শ্রীরাম কৃষ্ণন | |
---|---|
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত সিনিয়র হোয়াইট হাউস নীতি উপদেষ্টা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় জানুয়ারি ২০,২০২৫ | |
রাষ্ট্রপতি | ডোনাল্ড ট্রাম্প |
পূর্বসূরী | অবস্থান প্রতিষ্ঠিত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জানুয়ারী ১৯৮৪[১] চেন্নাই, তামিলনাড়ু, ভারত |
দাম্পত্য সঙ্গী | আরতি রামমূর্তি (বি. ২০১০) |
শিক্ষা | এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয় (বি.টেক) |
পেশা | |
যে জন্য পরিচিত | দ্য আরতি এবং শ্রীরাম শো -এর সহ-হোস্ট অ্যান্ড্রেসেন হোরোভিটজের সাধারণ অংশীদার |
শ্রীরাম কৃষ্ণন (জন্ম ১৯৮৪) একজন ভারতীয়-মার্কিন ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, পডকাস্টার, প্রোডাক্ট ম্যানেজার এবং লেখক। তিনি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান আন্দ্রেসেন হোরোউইটজ-এর একজন জেনারেল পার্টনার ছিলেন।[২][৩] ২২ ডিসেম্বর ২০২৪-এ, মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, শ্রীরম কৃষ্ণন তার প্রশাসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সিনিয়র হোয়াইট হাউস নীতিগত উপদেষ্টা হবেন।[৪]
শ্রীরম কৃষ্ণন একজন অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ এবং নেতৃস্থানীয় পণ্যের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। তিনি মাইক্রোসফট, টুইটার, ইয়াহু!, ফেসবুক এবং স্ন্যাপের প্রোডাক্ট টিমগুলোতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার খ্যাতির পাশাপাশি, তিনি এবং তার স্ত্রী আরতি রামামূর্তি ২০২১ সালে পডকাস্ট উপস্থাপক হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।[৫] তাদের "টেক পাওয়ার কাপল" হিসেবে ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রকল্পে উপস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ডবলুএমই।[৬]
২০২২ সালে, তিনি ঘোষণা করেন যে ইলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের পর কোম্পানির পুনর্গঠন প্রকল্পে তিনি মাস্কের সঙ্গে কাজ করছেন।[৭]
২০২৪ সালে, ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায় যে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শ্রীরম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি প্রস্তাবিত ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি-এর জন্য ইলন মাস্ক মনোনীত হওয়ার পর বরিস জনসনের সঙ্গে মাস্কের পুনঃপরিচয় করিয়েছেন।[৮]
শ্রীরাম কৃষ্ণন ভারতের চেন্নাই-এ[৯] একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১০] তার জীবন ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে পরিবর্তিত হয় যখন তিনি তার পিতাকে একটি কম্পিউটার কেনার জন্য রাজি করাতে সক্ষম হন। যদিও তখন তার ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ছিল না, তবুও তিনি প্রতিদিন রাতে কোডিং বই কিনে কোডিংয়ের মৌলিক ধারণাগুলি অনুশীলন করতেন। এর ফলে তিনি তথ্য প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।[১১]
তিনি এসারএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ইনফরমেশন টেকনোলজি-তে ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি (বি.টেক) ডিগ্রি অর্জন করেন।[১২]