সমবায় হল একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যেটি একদল সদস্য তাদের সম্মিলিত কল্যাণের জন্য পরিচালনা করেন।[১] আন্তর্জাতিক সমবায় মৈত্রী (International Co-operative Alliance) তাদের সমবায় পরিচিতি নির্দেশিকাতে সমবায়ের সংজ্ঞা দিয়েছে এই ভাবে যে, সমবায় হল সমমনা মানুষের স্বেচ্ছাসেবামূলক একটি স্বশাসিত সংগঠন যা নিজেদের অর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে এবং এ লক্ষ্যে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ব্যবসা পরিচালনা করে। [২] একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান এমনও হতে পারে যেখানে ব্যবসাটি এর সুবিধাভোগী সকলে সমভাবে নিয়ন্ত্রণ করে অথবা তারাই এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। সমবায় ভিত্তিক ব্যবসা নিয়ে শিক্ষার যে ধারায় পড়ানো হয় তা 'সমবায় অর্থনীতি' নামে পরিচিত।
সমবায় সমিতির ইতিহাস প্রায় মানবসভ্যতার ইতিহাসের ন্যায় প্রাচীন। বর্তমানের সমবায় সমিতির সাংগঠনিক রূপ প্রতিষ্ঠিত হয় ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের কিছু পূর্বেই। ১৭৬১ সালে সর্বপ্রথম ফেনউইক উইভারস সোসাইটি গঠন করা হয় স্থানীয় তাঁতীদের ঋণসুবিধা, শিক্ষা ও অভিবাসন সুবিধা দেবার জন্য। পরবর্তীতে শুধু ইংল্যান্ডেই এক হাজারের অধিক সমবায় প্রতিষ্ঠান কর্মকাণ্ড শুরু করে।
সমবায় সংগঠনগুলো কার্যকর ভাবে ও দক্ষতার সাথে পরিচালনার লক্ষ্যে আন্তজাতিক সমবায় মৈত্রী (International Co-operative Alliance) কর্তৃক সমবায় পরিচিতি নির্দেশিকাতে ৭টি মূলনীতি ঘোষণা করেছে।[৩][৪]
বাংলাদেশের ২০০১ সালে প্রণীত সমবায় আইন/২০০১ (সংশোধিত/২০০২,সংশোধিত/২০১৩)-এর ১৪ ধারা অনুযায়ী[৬] সমবায় সমিতিগুলোর স্বতন্ত্র আইনগত ভিত্তি রয়েছে এবং এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা (Body Coorporate)। এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩-এর (খ)[৭] অনুচ্ছেদে সমবায়কে মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।[৩]
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)