সান পেদ্রো দে তিকিনা | |
---|---|
শহর | |
বলিভিয়ায় অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৬°১৪′ দক্ষিণ ৬৮°৫১′ পশ্চিম / ১৬.২৩৩° দক্ষিণ ৬৮.৮৫০° পশ্চিম | |
দেশ | বলিভিয়া |
বিভাগ | লা পাজ বিভাগ |
প্রদেশ | মানকো কাপাক প্রদেশ |
পুরসভা | সান পেদ্রো দে তিকিনা পুরসভা image_map1 = Bolivia location map.svg |
স্থাপিত | ১৫৪৮ |
জনসংখ্যা (২০১২) | |
• মোট | ৬৯৪ |
সময় অঞ্চল | BST (ইউটিসি-4) |
সান পেদ্রো দে তিকিনা হল বলিভিয়ার লা পাজ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি শহর। তিতিকাকা হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র জলপথ তিকিনা প্রণালীর দক্ষিণ-পশ্চিম তীরে কোপাকাবানা উপদ্বীপের দিকে এই শহর অবস্থিত। কোপাকাবানা থেকে বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজ যেতে হলে এই শহর থেকে তিকিনা প্রণালী পেরিয়ে অপরতীরে সান পাবলো দে তিকিনা হয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য পথ নেই।
বলিভিয়ার একেবারে পশ্চিম সীমান্তের কাছে অবস্থিত সান পেদ্রো শহরের অবস্থান সান পেদ্রো দে তিকিনা পৌর এলাকার একেবারে কেন্দ্রস্থলে। আন্দেস পর্বতমালার সুউচ্চ আলতিপ্লানো উচ্চভূমিতে অবস্থিত এই শহরের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮৪৬ মিটার। এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিকিনা প্রণালী ঐ স্থানেই সঙ্কীর্ণতম, মাত্র ৮০০ মিটার চওড়া। পশ্চিম ও পুর্বে আন্দেসের দুই সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্খল কর্ডিলেরা অক্সিডেন্টাল ও কর্ডিলেরা সেন্ট্রাল উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত। এত উঁচু অবস্থানের কারণে এ' শহরের জলবায়ু যথেষ্ট শীতল। তবে সারাবছরই উষ্ণতা মোটামুটি একই রকম থাকে। দিনে-রাতেও উষ্ণতার পার্থক্য কম, কিন্তু গরমকাল ও শীতকালের তাপমাত্রার পার্থক্য অনেকক্ষেত্রেই এমনকী তার থেকেও কম। এই ধরনের জলবায়ুকে সাধারণত দৈনিক-ঋতু জলবায়ু (জার্মান ভাষা - Tageszeitenklima, উচ্চারণ -টাগেসৎসাইটেনক্লিমা) বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। শহরের সারা বছরের গড় উষ্ণতা ৮° সেন্টিগ্রেড। শীতকালে জুন/জুলাই মাসে গড় তাপমাত্রা যেখানে ৬° সেন্টিগ্রেড, গরমকালে নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে সেই তাপমাত্রা ১০° সেন্টিগ্রেডের চেয়ে বেশি নয়। শহরে সারা বছর বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ ৭০০ মিলিলিটার। এই বৃষ্টির বেশিরভাগটাই শীতকালেই হয়ে থাকে। গ্রীষ্ম এখানে যথেষ্টই শুষ্ক।
লা পাজ থেকে উত্তর-পশ্চিমে এই শহরের স্থলপথে দূরত্ব ১০৭ কিলোমিটার। লা পাজ থেকে বাঁধানো হাইওয়ে রুটা - ২ উয়ারিনা হয়ে তিকিনার অপর তীরে সান পাবলো দে তিকিনা শহরে এসে উপস্থিত হয়। এরপর প্রণালী পেরিয়ে এই রাস্তা প্রথমে আরও ৭ কিমি দূরে কোপাকাবানা পৌঁছয় ও তারপর আরও ৮ কিমি দূরে পেরু সীমান্তের খাসানি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
গত বিশ বছরে এই শহরের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বছর | জনসংখ্যা | উৎস |
---|---|---|
১৯৯২ | ৮৭৪ | জনগণনা[১] |
২০০১ | ৮৩৯ | জনগণনা[২] |
২০১২ | ৬৯৪ | জনগণনা[৩] |
এই অঞ্চলের জনসংখ্যার বেশির ভাগটাই আইমারাভাষী। এমনকী সান পেদ্রো দে তিকিনা পৌর এলাকার ৯২.৫% মানুষই আইমারা ভাষাতেই কথা বলে থাকেন।[৪]
১৮৭৯-১৮৮৪ সালের প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধে চিলির কাছে পরাজয়ের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে সংযোগ হারিয়ে বলিভিয়া এখন একটি সম্পূর্ণ স্থলবেষ্টিত দেশ। তার সম্পূর্ণ সামরিক নৌবল এখন তাই তিতিকাকা হ্রদেই সীমাবদ্ধ। সান পেদ্রোকে আশ্রয় করেই তা কাজ করে। সেই হিসেবে বলিভিয়ার একমাত্র সামরিক বন্দর এখন এই শহর, যাকে কেন্দ্র করে বলিভীয় নৌবাহিনী মাঝে মাঝে মহড়ার আয়োজনও করে থাকে।[৫]