ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সমীর সুধাকর দিঘে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ভারত | ৮ অক্টোবর ১৯৬৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩৬) | ১৮ মার্চ ২০০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৯ আগস্ট ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২৮) | ১০ জানুয়ারি ২০০০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৫ আগস্ট ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৪৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০ - ২০০১ | মুম্বই (জার্সি নং ৪৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ অক্টোবর ২০২০ |
সমীর সুধাকর দিঘে (মারাঠি: समीर दिघे; জন্ম: ৮ অক্টোবর, ১৯৬৮) বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন সমীর দিঘে।
১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত সমীর দিঘে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
১৯৯০-৯১ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় গুজরাতের বিপক্ষে মুম্বই দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। খেলায় তিনি ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন। ঐ মৌসুম শেষে ৬ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৩.৩৩ গড়ে ৪৪০ রান তুলেন। তন্মধ্যে, একটি অর্ধ-শতরান ও দুইটি শতরানের ইনিংস ছিল। সবমিলিয়ে মুম্বইয়ের পক্ষে ৫৮ খেলায় অংশ নিয়ে ১৭৬ ক্যাচ ও ২৩ স্ট্যাম্পিংসহ ৩,০৫৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[১] এছাড়াও, ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্ট ও তেইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সমীর দিঘে। ১৮ মার্চ, ২০০১ তারিখে চেন্নাইয়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ আগস্ট, ২০০১ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
৩১ বছর বয়সে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। জাতীয় দলে সমীর দিঘে’র অন্তর্ভুক্তি অনেকাংশেই বিতর্কিত ছিল। ক্রিকেট খেলাকে পেশা হিসেবে নেবার স্বপ্ন বাদ দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবার দিনক্ষণ গুণছিলেন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ভারত দল অস্ট্রেলিয়া গমনের অল্প কিছুদিন পরই একদিনের দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সীমিত ওভারের খেলায় অংশ নেন তিনি। আট খেলায় সাত ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলায় তিনি চার ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন।
২০০০-০১ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। এ পর্যায়ে নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়া দলের মুখোমুখি হন। গ্লেন ম্যাকগ্রা ও জেসন গিলেস্পি’র বোলিং আক্রমণ প্রতিহত করে সাহসী চিত্তে অপরাজিত ২২ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী করেন।
চেন্নাইয়ে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের চূড়ান্ত দিনে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তার দল। ভারতীয় দলকে ঐতিহাসিক ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে বিরাট ভূমিকা রাখেন। সৌরভ গাঙ্গুলী পরবর্তীকালে মন্তব্য করেছিলেন যে, সমীর দিঘে দেশের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হতে পারতেন। কিন্তু, উইকেট-রক্ষণে অগণিত ভুলের কারণে তাকে খেসারত গুণতে হয়েছে।[২][৩][৪][৫]
জিম্বাবুয়ে সফরের পূর্বে অনুশীলনী চলাকালীন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হিসেবে মন্তব্য করেন। ২০০১ সালের মাঝামাঝি সময়ে জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট ও একদিনের দলে তাকে খেলার সুযোগ দেন। দর্শনীয় না হলেও উইকেট-রক্ষণ ও ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখেন। হারারের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। তবে মাত্র ৪ রান তুলতে সমর্থ হয়েছিলেন। তবে, জিম্বাবুয়ের কোকা-কোলা কাপের চূড়ান্ত খেলায় নিজেকে মেলে ধরেন। মুম্বাইকর অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন। তাসত্ত্বেও তার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাভূত হয়েছিল। একদিনের ক্রিকেটে ভারতের উইকেট-রক্ষক হিসেবে এটিই সর্বোচ্চ রান ছিল। পরবর্তীতে জুলাই-আগস্ট, ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কা গমনার্থে তাকে দলের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক হিসেবে রাখা হয়েছিল।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন তিনি। ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লিগের তৃতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতা চলাকালে হংকং দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রবিন সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।
২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরা ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে মনোনীত হন। পাশাপাশি ২০০৮ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ পর্যায়ে তিনি জন্টি রোডসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।[৬][৭] এরপর, ২০০৯ সালে মুম্বই ক্রিকেট দলের দল নির্বাচক হন।[৮]