সাহেব, বিবি অউর গ্যাংস্টার | |
---|---|
পরিচালক | তিগমাংশু ধুলিয়া |
প্রযোজক | রাহুল মিত্র তিগমাংশু ধুলিয়া |
রচয়িতা | সংলাপ: তিগমাংশু ধুলিয়া সঞ্জয় চৌহান |
চিত্রনাট্যকার | তিগমাংশু ধুলিয়া সঞ্জয় চৌহান |
কাহিনিকার | তিগমাংশু ধুলিয়া সঞ্জয় চৌহান |
শ্রেষ্ঠাংশে | জিমি শেরগিল মাহি গিল রণদীপ হুদা |
সুরকার | অভিষেক রায় মুখতার সাহোটা অঙ্কিত তিওয়ারি জয়দেব কুমার অনুজ গর্গ সুনীল ভাটিয়া অমিত সিয়াল |
চিত্রগ্রাহক | অসীম মিশ্র |
সম্পাদক | রাহুল শ্রীবাস্তব |
প্রযোজনা কোম্পানি | ব্র্যান্ডস্মিথ মোশন পিকচারস তিগমাংশু ধুলিয়া ফিল্মস - বোহরা ব্রাদার্স প্রোডাকশন |
পরিবেশক | বোহরা ব্রাদার্স প্রোডাকশন |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২৩ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | ₹৬০ মিলিয়ন[১] |
আয় | ₹১০৭.৫ মিলিয়ন[১] |
সাহেব, বিবি অউর গ্যাংস্টার (অনু. স্বামী, স্ত্রী, এবং গুন্ডা) একটি ২০১১ সালের ভারতীয় প্রণয়কাহিনী মূলক থ্রিলার নাট্য চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছিলেন তিগমাংশু ধুলিয়া এবং এর চিত্রনাট্যকার ছিলেন সঞ্জয় চৌহান। জিমি শেরগিল, মাহি গিল এবং রণদীপ হুদা এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এটি সাহেব, বিবি অউর গ্যাংস্টার চলচ্চিত্র ক্রমের প্রথম ভাগ।[২] [৩][৪]
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি ছোট্ট শহরে এই গল্পের ভিত্তি। সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার একজন সুন্দরী রানি (মাহি গিল), তার স্বামী রাজা (জিমি শেরগিল) এবং উচ্চাভিলাষী যুবক বাবলুর (রণদীপ হুদা) মধ্যে, ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি গল্প।
রাজা এবং তার রাণী তাদের পৈতৃক রাজবাড়িতে বাস করে এবং তাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া পুরনো মর্যাদা ও কাঠামো বজায় রাখার চেষ্টা করে। তবে পরিবর্তিত সময়ের কারণে, কিছু চরম আর্থিক পরিস্থিতি এবং একজন উপপত্নী রাখার রাজকীয় দীর্ঘকালীন অভ্যাসের ফলে, রাজাকে নিজের মর্যাদা এবং আর্থিক অবস্থা বজায় রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হয়। গৈন্দা সিংহের (বিপিন শর্মা) নেতৃত্বে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল, রাজা এবং তার মিত্রদের নির্মূল করার জন্য অবিচ্ছিন্নভাবে চেষ্টা করা যায়। তাদের প্রচেষ্টা, কয়েক দশক ধরে এই রাজপরিবারের হাতে থাকা প্রশাসনের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া। অবশেষে, রাজার সঙ্গে থাকে কেবলমাত্র তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং বিপজ্জনক সেবক কানহাইয়া (দীপরাজ রানা)। সুন্দরী উপপত্নীর দিকে রাজার আগ্রহের কারণে, রাণী তার মনোযোগ পাবার এবং তাকে নিজের দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। রাজা তার জীবনযাত্রা আগের মত চালিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ার চেষ্টায় চুক্তি হত্যার দায়িত্ব নিতে শুরু করে এবং নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় তার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে চেষ্টা করে। তার সঙ্গীদের চলে যাওয়ার ফলে এবং আর্থিক পরিস্থিতির অবনতির কারণে এটি তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
