সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | অভিনেত্রী[১] |
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | বিএফজেএ পুরস্কার সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার বঙ্গবিভূষণ পদ্মশ্রী |
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি বাংলা থিয়েটার এবং সিনেমায় তার কাজের জন্য পরিচিত । তার কর্মজীবন ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত।[২] তিনি দুইবার বিএফজেএ পুরস্কারের প্রাপক । ১৯৯৯ সালে, তিনি বাংলা থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন । ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার বঙ্গ বিভূষণে ভূষিত হন এবং ২০১৪ সালে ভারত সরকার তাকে তার চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী প্রদান করে।[৩]
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৭ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার একটি ছোট শহরে কমলাপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার বাবা শশধর চট্টোপাধ্যায় রেলের স্টেশনমাস্টার ছিলেন।[৫] ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় কিশোরী বয়সে কলকাতার দিদির বাড়ি টালিগঞ্জে চলে আসেন।[৫] টালিগঞ্জে বেড়ে ওঠার কারণে তিনি প্রায়ই সেই সময়ের চলচ্চিত্র তারকাদের দেখার সুযোগ পেতেন।[৬]
অর্থাভাব আর ছোটবেলা থেকে সিনেমার প্রতি আকর্ষণ তাঁকে টেনে নিয়ে যায় সিনেমা জগতে।উত্তম কুমার থেকে শুরু করে বহু বড় বড় তারকার সঙ্গে অভিনয় করেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। অভিনয়ের শুরু নাটক দিয়ে। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় লতায়-পাতায় তাঁদের আত্মীয় হতেন। তিনিই অভিনয়ে সুযোগ দেন। নাটকের দলের নাম উত্তর সারথী। নতুন ইহুদি নামের একটা নাটক। নাটক করতে করতেই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ডাক এল।[৫] পাশের বাড়ি ছবির জন্য যখন তার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল, তখন তার ‘বাঙাল’ উচ্চারণের কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু আর কোনো অভিনেত্রীকে না পেয়ে আবার ফিরে আসতে হয় সাবিত্রীর কাছে। ২০০ টাকা মাস মাইনের শিল্পী তখন তিনি। কিন্তু পাশের বাড়ির শুটিংও বন্ধ ছিল কিছুকাল। সে সময় জীবনটা কেটেছে খুব কষ্টে। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর সাবিত্রীর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন অনেকেই। ফলে আর থেমে থাকতে হয়নি। গলি থেকে রাজপথ, অবাক পৃথিবী, অনুপমা, দুই ভাই, ধন্যি মেয়ে, মাল্যদান, নিশিপদ্ম ছবিগুলো। কিংবা হালের হ্যামলক সোসাইটির ঝুলন গুপ্ত। এখনো অভিনয় করে চলেছেন সাবিত্রী। টিভি সিরিয়ালে করছেন, চলচ্চিত্রেও করছেন। ৭৫ বছর বয়সেও অভিনয়ের নেশা কাটেনি তার।
উত্তম -সাবিত্রী জুটি
উত্তম সুচিত্রা এবং উত্তম সুপ্রিয়াকে নিয়ে তোলপাড় তখন প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। একদম শেষ দিকে উত্তম কুমারের সাথে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জুটি খুবই জনপ্রিয় হয়। উত্তম কুমার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সাবিত্রীর বেশ সুনাম গেয়েছেন। তার অভিনয়গুণে মুগ্ধ ছিলেন মহানায়ক। হাত বাড়ালেই বন্ধু, দুই ভাই, নিশিপদ্ম, মোমের আলো ইত্যাদি সিনেমায় তাঁদের রসায়ন প্রশংসিত হয়েছে। ধন্যি মেয়ে বা মৌচাকের মত হাস্যরসাত্মক ছবিতে সাবিত্রীর সাথে জুটি বেঁধে উত্তম কুমারের হাস্যরসাত্মক চরিত্র ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে গেছে।[৫] তার সাথে অবশ্য উত্তম কুমারের কোনো অন্তরঙ্গতার খবর আসেনি।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; :0
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি