শুকরুল্লাহ মুবারকপুরী | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৮৯৫ বা ১৮৯৬ মহল্লা পুরা রানী, মুবারকপুর, আজমগড়, উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২৩ মার্চ ১৯৪২ | (বয়স ৪৬–৪৭)
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | যুক্তিবিদ্যা, দর্শন |
উল্লেখযোগ্য কাজ | মাদ্রাসা ইয়াহিয়াউল উলুম |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
মুসলিম নেতা | |
যাদের প্রভাবিত করেন |
শুকরুল্লাহ মুবারকপুরী (১৮৯৫,১৮৯৬ - ২৩ মার্চ ১৯৪২) একজন ভারতীয় সুন্নি ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা এবং রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। [১][২]
শুকরুল্লাহ মুবারকপুরী ১৮৯৫ বা ১৮৯৬ সালে মুবারকপোরের পুরা রানীতে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা মূলত কোপাগঞ্জের অধিবাসি ছিলেন কিন্তু মুবারকপুরে থাকতেন । [১]
মাওলানা মুবারকপুরী জামিয়া আরবিয়া ইয়াহিয়াউল উলূম, মুবারকপুরে মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদ মারুফীর কাছ থেকে প্রাথমিক আরবী বই পড়ে এবং সীতাপুরের লাহারপুরের একটি মাদ্রাসায় যুক্তিবিদ্যার পড়াশোনা করেন। তিনি মজিদ আলী জৌনপুরীর নিকট যুক্তিবিদ্যা পড়েন। তারপরে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি, শব্বির আহমদ উসমানী, আসগর হুসাইন দেওবন্দি এবং হাফিজ মুহাম্মদ আহমদ নিকট অধ্যয়ন করেন এবং ১৩৩৬ হিজরিতে স্নাতক হন [১][২][৩]
হাকিম এলাহী বখশ ১৯১৮ (১৩৩৬ হিঃ) মুবারকপুরে মাদরাসা ইয়াহিয়াউল উলুমের চ্যান্সেলর (অধ্যক্ষ) হিসাবে শুকরুল্লাহ মুবারকপুরীকে নিযুক্ত করেছিলেন। [১] শুকরুল্লাহ মুবারকপুরী খেলাফত আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সত্যগ্রহ কর্মকাণ্ডের জন্য ১৯২৩ সালে ছয় মাস জেলও হয়েছিলেন। তিনি মুবারকপুরে জামে মসজিদ নির্মাণে তত্ত্বাবধান করেছিলেন। এর ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল ১৯৪০ সালের ১লা জুন। তিনি ১৩৫৭ হিজরীতে সমাপ্ত ঈদগাহ নির্মাণ তদারকিও করেন। তিনি বেশিরভাগ যুক্তিবিদ্যা বিষয়ক বই পড়াতেন। তিনি শিয়া এবং বেরেলভিদের সাথে বিতর্কের জন্য পরিচিত ছিলেন। [৪] তিনিও মুফতি ছিলেন। তিনি প্রচুর ফতওয়া প্রদান করেছিলেন [২]
তার ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত:[১][২][৫]
তিনি ২৩ শে মার্চ ১৯৪২ (৫ রবিউল আউয়াল ১৩৬১ হিজরী ) দুহানামাজ (সকালের একটি ঐচ্ছিক নামাজ, উর্দুতে চাশত নামেও পরিচিত) এর সময় তার মৃত্যু হয়।[১][২]