শীলা | |
---|---|
জন্ম | শীলা ২৪ মার্চ ১৯৪৫ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | শীলা দেবী |
পেশা | অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, চিত্রশিল্পী, টিভি উপস্থাপক |
কর্মজীবন | ১৯৬২-১৯৮২ ২০০৩-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জাভিয়ার (বিচ্ছেদ) রবিচন্দ্রন (বিচ্ছেদ) |
সন্তান | জর্জ বিষ্ণু |
পিতা-মাতা | কণিমঙ্গলম অ্যান্টনি গ্রেসি |
শীলা (জন্ম ২৪ মার্চ ১৯৪৫) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি মূলত মালয়ালম চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। প্রেম নাজিরের সাথে যুগলবন্দী হয়ে তারা প্রধান অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে ১৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, যা গিনেজ বিশ্ব রেকর্ড বইতে স্থান করে নেয়।[১][২] ২০০৫ সালে তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্র অকাল-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ মালয়ালম অভিনেত্রী বিভাগে একটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ ও ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন। তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা অভিনেত্রী, তার সময়ে তিনি তার পুরুষ সহশিল্পীর থেকে অধিক পারিশ্রমিক পেতেন।
শীলা ১৯৪৫ সালের ২৪শে মার্চ কোচিন রাজ্যের কণিমঙ্গলমে (বর্তমান কেরল, ভারত) এক সিরীয় খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কণিমঙ্গলম অ্যান্টনি একজন রেলওয়ে কর্মকর্তা এবং মাতা গ্রেসি। তার শৈশব কাটে উটিতে।[৩] তার পিতার রেলওয়ের চাকরির সুবাদে তাদের বিভিন্ন স্থানে থাকতে হয়েছে, ফলে তিনি ত্রিশূর, উটি, তিরুচিরাপল্লী, সালেম, ইডাপল্লী, ও কোয়ম্বাতুরের সেন্ট ফ্রান্সিস অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষালাভ করেন। অবশেষে তারা চেন্নাইয়ে স্থায়ী হন।[৪]
শীলা মাত্র ১৩ বছর বয়সে মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন। তাকে মঞ্চের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন তামিল অভিনেতা এস. এস. রাজেন্দ্রন। এম. জি. রামাচন্দ্রন তাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন এবং ১৯৬২ সালে তামিল চলচ্চিত্র পাসম দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। রামাচন্দ্রন তার নামের শেষে "দেবী" শব্দ যোগ করে তাকে "শীলা দেবী" হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর তিনি এই নাম নিয়ে একাধিক তামিল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তী কালে তিনি তার মূল নামে ফিরে যান। ১৯৬২ সালে তিনি ভাগ্যজাতকম চলচ্চিত্র দিয়ে মালয়ালম চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।
১৯৬৯ সালে তিনি কলিচেলাম্মা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ওরু পেনিন্টে কাদা, সরস্যায়া ও উমাচু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তার দ্বিতীয় কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৬ সালে অনুভবম চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পরের বছর লক্ষ্মী চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ মালয়ালম অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরে যান এবং তামিলনাড়ুর ওটিতে বসবাস শুরু করেন।[৫]
২০০০ সালে তাকে ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দক্ষিণ প্রদান করা হয়। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি ২০০৩ সালে সত্যন অন্তিক্কাডের মনসিনাক্কারে চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন। একই বছর তিনি তামিল ভাষার চন্দ্রমুখী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্র অকাল-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন[৬] এবং দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।