শাহ আবদুল হান্নান | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২ জুন ২০২১ | (বয়স ৮২)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
যুগ | ২১শ শতাব্দী |
অঞ্চল | দক্ষিণ এশিয়া |
প্রধান আগ্রহ | ইসলামী অর্থনীতি, ইসলামী সংস্কৃতি, ইসলামী ব্যাংকিং |
ওয়েবসাইট | shahfoundationbd |
শাহ আব্দুল হান্নান (১৯৩৯ – ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ইসলামী দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, লেখক, অর্থনীতিবিদ ও সমাজ সেবক। তিনি বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ ও ব্যাংকিং বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকিং ধারার পথিকৃৎ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের প্রথম সারির ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এর চেয়ারম্যানও ছিলেন। এর বাইরে তিনি দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানসহ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়[১] ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য ছিলেন।[২][৩][৪][৫][৬]
শাহ আব্দুল হান্নান ১৯৩৯ সালের ১লা জানুয়ারি কটিয়াদী থানা কিশোরগঞ্জ জেলা বৃহত্তর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে অর্থনীতি স্নাতক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।[৭]
হান্নান তার কর্মজীবন শিক্ষকতার পেশা দিয়ে শুরু করেন। তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৬৩ সালে তিনি পাকিস্তান ফিন্যান্স সার্ভিসে যোগ দেন। এবং ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সরকারের সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।[৮] এর মাঝে তিনি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, যেখানে তিনি ভ্যাট চালুর অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন।[৯] ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর মহাপরিচালক, সমাজ কল্যাণ ও সর্বশেষ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগের সচিব।
শাহ আব্দুল হান্নান ইসলামী অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশ কিছু বই লিখেছেনঃ
তার দুই সন্তান সামিনা আক্তার ও সৈয়দ মোস্তফা ফয়সাল।
রাজধানীর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২রা জুন ২০২১ রোজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[১১] বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ৮ই মে থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসময় তার একাধিক হার্ট অ্যাটাক হয়। একই সাথে মস্তিস্কে প্রদাহজনিত কারণে তিনি তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন।[১২] জোহরের নামাজের পর ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদ মাঠে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাযা বিকেল সাড়ে তিনটায় সিপাহীবাগে তার বাড়ির সামনে অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জানাজাটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়। তিন দফা জানাজার পরে তাকে রাজধানীর শাহজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।[১৩]