আমানত খান | |
---|---|
অন্য নাম | আমানত শাহ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১১৮৭ হিজরির জিলকদের শেষ তারিখ, ১৮০৯ সাল |
সমাধিস্থল | কুদ্দুস সিররাহুল আজিজ দরবার শরিফ |
ধর্ম | ইসলাম |
সন্তান | ১ |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
অন্য নাম | আমানত শাহ |
মুসলিম নেতা | |
ভিত্তিক | লালদিঘি, চট্টগ্রাম |
কাজের মেয়াদ | প্রাথমিক ১১তম শতাব্দী |
উত্তরসূরী | আনোয়ার খান |
এর শিষ্য | আব্দুর রহীম রেজভী |
শিষ্য |
শাহ আমানত উল্লাহ খান (বাংলা: শাহ আমানত উল্লাহ খান, ফার্সি: شاه أمانت الله خان), চট্টগ্রামের একজন বিখ্যাত দরবেশ ছিলেন। সামগ্রিক ভাবে ধারণা করা হয়, তার আবির্ভাব ১৮শ শতাব্দির শেষ দিকে। জনশ্রুতি মতে তিনি বিহার শরীফ থেকে চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামে তিনি একটি কুটিরে বাস করতেন এবং চট্টগ্রাম জজ কোর্টের পাখা টানার চাকুরি করতেন।[১]
আমানত শাহ ইরাকি আরব বংশোদ্ভূত একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষরা বাগদাদ থেকে বিহারে চলে আসেন এবং তারাও আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধর।[২] তার পিতার নাম নিয়ামত। পরে আমানত বাংলায় চলে আসেন।[৩][৪] মুর্শিদাবাদ বা ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে আমানত শাহ আবদুর রহিম রিজভী[৫] নামে একজন কাশ্মীরি পণ্ডিতের শিষ্য হয়েছিলেন এবং বায়'আত গ্রহণ করেছিলেন।[৬] শাহ আবদুর রহিম ছিলেন আহমদ সিরহিন্দির পুত্র খাজা মাসুমের নাতি।[৭] আমানত দিল্লি, লখনউ ও কাশ্মীরের মতো জায়গায় ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য উপমহাদেশ জুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন।[৮]
একদিন আবদুর রহিম আমানতকে চট্টগ্রামে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। থাকার জন্য আমানত চট্টগ্রামের একটি বনাঞ্চলে একটি ছোট কটেজ তৈরি করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিচারক আদালতে পাখাওয়ালা হিসাবে চাকরি পেতে সক্ষম হন এবং খুব বেশি মনোযোগ আকর্ষণ না করে একটি সাধারণ জীবনধারা পছন্দ করেন। তিনি ইয়াসিন খানের কদম মোবারক মসজিদে নামাজে অংশ নিতেন। দরবারে কর্মজীবন থেকেই তাকে খান সাহেব বা মিয়া সাহেব ডাকা হতো।[৩] তবে, লোকেরা তার আসল পরিচয় উপলব্ধি করার পর আমানত তার জনজীবনকে ধর্মীয় প্রচারের জন্য উৎসর্গ করতে শুরু করেন।[৯] তার প্রথম শিষ্য ছিলেন আজিমপুরের দায়রা শরীফের শাহ সুফি মুহাম্মদ দায়েম যিনি পরে আজিমাবাদ ও ফুলওয়ারী শরীফ চলে যান।[১০]
মামলা মোকাদ্দমা জেতার উদ্দেশ্যে লোকজন তার মাজার জেয়ারত করে থাকে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কর্ণফুলী নদীতে নির্মিত শাহ আমানত সেতু এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হল তার নামেই নামকরণ করা হয়।
চট্টগ্রাম শহরের লালদীঘির পূর্ব দিকে তার সমাধিসৌধ অবস্থিত।