেন।[১০] এই সময় শাহিদ তার বন্ধুকে নিয়ে পেপসির একটি বিজ্ঞাপনের আডিশনে যান। এই বিজ্ঞাপনে শাহরুখ খান, কাজল ও রানি মুখোপাধ্যায় অভিনয় করছিলেন। এই বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের সুযোগ তিনিই পেয়ে যান।[৪] শাহিদ কিট ক্যাট, ক্লোজ-আপ ও অন্যান্য ব্যান্ডের টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন। কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতেও অভিনয় করেন। এর মধ্যে ছিল আর্যন ব্যান্ড ও কুমার শানুর মিউজিক ভিডিও।[১১] ১৯৯৮ সালে তিনি তার বাবার সঙ্গে টেলিভিশন ধারাবাহিক মোহনদাস বি.এ.এল.এল.বি-এ সহকারী পরিচালকের কাজও করেন।[১১][১২]
শ্যামক দাবরের প্রতিষ্ঠানের নৃত্যশিল্পী হিসেবে শাহিদ দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭) ও তাল (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে নেপথ্য নৃত্যশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। তবে এই দু’টি ছবিতে তার উপস্থিতির উল্লেখ নামলিপিতে ছিল না।[১০]
তিনি একাধিক মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছিলেন। সেগুলির মধ্যে একটি ছিল গায়ক কুমার শানুর গানের একটি ভিডিও। এরপর কেন ঘোষ পরিচালিত রোম্যান্টিক কমেডি ইশক ভিশক (২০০৩) ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে অভিনেতা হিসেবে প্রথম পরিচিতি লাভ করেন। [১১][১৩] ছবিটি স্লিপার হিট হয় এবং এই ছবিতে এক কিশোর ছাত্রের ভূমিকায় অভিনয় করে শাহিদ শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[১৪][১৫]
পরবর্তী দুই বছর শাহিদ খুব কম ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জনে সক্ষম হন। এই দুই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত থ্রিলার চলচ্চিত্র ফিদা (২০০৪) ও ড্রামা চলচ্চিত্র শিখর সহ তার অভিনীত পাঁচটি ছবির সব ক’টিই বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল। এছাড়াও একই বছরে তিনি দিল মাঙ্গে মোর চলচ্চিত্রে নিখিল মাথুর চরিত্রে অভিনয় করেন। [১৬]
২০০৬ সালে তার অভিনীত তিনটি ছবি মুক্তি পায়। এগুলির মধ্যে করীনা কপূর ৩৬ চায়না টাউন ও চুপ চুপ কে ছবি দু’টিতে এবং অমৃতা রাও বিবাহ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। শেষোক্ত ছবিটি ছিল সুরজ বরজাত্য পরিচালিত একটি বাণিজ্য-সফল পারিবারিক ড্রামা চলচ্চিত্র।[১৭][১৮] পরের বছর তিনি পুনরায় করিনা কপূরের বিপরীতে অভিনয় করেন রোম্যান্টিক কমেডি জব উই মেট ছবিতে। এই ছবিতে অভিনয় করে শাহিদ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।[১৫]
২০০৮ সালে শাহিদ অভিনীত একটি মাত্র ছবিই মুক্তিলাভ করে। এটি ছিল রোম্যান্টিক কমেডি কিসমত কানেকশন। এই ছবিতে তিনি অভিনয় করেন বিদ্যা বালানের বিপরীতে।[১৯]
২০০৯ সালে বিশাল ভরদ্বাজের কেপার থ্রিলার কমিনে ছবি দুই যমজ ভাইয়ের দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেন। তার অভিনীত এই দু’টি চরিত্রের একজন লিস্প ও অপরজন তোতলামির সমস্যায় জর্জরিত ছিল। ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসা অর্জন করেছিল।[২০][২১]
কমিনে ছবিটির সাফল্যের পর শাহিদ পরপর এমন কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, যেগুলি বক্স-অফিসে বিশেষ সফল হয়নি। এগুলির মধ্যে রয়েছে ড্রামা চলচ্চিত্র মৌসম (২০১১) ও রোম্যান্স চলচ্চিত্র তেরি মেরি কহানী (২০১২)।[২২][২৩]
২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যাকশন-ড্রামা চলচ্চিত্র আর... রাজকুমার ছিল চার বছরের মধ্যে তার প্রথম বাণিজ্য-সফল ছবি। এছাড়াও একই বছরে ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। [২৪]
এরপর তিনি ২০১৪ সালে পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের হায়দার ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করেন। এই ছবিটি নির্মিত হয়েছিল উইলিয়াম শেকসপিয়রের ট্র্যাজেডি হ্যামলেট নাটকের ছায়া অবলম্বনে। এই ছবিটিতে অভিনয় করে শাহিদ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয় করেন।[২৪][২৫][২৬]
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি শাহিদ আটটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন এবং ২০১৫ সালে ঝলক দিখলা জা রিলোডেড ড্যান্স রিয়েলিটি শোয়ের প্রতিভা বিচারকের ভূমিকাও পালন করেন।
২০১৬ সালে শাহিদ উড়তা পাঞ্জাব ছবিতে এক মাদকাসক্ত রকস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটি ছিল ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের প্রেক্ষাপটে নির্মিত মাদক অপব্যবহার-সংক্রান্ত একটি ছবি। এই ছবিতে অভিনয় করে শাহিদ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার জয় করেন।[২৭][২৮]
শাহিদের সর্বাধিক লাভজনক ছবিটি মুক্তিলাভ করেছিল ২০১৮ সালে। এই ছবিটি ছিল সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত পিরিয়ড ড্রামা পদ্মাবত। ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সর্বোচ্চ লাভজনক এই ছবিটিতে শাহিদ রাজপুত রাজা রাওয়াল রতন সিংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও ২০১৮ সালে বাত্তি গুল মিটার চালু চলচ্চিত্রে তিনি সুশীল কুমার এর ভুমিকায় অভিনয় করেন। [২৯][৩০]
২০১৯ সালে কবির সিং চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রে তিনি কবির এর ভুমিকাতে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন যুবক রাগি এর ভুমিকা করেন। এই চলচ্চিত্র টি ২০১৯ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের মধ্যে প্রথম হয়।
ইতিমধ্যে শাহিদ তার পরবর্তী ছবি গৌতম তিন্নৌরির পরিচালনায় 'জার্সি'র শ্যুটিং শেষ করে ফেলেছেন এবং 'দ্য ফ্যামিলি ম্যান' ওয়েব সিরিজ খ্যাত রাজ নিদিমোরু এবং কৃষ্ণা ডিকে এর সাথে তাঁদের পরবর্তী ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং শুরু করতে চলেছেন।
এরপর শাহিদের হাতে রয়েছে সুজয় ঘোষ এর সাথে একটি ছবি যার নাম এখনও ঠিক হয়নি। তারপর তিনি হাত দেবেন রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহেরার ছবি 'কর্ণ' তে।
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)