শাহী জিরা | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | Apiales |
পরিবার: | Apiaceae |
গণ: | Elwendia (বসিয়েঁ) পিমেনভ ও ক্লিউয়কভ |
প্রজাতি: | E. persica |
দ্বিপদী নাম | |
Elwendia persica (বসিয়েঁ) পিমেনভ ও ক্লিউয়কভ | |
প্রতিশব্দ | |
|
শাহী জিরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Elwendia persica; এলোয়েন্ডিয়া পার্সিকা), শাহি জিরা, শাহ জিরা বা শা জিরা হলো অ্যাপিয়াসি গোত্রের একটি উদ্ভিদ প্রজাতি।[১][২] এটি জিরার (কিউমিনাম সাইমিনাম) সাথে সম্পৃক্ত এবং কখনো কখনো একে “কালো জিরা”, “ব্ল্যাক কিউমিন”, “ব্ল্যাকসিড”, “কালো কারোয়া” ইত্যাদি নামেও অভিহিত করা হয়। শাহী জিরার ব্যবহারে খাদ্যে কিছুটা মেটো ও ধোঁয়াটে গন্ধ আসে। নাম ও শাহী জিরার গঠনগত কারণে কখনো কখনো কালো জিরার (নিজেলা স্যাটিভা) সাথে শাহী জিরার বিভ্রান্তি তৈরি হয়, যদিও এরা ভিন্ন ভিন্ন গোত্রের প্রজাতি।[৩][৩]
শুকনো শাহী জিরার ফল উত্তর ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান ও ইরানের রন্ধনপ্রণালীতে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই অঞ্চলের বাইরে মসলা হিসেবে শাহী জিরা অনেকটা অপ্রচলিত।
বাংলা ভাষায় এই মসলাকে “শাহী জিরা” বা “শা জিরা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়া অন্যান্য ভাষায় এর প্রচলিত নামের মধ্যে রয়েছে: হিন্দিতে “কালা জিরা” (काला ज़ीरा) বা “শাহি জিরা” (शाहि ज़ीरा), উর্দুতে “সিয়াহ জিরাহ” (سیاہ زیرہ), “কালা জিরা” (کالا زیرہ) বা “জিরাহ কুহি” (زيره كوهی; বুনো বা পার্বত্য জিরা), ফার্সি ভাষায় “জিরেহ কুহি” (زيره كوهی; বুনো জিরা), তাজিক ভাষায় “সিয়োহ দোনা” (сиёх дона; কালো বীজ) এবং মালয়ালম ভাষায় “শাহজীরকম” (സഹജീരകം)।
শাহী জিরা নামটি ফারসি “সিয়াহি” (শাব্দিক অর্থ কালো) শব্দের অপভ্রংশ হতে পারে। হিন্দুস্তানি ভাষায়ও “সিয়াহি” শব্দের অর্থ “কৃষ্ণ কালো”। তবে, বাংলা ভাষায় “কালো জিরা” বলতে নিজেলা স্যাটিভা (Nigella sativa) নামক অপর একটি উদ্ভিদের বীজকে নির্দেশ করে। এই বীজও বাঙালি রন্ধনপ্রণালীতে বহুল ব্যবহৃত হয়।
শাহী জিরার উদ্ভিদে ছোট ছোট বীজযুক্ত ফল উৎপন্ন হয় এবং উদ্ভিদ শুকিয়ে যাওয়ার পর এর বীজ সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি গাছ থেকে ৫ থেকে ৮ গ্রামের বেশি শাহী জিরা সংগ্রহ করা যায় না। ফলে এই মসলার দামও অনেক বেশি (১৯৮৭ সালের হিসাবে প্রতি ১০ গ্রামে ২ মার্কিন ডলার)।
ভারতীয় রন্ধনশৈলীতে খাবার পরিবেশনের সময় শাহী জিরা ব্যবহার করা হয়। গোটা অবস্থায় শাহী জিরা ব্যবহার করা হয়; গুঁড়া করা হলে এর ফ্ল্যাভার বা গন্ধ নষ্ট হয়ে যায়।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |