সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের ওমিক্রন প্রকারণ করোনাভাইরাস ২০১৯ (কোভিড-১৯) রোগ সৃষ্টিকারী সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের (গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় সংলক্ষণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস-২) একটি প্রকারণ।[১] এটির প্যাঙ্গো বংশনাম বি.১.১.৫২৯, জিসেইড ক্লেড শনাক্তকারক নাম জিআর/৪৮৪এ এবং নেক্সটস্ট্রেইন ক্লেড শনাক্তকারক নাম ২১কে। এই প্রকারণটি দ্বারা আক্রান্ত প্রথম রোগীটিকে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকার বতসোয়ানা রাষ্ট্রে সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয়।[২] ২০২১ সালের ২৬শে নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে একটি উদ্বেগজনক প্রকারণ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এটিকে গ্রিক বর্ণ ওমিক্রনের নামে নামকরণ করে।[৩][৪][৫]
ওমিক্রন প্রকারণটিতে অস্বাভাবিক সংখ্যক বেশি পরিমাণে বংশাণুগত পরিব্যক্তি ঘটেছে, যেগুলির অনেকগুলি নতুন প্রকৃতির। এগুলির মধ্যে বেশ কিছু পরিব্যক্তি করোনাভাইরাসের কীলক প্রোটিনটিতে ঘটেছে, যে প্রোটিনটি এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস রোগের বিভিন্ন টিকার মূল্য লক্ষ্যবস্তু। এইরূপ বিভেদের কারণে সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের ওমিক্রন প্রকারণটির সংবহনযোগ্যতা, অনাক্রম্যতন্ত্রকে এড়ানোর ক্ষমতা, এবং টিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কি না, সে ব্যাপারে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রকারণটিকে আগ্রহজনক প্রকারণের পরিবর্তে দ্রুত উদ্বেগজনক প্রকারণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। প্রকারণটি যাতে আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে বা এর বিস্তার যেন মন্থর হয়ে পড়ে, সে ব্যাপারে ২০২১ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই একাধিক দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।