সলিমুল্লাহ খান (পণ্ডিত)


মাওলানা সলিমুল্লাহ খান
আচার্য, জামিয়া ফারুকিয়া করাচি
অফিসে
১৯৬৭ – ২০১৭
উত্তরসূরীমুহাম্মদ আদিল খান
সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান
অফিসে
১৯৮৯ – ২০১৭
পূর্বসূরীমুহাম্মদ ইদ্রিস মিরাঠী
উত্তরসূরীআব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দার
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৯২১
মৃত্যু১৫ জানুয়ারি ২০১৭
ধর্মইসলাম
জাতীয়তা ব্রিটিশ ভারত
 পাকিস্তানি
সন্তানমুহাম্মদ আদিল খান
যুগআধুনিক
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহহাদীস, ফিকহ, শিক্ষা, তাসাউফ
উল্লেখযোগ্য কাজ
  • কাশফুল বারী
যেখানের শিক্ষার্থী
ঊর্ধ্বতন পদ

সলিমুল্লাহ খান ( ২৫ ডিসেম্বর ১৯২৬ — ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের প্রাক্তন সভাপতি। [][] তার ছাত্রদের মধ্যে মুহাম্মদ রফী উসমানীমুহাম্মাদ তাকী উসমানী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। [][][] তিনি ১৯৬৭ সালে জামিয়া ফারুকিয়া করাচি প্রতিষ্ঠা করেন। [][][]

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা]

শায়খুল হাদিস সলিমুল্লাহ খান ১৯২৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার প্রসিদ্ধ উপশহর হাসানপুর লৌহরিতে জন্ম গ্রহণ করেন।

শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা]

তিনি হাকিমুল উম্মত হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবি রহমাতুল্লাহি আলিইহি-এর খলিফা হজরত মাওলানা মাসিহুল্লাহ খান রহমাতুল্লাহি আলাইহির মাদরাসা মিফতাহুল উলুম জালালাবাদে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়।বিশ্বখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ ভারতে ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি ইলমে হাদিস, তাফসিরসহ নানা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।[]

কর্ম জীবন

[সম্পাদনা]

অধ্যাপনা

[সম্পাদনা]

শিক্ষা জীবন শেষে মাওলানা সলিমুল্লাহ খান তাঁর ওস্তাদের মাদরাসা মিফতাহুল উলুম টানা আট বছর অধ্যাপনা করেন। বিশ্ববিখ্যাত আলেমে দ্বীন বিচারপতি শায়খুল ইসলাম মুফতি তকি ওসমানি-এর মতো ব্যক্তিরাও তাঁর ছাত্র হিসেবে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করেন।তিনি দারুল উলুম টাণ্ডোলা ইয়ার এবং দারুল উলুম করাচি, করাচির জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ায় হাদিস, ফিকহ, তাফসির, দর্শন, ইতিহাস ও আরবি সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করেন৷

জামিয়া ফারুকিয়া প্রতিষ্ঠা

[সম্পাদনা]

ইলমে হাদিসের খেদমতে পাকিস্তান এসে আর ফিরে যাওয়া হয়নি মাতৃভূমি ভারতে। তিনি ১৯৬৭ সালের ২৩ জানুয়ারি মোতাবেক ১৩৮৭ হিজরির শাওয়াল মাসে পাকিস্তানের করাচিতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জামিয়া ফারুকিয়া` নামে বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের দায়িত্বে

[সম্পাদনা]

শায়খুল হাদিস হজরত মাওলানা সালিমুল্লাহ খান ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান`-এর প্রধান শিক্ষাসচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত হন তিনি৷১৯৮৯ সালে বোর্ডটির সদর হিসেবে তাকে ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বোর্ডটির চেয়ারম্যান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন৷

গ্রন্থ রচনা

[সম্পাদনা]

হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বুখারির ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘কাশফুল বারি`[১০] এবং মিশকাতুল মাসাবিহের ওপর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘নাফহাতুন তানকিহ’ রচনা করেন।[১১]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Maulana Saleemullah passes away"Dawn (newspaper)। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২০ 
  2. Naqeeb A Jan। THE METACOLONIAL STATE: PAKISTAN, THE DEOBAND 'ULAMA AND THE BIOPOLITICS OF ISLAM (PhD thesis) (পিডিএফ)The University of Michigan। পৃষ্ঠা 318। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০ 
  3. "Founder of Jamia Farooqia passes away"। The Nation (newspaper)। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২০ 
  4. Mawlana Nadeem al-Wajidi। "A Great Son of Darul Uloom Deoband"Darul Uloom Deoband। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০ 
  5. Sayyid Hayatullah Aagha; Professor Dr Abdul Ali Achakzai। "Literary works of Maulana Saleemullah Khan"। Rahatul Quloob। ১৬ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০ 
  6. Ali Riaz (২০০৮)। Faithful Education: Madrassahs in South Asia। পৃষ্ঠা 85। আইএসবিএন 9780813543451। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০ 
  7. Mufti Taqi Usmani"The eminent Shaykh Saleemullah Khan"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০ 
  8. Hayatullah; Achakzai, Prof Dr Muhammad Abdul Ali (২০১৯-০৬-৩০)। "شیخ الحدیث مولاناسلیم اللہ خانؒ کی تصنیفی خدمات:"rahatulquloob (ইংরেজি ভাষায়): 15–27। আইএসএসএন 2521-2869ডিওআই:10.51411/rahat.3.1.2019.52 
  9. https://www.jagonews24.com/amp/194218
  10. https://www.rokomari.com/book/172516/kashoful-bari-amma-fi-sohihil-bukhari-1
  11. https://www.jagonews24.com/amp/194218

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]