শৈলবালা দাস | |
---|---|
রাজ্যসভা সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৩ এপ্রিল ১৯৫২ – ২ এপ্রিল ১৯৫৪ | |
নির্বাচনী এলাকা | ওডিশা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | শৈলবালা হাজরা ২৫ মার্চ ১৮৭৫[১] চক্রবেড়িয়া রোড, ভবানীপুর, কলকাতা |
মৃত্যু | ২৯ এপ্রিল ১৯৬৮ | (বয়স ৯৩)
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | বেথুন স্কুল,মারিয়া গ্রে প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়[২] |
জীবিকা | শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ |
শৈলবালা দাস (১৮৭৫-১৯৬৮) হলেন একজন শিক্ষাবিদ,সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন ওডিশার প্রথম নারী, যিনি উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিলাত গমন করেছিলেন।[৩]
শৈলবালা দাস ছিলেন অম্বিকাচরণ হাজরা ও প্রসন্নময়ীর বড় সন্তান। তার জন্ম হয়েছিল ওডিশার প্রথম স্নাতক ও উকিল মধুসূদন দাসের বাড়িতে।[৪] অল্পবয়সে শৈলবালার মায়ের মৃত্যু ঘটলে মধুসূদন তাকে দত্তক নেন।[৫]
১৯০৩ সালে শৈলবালা উৎকল যুবক সংঘ ও উৎকল যুবতী সংঘ গঠন করেন। তিনি ওডিশার প্রথম মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন। এছাড়াও, তিনি হিন্দু বিধবাদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন যাতে তারা স্বনির্ভর হতে পারে। তিনি ১৯৪১ সালে ওডিশা নারী সেবা সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কটকে জাতীয় মহিলা কাউন্সিলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হবার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন। তিনি পাটনার প্রিজন সেলের প্রথম নারী পরিদর্শক, পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম নারী সদস্য, ভারতের প্রথম মহিলা অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৬]
শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বিহার ও ওডিশার শেষ লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাকে কাইসার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক প্রদান করতে চেয়েছিলেন কিন্তু, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।[৭] ১৯৫৯ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদান করে ভারত সরকার।[৮]
কটকের শৈলবালা মহিলা কলেজ তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে।[৯]
his adopted daughter Sailabala Das