শোভা সেন | |
---|---|
জন্ম | শোভা সেনগুপ্ত ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ |
মৃত্যু | ১৩ আগস্ট ২০১৭ | (বয়স ৯৩)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | দেবপ্রসাদ সেন (বি.১৯৪২-১৯৬০) উৎপল দত্ত (বি.১৯৬১-১৯৯৩) |
সন্তান | উদয়ন সেন (পুত্র) বিষ্ণুপ্রিয়া দত্ত (কন্যা) |
শোভা সেন (১৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ – ১৩ আগস্ট ২০১৭) একজন বাঙালি মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। কলকাতার গণনাট্য আন্দোলনের নেত্রী থেকে ছয় দশকে এক কিংবদন্তি অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন। তিনি প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা উৎপল দত্তের স্ত্রী।[১][২]
শোভা সেনের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরের এক ডাক্তার পরিবারে। পিতা ডা.নৃপেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত।[৩] কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর বামমনস্ক দেবপ্রসাদ সেনকে বিবাহ করেন এবং তার সূত্রেই তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘে যোগ দেন।[৪]
১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে বিজন ভট্টাচার্যের নবান্ন নাটকে প্রধান নারীচরিত্র দিয়েই তার অভিনয় জীবনের শুরু। এরপর ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে যোগ দেন লিটল থিয়েটার গ্রুপে (পরবর্তীতে পিপলস থিয়েটার গ্রুপে)। তার উল্লেখযোগ্য অভিনয় ছিল 'টিনের তলোয়ার', 'তিতুমীর', 'ব্যারিকেড'-এর মতো নাটকে। উৎপল দত্ত,শম্ভু মিত্র, বিজন ভট্টাচার্য প্রমুখ নাট্যব্যক্তিত্বের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। কিন্তু অভিনয়কে কেন্দ্র করে তার বৈবাহিক জীবনে অশান্তির সূচনা হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে বিচ্ছেদও ঘটে।[৪] ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে তার বিবাহ হয় উৎপল দত্তের সঙ্গে। মঞ্চে অভিনয় ছাড়াও তিনি একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রথম ছোটপর্দায় কাজ করেন ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে প্রফুল্ল চক্রবর্তীর 'ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ' ছবিতে। নিমাই ঘোষের ছিন্নমূল (১৯৫০),ঋত্বিক ঘটকের নাগরিক (১৯৭৭) বেদেনী, উৎপল দত্তের ঝড়, মৃণাল সেনের এক অধুরি কহানী, একদিন প্রতিদিন ছবিতে অভিনয় করেছেন।
নাটকে ও ছবিতে সফল অভিনয়ের পাশাপাশি বামপন্থায় বিশ্বাসী শোভা সেন রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে হিন্দি ছবি বাবলা-য় অভিনয়ের জন্য দেশের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন।[৪] ২০১০ খ্রিস্টাব্দে শোভা সেন মাদার টেরিজা আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।[২][৫]