সফদরজং | |
---|---|
আশেপাশের অঞ্চল | |
ভারতের দিল্লিতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: ফাংশন "কোড" নেই। ২৮°৩৩′৫৩″ উত্তর ৭৭°১১′৪২″ পূর্ব / ২৮.৫৬৪৭° উত্তর ৭৭.১৯৪৯° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | দিল্লি |
জেলা | দক্ষিণ দিল্লি |
মেট্রো | নতুন দিল্লি |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারি | হিন্দি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ১১০০২৯ [১] |
পরিকল্পনা সংস্থা | দক্ষিণ দিল্লি পৌরসভা |
সফদরজং দক্ষিণ দিল্লির এই অঞ্চলটি মূলত দুটি এলাকা নিয়ে গঠিত, যথা সফদরজং এনক্লেভ এবং সফদরজং উন্নয়ন অঞ্চল (এসডিএ)।[২][৩] দিল্লির সফদরজংয়ে সমাধির দক্ষিণে অবস্থিত বেশ কয়েকটি জেলা (কলোনি) রয়েছে। সফদরজং ছিলেন আওধের দ্বিতীয় নবাব, এবং আঠারো শতকে মুহম্মদ শাহের অধীনে দিল্লির মুঘল রাজকীয় দরবারের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসক।
১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে হুমায়ূনপুর গ্রামের জমি জমি অধিগ্রহণ করার পরে দিল্লি ইজারা ও ফিনান্স, পরে ডিএলএফ লিমিটেড, দ্বারা সফদরজং এনক্লেভ তৈরি করা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহ্রুর অধীনে। এটি রিং রোডের ঠিক দক্ষিণে এবং হৌজ খাস হরিণ পার্কের উত্তরে অবস্থিত। হৌজ খাস গ্রামের দক্ষিণে সফদরজং উন্নয়ন অঞ্চল (এসডিএ), ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণের দিকে প্রসারণ হিসাবে নির্মিত। উভয় উপনিবেশ মূলত আবাসিক, এবং সমৃদ্ধ উচ্চবিত্তের বসতি অঞ্চল। সফদরজং এনক্লেভের বিভিন্ন ব্লকগুলি হল এ -১,২ এবং বি-১,২,৩,৪,৫, ৬, এবং ৭। পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে, সফদরজং এনক্লেভটি শুরু হয়েছে এইমস দৈহিক অসুস্থতা কেন্দ্রের (ট্রমা সেন্টার) ঠিক পরে এবং ভিতরের রিং রোডে ভিকাজি কামা প্লেসের আগে শেষ হয়। উত্তর থেকে দক্ষিণে, এটি ভিকাজি কামা প্লেস থেকে শুরু হয়ে ডিএলটিএ স্টেডিয়াম এবং জেলা পার্ক পর্যন্ত গেছে। এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলির মধ্যে আছে কৃষ্ণনগর, অর্জুননগর এবং হুমায়ূনপুর।
কমল প্রেক্ষাগৃহের কাছে এ -১ ব্লক মার্কেটের ঠিক সামনের দিকে সফদরজং ক্লাবটি অবস্থিত। সফদরজং এনক্লেভে থাকার জন্য বেশ ভালমানের হোটেল রয়েছে, যেমন হোটেল মিন্ট সফদরজং, হোটেল আফ্রিকা অ্যাভিনিউ, পার্ক, বলজিৎ লজ, শ্রেয়নস ইন, জেআরডি লাক্সারি বুটিক হোটেল ইত্যাদি। সফদরজং এনক্লেভে মারুতি, মাহিন্দ্রা, হুন্ডাই, ফোর্ড ইত্যাদি বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারীদের শোরুম রয়েছে। এখানে সেন্ট্রাল মার্কেট এ -২ ব্লকের রেড চিলি, এ -১ ব্লক মার্কেটের রাজিন্দর দা ধাবা, বি-৭ মার্কেটের ক্যাফে কফি ডের মতো খাবারের স্থানগুলি আছে। হরিণ উদ্যান এবং জেলা উদ্যান এখানকার আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এয়ার মার্শাল এম.এস.বাওয়া, এই অঞ্চলে পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। ভারত বিভাজনের পরে নির্মিত দিল্লির প্রথম উপনিবেশগুলির মধ্যে সফদরজং এনক্লেভ ছিল একটি, যেখানে এখনকার পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের জমি অনুদান করা হয়নি।
সফদরজংয়ের সমাধিসৌধ এবং সফদরজং এনক্লেভের মধ্যের বিমানক্ষেত্রটি, যেটি পূর্ববর্তী দিল্লির মূল বিমানবন্দর, সেটি এখন সফদরজং বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত এবং দিল্লি ফ্লাইং ক্লাব এখানে অবস্থিত। দিল্লির মূল বিমানবন্দর, পালাম ও ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে না এসে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের জন্য অনেকগুলি সরকারী বিমান এখান থেকে ছেড়ে যায় এবং পৌঁছায়।