নাটক আরও ঘনীভূত হয় যখন সেই প্রতিদ্বন্দ্বী দলটি বাবলুকে (রণদীপ হুদা) রাণীর অস্থায়ী চালক হিসাবে সাজিয়ে কাজে লাগায়, রাজার সম্বন্ধে তথ্য যোগাড় করতে এবং তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে। স্বামীর মনোযোগের অভাবে এবং একই কারণে কিছুটা হিস্টিরিয়া-গ্রস্ত হয়ে রাণী বাবলুর সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই ভাবে বাবলু রাণীর গভীর গভীর প্রেমে পড়ে যায় এবং রাজার সামনে তার আসল কার্যভার প্রকাশ করে ফেলে। রানী বাবলুকে কাজে লাগায় তার স্বামীর উপপত্নীকে হত্যা করার জন্য। বাবলু তার চাহিদা মেটায়, কিন্তু ফলস্বরূপ উচ্চাভিলাষী হয়ে ওঠে। সে এখন রানীকে এবং রাজার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায়।
চরম অবস্থায় বাবলু তার সাহেবকে খুন করার পরিকল্পনা করে। তাকে এবং কানাহাইয়াকে গুলি করতে বাবলু সফল হয়। রাজা বেঁচে যায়। পরে, রানি বাবলুকে গুলি করে হত্যা করায় এবং বলে যে "সে কেবল শয্যাসঙ্গী হতে পারে, কিন্তু সাহেব নয়"। সাহেব আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠে এবং নির্বাচনে জয়ী হয়। কাহিনীর শেষে, রাণী নিজের জন্য একজন নতুন গাড়িচালক নিয়োগ করে, এটি ইঙ্গিত দেয় এর পরের অংশ আসতে চলেছে।
চলচ্চিত্রটি নির্মানের খরচ ছিল ₹৬০ মিলিয়ন। এর শিরোনামটি সাহিব বিবি অউর গুলাম (১৯৬২) থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।[৫]
সাহেব, বিবি অউর গ্যাংস্টার | |
---|---|
অমিত সিয়াল, সুনীল ভাটিয়া, মুখতার সাহোটা, জয়দেব কুমার, অনুজ গর্গ, অভিষেক রায়, অঙ্কিত তিওয়ারি কর্তৃক অ্যালবাম | |
ঘরানা | পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের সাউন্ডট্র্যাক |
সঙ্গীত প্রকাশনী | বিবি মিউজিক স্টুডিও |
নং. | শিরোনাম | সুরকার | গায়ক | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|
১. | "চু চু চু" | সুনীল ভাটিয়া | পার্থিব গোহিল | ৪:১৮ |
২. | "জুগনি" | জয়দেব কুমার | বাব্বু মান | ৫:২৯ |
৩. | "ম্যায় এক ভঁওরা" | অমিত সিয়াল | শাহিল হাডা | ৪:৩৩ |
৪. | "আই লাভ টু লাভ ইউ" | অনুজ গর্গ | রেখা ভারদ্বাজ | ৪:৪৫ |
৫. | "সাহেব বড়া হাঠিলা" | অঙ্কিত তিওয়ারি | বিপিন আনেজা, অঙ্কিত তিওয়ারি | ৫:০৮ |
৬. | "আঁখিয়াঁ" | মুখতার সাহোটা | আরিফ লোহার | ৪:৩০ |
৭. | "রাত মুঝে" | অভিষেক রায় | শ্রেয়া ঘোষাল | ৩:২০ |
৮. | "চু চু চু (ধ্বনিতাত্বিক)" | সুনীল ভাটিয়া | দেবজিত সাহা | ৪:১৮ |
সাহেব, বিবি অউর গ্যাংস্টার শীর্ষ পর্যালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিল। বলিউড হাঙ্গামার তরুণ আদর্শ একে ৫ এর মধ্যে ৩.৫ তারা দিয়েছিলেন, তিনি এর শক্তিশালী গল্প, আকর্ষক চিত্রনাট্য, নায়কোচিত সংলাপ এবং উচ্চ স্তরের প্রদর্শনের প্রশংসা করেছিলেন।[৬] টাইমস অব ইন্ডিয়ার নিখাত কাজমী এটিকে ৫ এর মধ্যে ৪টি তারা দিয়েছিলেন এবং বলছিলেন ছিবিটি "দেখা আবশ্যক"।[৭] মুভি টকিজ এটিকে ৪/৫ তারা দিয়েছিল এবং এটিকে তিগমাংশু'র "টুইস্টি ট্যুর ডি ফোর্স!" বলেছিল।[৮] ডিএনএ ভারতের অনিরুদ্ধ গুহ ছবিটিকে ৪/৫ তারা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার আপনাকে প্রথম থেকেই টেনে আনে, ধরে রাখে এবং উচ্চে পৌঁছে দেয়।"[৯] গুহ এই ছবিতে প্রণয়, অ্যাকশন এবং রসবোধের নিখুঁত মিশ্রণেরও প্রশংসা করেছিলেন। রেডিফ মুভিজের আইয়াজ শেখ ছবিটির প্রশংসা করে বলেছিলেন "সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার জটিল রাজনীতি, ভালবাসা এবং বিশ্বাসঘাতকতার এক আকর্ষণীয় গল্প", এবং ছবিটিকে ৩.৫/৫ তারা দিয়েছিলেন।[১০]