সরোজ পাঠক | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | গুজরাত, ভারত | ১ জুন ১৯২৯
মৃত্যু | ১৬ এপ্রিল ১৯৮৯ বারদোলি | (বয়স ৫৯)
শিক্ষা | এম.এ. |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় |
নিজ শহর | জাখাউ কচ্ছ রাজ্য (এখন কচ্ছ জেলা, গুজরাত) |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | 'প্রেম ঘটা জুক আই' বই এর জন্য তদানীন্তন বোম্বে রাজ্য সরকার থেকে পুরস্কার |
দাম্পত্যসঙ্গী | রমনলাল পাঠক |
সরোজ পাঠক (১ জুন ১৯২৯ – ১৬ এপ্রিল ১৯৮৯) একজন গুজরাতি ঔপন্যাসিক। তিনি এর সঙ্গে ছোট গল্পকার এবং রচনাকার হিসাবেও প্রসিদ্ধ। তিনি ভারতের গুজরাত অঞ্চলের লেখক।
সরোজ পাঠক, ১৯২৯ সালের ১ জুন, ব্রিটিশ ভারতের কচ্ছ রাজ্যের (এখন গুজরাত রাজ্যের কচ্ছ জেলা) জাখাউ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নারানদাস উদ্দেশী। সরোজ বোম্বে (এখন মুম্বাই) থেকে তার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করেন। তিনি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করেন ১৯৪৭ সালে। এর বেশ কিছু বছর পর, ১৯৬০ সালে তিনি গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুজরাতি ভাষায় বি.এ. পাস করেন। তিনি এম.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯৬৪ সালে। এর আগে, তিনি ১৯৫৬-১৯৫৭ সালে আকাশবাণীর সাথে যুক্ত ছিলেন। এর পর, তিনি, ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে সোভিয়েত তথ্য পরিষেবার সঙ্গেও যুক্ত হন। তিনি ১৯৬৪ সাল থেকে বারদোলি কলেজে অধ্যাপক হিসাবে কাজ করে গেছেন। ১৯৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল তিনি বারদোলিতে মারা যান।[১][২][৩][৪][৫]
তার স্বামী একজন কৌতুকপূর্ণ মানুষ ছিলেন এবং কৌতুক গল্প লিখতেন। তার স্বামীর লেখা গল্পই তাকে লিখতে অনুপ্রাণিত করে। তার প্রথম গল্প, নহি অন্ধারু, নহি অজ্বালু প্রকাশিত হয় জীবনমাধুরী পত্রিকায়। তার সারিকা পিঞ্জরস্থ গল্পটি সমালোচকদের খুব প্রশংসা পায়। তার প্রথম ছোট গল্প সংগ্রহ প্রেম ঘটা জুক আই প্রকাশ পায় ১৯৫৯ সালে। এটি প্রকাশিত হয় চেতন প্রকাশনালয় থেকে। এই বইয়ের জন্য তিনি বোম্বে রাজ্য সরকার থেকে পুরস্কার পান। তার প্রীত বন্ধানি (১৯৬১) প্রকাশ করতে তার স্বামী সাহায্য করেন। তার মারো আসবাব, মারো রাগ (১৯৬৬) বইটিতে সামাজিক গল্প রয়েছে। বিরাট টাপাকু (১৯৬৬) আধুনিক লেখক হিসাবে তাকে স্বীকৃতি দেয়। তার অন্যান্য গল্প সংগ্রহের মধ্যে আছে হুকামনো এক্কো, তথাস্তু (১৯৭২) ইত্যাদি।[১][২][৩][৪][৬][৭]
নাইটমেয়ার (১৯৬৯) ছিল তার প্রথম উপন্যাস। তার অন্যান্য উপন্যাসগুলির মধ্যে আছে নিঃশেষ (১৯৭৯), প্রিয় পুনম (১৯৮০), টাইম বম্ব (১৯৮৭), লিখিতাঙ্গ (১৯৮৮) ইত্যাদি।[১][২][৩][৪][৬][৭]
তিনি গুজরাত মিত্র পত্রিকায় নারীর সংসার কলামে প্রবন্ধ লিখেছেন। তার রচনাগুলি সাংসারিক (১৯৬৭) এবং অর্বাচীন (১৯৭৬) এ সংগৃহীত হয়েছে। অনুবাদক হিসাবেও তিনি কাজ করেছেন, তার একটি অনুবাদ প্রতিপদ, যেটি ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়।[১][২]
তিনি ১৯৫০ সালে রমনলাল পাঠককে বিবাহ করেন। তার স্বামী গুজরাতি ভাষার একজন কৌতুক রচনাকার ছিলেন।[১][৩]